ফ্ল্যাশব্যাকে
থিয়েটার পাঁচালি: আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি…
প্রতি, শীত। কলকাতায় থিয়েটার করিয়ে শিল্পীজন
মুখিয়ে থাকেন। উৎসব উৎসব ভাবখানা দেখেই আহ্লাদে আটখানা আমাদের একাডেমি চত্বর। হালকা কুয়াশ মাথায়
তখন। সাদা বাড়ির ওপাশে এপাশে থিয়েটারের পোস্টার। দেখে মনে হয় থিয়েটার চলছে চলবে।
একটা দুটো পোস্টারের মুখগুলো চেনা। থিয়েটারে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন! একটি বিশেষ তকমা দেয়। তকমা মানে আর
কিছুই নয় – টিকে থাকা। টিকে থাকা না লিখে, লেখা ঠিক হবে ভালো থিয়েটার করব, ভাল করে করব। এই ভাল করে করা মানে? থিয়েটারের এক অন্য ভাষা রয়েছে। সেই
ভাষা লড়াইয়ের। থিয়েটার করেন যারা, তাদের সাধারণ, অতি সাধারণ চেহারা দেখলে সেই
লড়াইয়ের আভাস মেলে না বটে। কিন্তু সাধারণ হয়ে কাজ করে চলাটাই – বড় লড়াই। উৎসব মানে শুধু আড়ম্বর তো
নয়। তাতে আড়ম্বরের সঙ্গে প্রলেপ থাকে অফুরান ভাল লাগার। নাহ, ভাল লাগা নয়, থিয়েটার মানে আবেগ। এই রে, কোন কোন বোদ্ধা নিশ্চয় এই ভাষাকে
এতক্ষণে ধরে ফেলেছেন। কী করে থিয়েটার থিয়েটার লিখছে___ নাট্যকলা বা নাট্য চলতে পারে। এ
আদরের কথ্যনামে ডাক, সেখানে ডাকের
মধ্যেই আবেগ থাকে। তো, যা লিখছিলাম।
থিয়েটারের উৎসব। বর্ণাঢ্য ধন
নেই। নেই অপ্রতুল ঐশ্বর্য। তবুও, লড়াই … লড়াই করেন থিয়েটারে থেকে যাওয়ার
জন্যে আজীবন। তাঁরাই থিয়েটারের আত্মজন। একটি শো দেখতে গেলে অনেকদূরে ঠেকেও বুকিং
করে ফেলা যায়। যেমন, ভূত দেখার জন্যে
শান্তিনিকেতন থেকে বুকিং করে ফেলা গেল। এবারে নিশ্চিত। যাক, আমাদের দুই প্রিয় শিল্পী অভিনয়
করছেন। একত্রে ভাগ করে নেব সেই সময়ের থিয়েটার।
আজকের নিবেদনে … দলের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানান
হয়েছে আমন্ত্রণ। একাডেমি মঞ্চে সায়ক সুবর্ণ জয়ন্তী নাট্য উৎসবের শেষ নাটক: উষ্ণিক
প্রযোজিত, দেবশংকর হালদার এবং শুভাশিস
মুখোপাধ্যায় অভিনীত ঈশিতা মুখোপাধ্যায়ের নাটক
"ভূত!" অনলাইন টিকিট। হলে টিকিট দুপুর ১টা থেকে। এসব দেখতে বলেই ওই পাড়ায়
তাড়াতাড়িই যাই।
সায়ক নাট্যদল ৫০। এমন এক গতিকে
স্পর্শ করতে চাই। এমন এক সত্য যা গভীর জীবনবোধের। হ্যাঁ, চেনা মুখের আমরা সায়কের হয়ে গেছি।
থইথই থিয়েটারে। মানুষের ইচ্ছের মন্তাজ। একাডেমি সেজেছে ফুলে ফুলে। খোলা মনের এই
উৎসবের আমেজ একাডেমির প্রবেশ দুয়ারে। যেখানে উৎসবের মেজাজ মানে থিয়েটারে দিগন্ত
প্রসারিত রূপ। আমরা তো দেখে এসেছি, মেঘনাদ ভট্টাচার্য কীভাবে থিয়েটার নিয়ে কাজ করেছেন। খুব সরল। খুব মিশুকে। খুব
কঠিন কাজের দায়বদ্ধতা…। থিয়েটারির নৈপুণ্য শুধু যে নিজে
থিয়েটার করতে পাড়ায় নয়। অন্যদেরও দক্ষতার সঙ্গে টেনে ধরা। এবং ধরে রাখা। বড় দলের
চালক…। একমুঠোয় থিয়েটারকে ধরে, অন্যমুঠোয় সামলাচ্ছেন দর্শককূল।
একাডেমি উপচে।
অনেকদিন পর দেখা গেল যে একাডেমি-র দ্বিতলেও
মানুষের গন্ধ। আমাদের গন্ধ হাসি মজা ঠাট্টা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের থিয়েটার। তবুও
তাতে লোক টেনে আনা হয় না। বিশেষ প্রচার যান্ত্রিক যুগের কত শত মাধ্যম। সেখানে
শতফুল বিকশিত হোক …এর মতন
থিয়েটারের প্রচার হতে পারত। পারত, হয়নি। যতজন
মানুষ একাডেমির সামনে দাঁড়িয়ে ধূমায়িত সময় পার করেন, ইচ্ছে করে তাঁদের ডেকে বলি …
'দেখবেন আমাদের থিয়েটার।' আমাদের। মানে একান্নবর্তী পরিবার
যেমন হয়। আমরা মানে থিয়েটার-করিয়েরা। যারা স্বপ্ন দেখি – শুধু নিজে অভিনয় করে অভিনেতা হব
না। শুধু অভিনয় নয়, সমাজকে পাল্টে
দেব যোগেযোগ দেব। যারা দীর্ঘদিন থিয়েটার করে চলেছেন – যারা দল করেছেন – তাঁদের সবারই একটা ভূত চেপে থাকা।
একসঙ্গে জানাই
যে, বন্ধুরা ছুটির দিনে বেড়াতে যায়।
যখন ডেকে বলে, যাবি। আমি বলি, দলে যেতে হবে। রিহার্সাল…। উত্তর আসে, কী করিস এত? কিছুই তো দেখলাম না উন্নতি?
হেসে বলি, ঠিকই। উন্নতি হল না রে। কিন্তু
অবনতি তো হয়নি।
রিনরিনে একটা
যুদ্ধ যেতা… আহা এসব সংলাপ লেখ। নাটক জমে যাবে।
হিট করবে।
দূরভাষে দূরত্ব
কমে। তাইই হল বোধকরি। যেমন, কথা শেষে। ভাবতে
থাকা। একাই মঞ্চে ঘুরি। সংলাপ বলি, মাননীয় বন্ধুরা, আমাদের থিয়েটার
করা। হিট করা, উন্নতি করা, গাড়ি বাড়ি করার লক্ষ্যে – কবেই বা ছিল? কবেইবা কোন শিল্পীকে দেখেছেন যে
বাড়িগাড়ির সম্পদে লোভে থিয়েটার করেছেন। আর অবধারিত সত্য এই যে, আমরা কাজ করি। ওই যেমন করে ওরা কাজ
করে…। শহর জুড়ে ব্রিজ হয়। হয় উন্নতি।
আমাদের থিয়েটারের ব্রিজ হয় – চিন্তা ভাবনাকে
পরিস্রুত করার লক্ষ্যে। আমাদের থিয়েটার হল সেতু – সেই সেতু, যেখান থেকে মানুষ মানুষে সেতুবন্ধন
হয়। আর মানুষের সঙ্গে মানুষের। আর এই "ভূত" হল থিয়েটারের।
মঞ্চে দেখতে
পাওয়া থিয়েটার-এর নাম "ভূত"। আগেই বলেছি। আর এদিকে শয়েশয়ে
এসেছেন দর্শক। যারা একত্রে থিয়েটারের ভূত লালন করেছেন, তাঁদের সমর্থন করতে। মঞ্চে থিয়েটার
দেখার যে অভিজ্ঞতা – তা লেখায় তুলে
ধরা সম্ভব নয়। তবে, নেপথ্যে ঘটতে
থাকা এক থিয়েটারের কথা লেখা যায়।
দেখার পর থিতিয়ে
গেলেও, যখন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়-এর মঞ্চে ভূত সেজে চলা মনে পড়লে
হাসি পায়। তখনই থিয়েটারের সঙ্গে সালোকসংশ্লেষ ঘটে। সায়ক-এর দৌলতে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে একটা
নাটক দেখাও কম নয়। কারণ এক উৎসবের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে জারিত হয় আরেক উৎসব। সেই
উৎসবের নাম ভূত। আমাদের আগের সময়ের অর্থাৎ ভূতকালে যারা থিয়েটার করতে এসেছিলেন।
তারা এরকম কিছু ভূত-মায়া রেখে
গেছেন। যার সঙ্গে থিয়েটার পাগল একজনের কথা মনে পড়ে গেল – কেয়া চক্রবর্তী। থিয়েটারের জন্যে
চাকরি ছেড়ে দেওয়া। চাকরি থেকে পূর্ণ সময়ের থিয়েটার কর্মী হতে চাওয়া। আবার
থিয়েটারের সঙ্গে সিনেমা, সিনেমা থেকে
উপার্জন – শেষে অকস্মাৎ মৃত্যু। সেই ভূতের
কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের ভূতের রাজার কথা মনে রয়ে গেছে ছোটবেলা থেকেই। তাই মনে
পড়ে গেল। যদি এমন বর মিলত… যেখানে বলা যেত
প্রতিটা থিয়েটার হল ভরে থাকবে, শো চলাকালীন।
এমন ভূত আমার মাথায় বাস করছে। ভেবে যারা পাঠক হয়ে ভাবছেন, কেমন ভূতের মতন লিখেছেন রে…। তাঁদের সাধুবাদ জানাই। এখনও ভূতটা
চেপে রয়েছে আমাদের। তাই থিয়েটার নিয়ে ফ্ল্যাশব্যাক।
থিয়েটারের ভূত
নামটাই টেনে নিয়ে গিয়েছিল কিনা? প্রশ্ন জানাই
ছিল। উত্তর, না, ভূত নাটকের দুই অভিনেতা টেনে নিয়ে
গিয়েছেন। দেবশঙ্কর হালদার এবং শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। একই মঞ্চে অভিনয় করছেন। হ্যাঁ, জীবন্ত দুই অভিনেতার রসায়ন, মঞ্চে। যে দেখেছেন তিনিই জানেন… একরকমের ভূত-ই তো হবে। যে এঁরা থিয়েটারের ভূত
ঘাড়ে চাপিয়ে ছিলেন। দীর্ঘ সময়? হ্যাঁ,
তিন দশক তো
হবেই। তবেই না অমন অভিনয়_ভূত মঞ্চে
দাপিয়ে বেরাল। একটা দৃশ্য মনে পড়ল। লিখি... মঞ্চে দেবশঙ্কর হালদার নিজের চরিত্রের সংলাপে, অভিনয়ে দেখতে চেষ্টা করছেন পাহাড়, তার চারদিকের দৃশ্যাবলী। আর তাঁকে
প্রাতঃরাশ দিয়েছেন সংলগ্ন মঞ্চাভিনেত্রী, ওই পার্ট করছিলেন যিনি। তিনিও অনবদ্য অভিনয় করেছেন। আর প্রাতরাশে রয়েছে ডিম। সেই ডিম চুরি করছেন "ভূত"রূপী শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। তাঁর
মঞ্চে হেঁটে চলা। তাঁকে দেখা মঞ্চের অন্যান্য চরিত্রে ... চোখে ভাসল। তারপর একটু কমেডিয়ানা
উঁকি দিল। সাদা ভূত বলে ডেকে উঠতে ইচ্ছে করছিল। ইচ্ছে করছিল বলি, আরেকটু ভাবলে হত না পোশাক নিয়ে।
মেকআপ, চুল মহাভারতের চরিত্রের মতন
লাগছিল। অবশ্য বলার থাকবে নির্দেশকের পক্ষে যে, ভূতের আদল কীরকম হবে? বলতে পারেন? বলতে পারেন ভূত একুশ শতকের জিন্স
পরবে নাকি ধুতিপাঞ্জাবি নাকি খদ্দর পাজামা। এই যে ভূত, তাঁর বয়স ছিল মৃত্যুকালে চরিত্র
অনুযায়ী সত্তর ঊর্ধ্ব। ফলে সেই চরিত্রে অভিনেতার পোশাক হবে ওইরকম, তাঁর সমাজজীবন অনুসারে।
ভালই হল... একদিকে ডিম চুরির দৃশ্য ফের দেখলাম
ফিরে। ফিরে দেখা মানে, ফ্ল্যাশ ব্যাক।
থিয়েটারে এমন দেখা বিরল ও স্মৃতি নির্ভর তো বটেই। যারমধ্যে আবছা হয়ে থাকছে হলদে
আলো, একটা বেঞ্চ, দুটো সিঁড়ি, আলমারি, টেবিল, চেয়ার, একটা ডেস্ক, কিছু অভিনয়ের সরঞ্জাম সব মিলে...।
এখানে একটু থামতেই
হবে। "ভূত" নাটকের আরেকটা দৃশ্যের সংলাপে, যেখানে এক ভূতের সঙ্গে বাস করার
কথোপকথন চলছে। 'উষ্ণিক' এর নতুন নাটক 'ভূত'...
সংলাপ থেকেই
বোঝা যাবে যে একজন ছুটি কাটাতে এসেছেন পাহাড়ে। হ্যাঁ, দার্জিলিং। উঠেছেন এক হোম স্টে-টে। আগেই
বুকিং করা। যিনি বেড়াতে এসেছেন, তাঁর নাম দীপ্তেশ। পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন
দেবশঙ্কর হালদার। দীপ্তেশ-এর ভালই লাগছে, রোমাঞ্চ অনুভব হচ্ছে পাহাড়ে। সংলাপে সংলাপে, মুখের পেশির
ওঠানামায়, চোখের ব্যবহারে _- বুঝিয়ে দিচ্ছেন অভিনেতা।
এখানে এসেই
ভূতের সঙ্গে দেখা। যেখানে সে রয়েছে সেখানেই যত কাণ্ড! রহস্যময়। বাংলোয় বাস করে এক অদ্ভুতুড়ে ভূত। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন
#শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। নাম তাঁর #মোহন মনোহর শোভন সুন্দর মুরলী বদন শাস্ত্রী। নামের যে রসিকতা, তা শুভাশিস বলার মধ্যে দিয়েই প্রকাশ
করেছেন। আহা, কি সুন্দর ভূত! এরপর নাটকের প্লট জুড়ে আসবে তাদের দেখা হওয়ার ঝগড়া, আনন্দ, রসিকতা থেকে জীবনের চরম কোনও ঘটনায় ঘটবে এক্সপোজিশান। জীবনে তো
সব থাকে _ আবেগ ভরা জীবনে কোন রোগ আসে। তারপর কেমন যেন পালটে যায় ভালোবাসার গল্প। সেই গল্পের সঙ্গে জুড়ে
ভূতের গল্প। ২৩শে
সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, সন্ধ্যে ৬:৩০ টা-তে দেখে নেওয়া এই থিয়েটার। আর উল্লেখের নয় যে, আকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর সায়কের নাট্য উৎসবের মহল জমজমাট। অনেক মাথা ভর্তি প্রেক্ষাগৃহ।
মজার সংলাপ, নাহ মনে পড়ল কই... আরেকবার দেখতে হবে। মনে রাখার
জন্যে দেবশঙ্কর হালদারের অভিনয়, কিছু এমন স্বরক্ষেপন
রয়েছে _ যা অভিনয় শিখতে চাওয়াদের জন্যে
দেখার। আর দুই অভি নেতার অভিনয়, কীভাবে মঞ্চ
স্পেস ব্যবহার করবেন, শিখতে শিখতে দেখুন। আর দেখতে দেখতে শিখুন।
এরপর তো বইমেলা।
আরেকটা উৎসব শুরু হতে চলেছে। সেই উদযোগে শীতের সঙ্গে থিয়েটারের যোগও রয়েছে। জেলায়
জেলায় হচ্ছে থিয়েটার উৎসব। শুধু কলকাতায় এসে দেখতে কেন হবে। তাই নাট্যদলগুলো চলেছে
জেলায়, উপজেলায়, শহরতলির ভূগোলে।
ভূত একেও বলে! আমাদের ৭৫ বছর পার হওয়া থিয়েটারের
নাম গ্রুপ থিয়েটার। যেখানে, থিয়েটার/নাট্য = দর্শকের রুচি তৈরি করা। যে বা যারা
দর্শকের আসনে থাকবেন, তাদের জন্যে
থিয়েটারের মঞ্চে নানান শারীরিক কসরত/ বিবিধ চমকের আমদানি নয়। ভাল থিয়েটার করার আবেগ + আন্তর্জালিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন = আমাদের থিয়েটার। শুধু একুশ শতকের
দর্শকের কাছে অনুরোধ এই যে, একটু ছড়িয়ে দিন_ থিয়েটার। আপনাদের ব্যবহৃত মুঠোয় মুঠোয় কত যে ফোন, কত যে স্বীয়-ছবির বন্যা। আসুন না একটা নতুন
ভাবনার ছবি তুলতে থিয়েটার পাড়ায়। আবেগ আন্তর্জালিক মাধ্যমে দর্শকের কল্যাণ-মুঠোয় এক থিয়েটারের জোগান দেয়। যে
থিয়েটারে সব জীবন্ত চলমান। হে দর্শক, ভাসমান অবস্থান থেকে আসুন থিয়েটার দেখতে। থিয়েটার পার্থিব। থিয়েটার লৌকিক।
থিয়েটার ব্যবহারিক পর্যায়ের।
শেষে, থিয়েটারের ভূত অদৃশ্য নয়। থিয়েটারি
এক অন্যরকম ভূতের গল্প। না, ধারাবাহিক...। যেখানে থিয়েটার নিয়ে 'ফ্ল্যাশব্যাকে
থিয়েটার' নামক পুনরায় ভাবনার গদ্যের জন্ম। কবি রেখেছেন আহ্বান, "আয়
আরও বেঁধে বেঁধে থাকি"। আসলে বেঁধে থাকা, বন্ধন হল এক উৎসব। যে বন্ধন মানবিক
ছায়ায় থিয়েটারের সঙ্গে আরও বেঁধে রাখে। অলক্ষ্যে। ভূতের মতন এর অস্তিত্ব যেন
বয়ে চলেছে আগামীর লক্ষ্যে।
_ ইতি
একুশ শতকের ফ্ল্যাশব্যাক সত্ত্বাধিকারী…