কবিতার কালিমাটি ১৩৩ |
সন্ধ্যা
ভাটার টানে নদী দূরে সরে যেতে থাকলে
জলের সঙ্গে আলাপচারিতার ছেদ
পাথরের বুকেও বিরহ নামায়।
অসময়ে ফাগুন ফিরে এলে মৌনতা ভাঙতে চেয়ে চঞ্চল
হয় শরীর!
কোনটা আলাপ আর কোনটা প্রলাপ
বুঝতে হিমসিম খায় স্বজনেরা
নিয়ম অনিয়মের ফাঁকে ফাঁকে অনুভূতি হয় গাঢ়।
পাহারাদার প্রহর অনেক প্রশ্নের উত্তরেই নিরুত্তর
থাকে
কিছু কৌতুহল, জন্ম জন্মান্তর ধরে প্রশ্নবোধক চিহ্ন
সঙ্গে নিয়েই সাঁতরে বেড়ায়
কুলকিনারা খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারে--
দিনরাত্রির বোঝাপড়ায় সন্ধ্যা মধ্যস্থতাকারী মাত্র
কোন কূলেই ঠাঁই নেই তার--
আই সি ইউ
দেয়া নেয়ার ধারাবাহিকতায়
শূন্যতার দোল,
ফুরায় কামনা-বাসনা, জীবনের গান
আই সি ইউ-র পাহারায় শেষবেলা--
বাইরে জীবন চলে যথানিয়মে
অন্দরে উঁকি দেয় খাদের গভীরতা।
যে গাছটা ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছিল দুঃসময়
তীব্র শীতে সে চেয়েছিল শুধু হৃদয়ের উত্তাপ।
তার ভাবলেশহীন চোখের ভাষা
পড়ে দেখার মত ধৈর্য বা আগ্রহের
থাকে শুধু ভান,
আমরা বড্ড আধুনিক
আমাদের সময়ের বড় টান!
দোলাচলে
প্রায় ফুরিয়ে আসা বিকেল
সেজেছে আজ মুগ্ধতার আবিরে,
ভালোবাসার তীব্রতাই বাঁচিয়ে রাখে মুগ্ধতা।
সে বিকেলের প্রিয়?
নাকি বিকেল তার?
কার কর্ম, কাকে কাড়ে, কতটা?
যত্নের পাহারায় যে চন্দ্রমল্লিকা
বেড়ে ওঠে রাতারাতি,
নিরিবিলি ফুটে ওঠার ফাঁকে
ভালোবেসো - বলে
সেরে ফেলে, সম্মোহনী আঁকি-বুকি।
চোখে লাগে ঘোর
যতি চিহ্নগুলো এলোমেলো হয় দ্রুত।
চঞ্চলতার ফাঁদে পড়ে
নিরুদ্দেশও হয় কিছু,
আকাঙ্ক্ষা দোলাচলে--
ভালোবাসবে? নাকি ছুটবে
যতিচিহ্নের পিছু!
চমৎকার তিনটি কবিতা। খুব ভালো লাগলো ❤️
উত্তরমুছুন