কবিতার কালিমাটি ১৩৩ |
এখনের লেখাজোখা ১
এখন সময় সকালের রোদে ভাসা জানালার পাশ দিয়ে যাবার
সময় মুচকি হাসে।
এই সক্কাল সক্কাল কোথায় যায় সে?
প্রতিদিন খালি জমিগুলোতে বাড়ি উঠছে মধ্যবিত্তের
পাখি নামা মাঠ ছোট হচ্ছে আর ছোট হচ্ছে আয়ুরেখা
নির্মোহ থাকার কথা ভাবতে পারি না।
এত দোষ নিই মাথায় আর সহ্য করি ক্রোধ,
তবু পায়ে পায়ে ঘুরে আসি আকাশ গঙ্গার পাশ দিয়ে
তখন নিজের হাত নিজেই ধরে আর একটু একসাথে চলি।
এখনের লেখাজোখা ২
এখনও বরফের সময় আসেনি
আকাশের গা ঘেঁষে যে বাড়ি বানালাম তাতে এখন থাকবে
কে?
মরশুমি
ফুল সব্জি আর হেলানো চেয়ার, রুমহিটার, কফি
আর অ্যাকিলিসের গাথা, সব রাখা থাকল সযত্নে --
নিজেকে আকাশের বন্ধুর মতো করে গড়ে নিতে হবে।
আলো আর আবছায়া, মেঘ আর কুয়াশার খেলার নক্সা জানার
জন্য
রাস্তা বন্ধ হবার আগে পৌঁছতে হবে
ততদিন বাড়িটাকে একা ফেলে রাখা কি উচিৎ হবে?
এখনের লেখাজোখা ৩
এখন এই যে স্বপ্নে দেখি আকাশের পাশে পাশে আমার
ঝুল বারান্দা এর মানে জানার চেষ্টা করি না।
তবে বেশ লাগে ট্রাপিজের খেলওয়ার হয়ে ভেসে ভেসে...
হাতের ধারালো ছুরিটা সরিয়ে নিলাম
ডাল পালা কাটার ইচ্ছে হচ্ছে না,
আকাশ তো ওরও হতে পারে আবার চুঁইয়ে পড়তে পারে মধু
জল বা সুগন্ধি আঠা
'নানা কিছু ঘটে যাবার সম্ভাবনাকে কখনও ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়'
সময় হয়তো মুচকি হেসে তাই বলে গেল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন