কবিতার কালিমাটি ১৩২ |
সংলাপ ও স্নানকৌশল
সংলাপের পর বৃষ্টি নামে। জানলার কাচে মারমেইডের সাঁতাররেখা গোপন করে নীলাভ স্পর্শবীজ। দূরের ছাদে জলের অস্পষ্ট পদাবলি ক্রমে শ্রুতিগ্রাহ্য হলে সমস্ত ড্যাফোডিল স্নানকৌশল রপ্ত করে এবং পৃথিবীর গূঢ় ধ্বনি আশ্চর্য পালকে রূপান্তরিত হতে থাকে। পালকের ময়ূরনৃত্য থেমে গেলে আমি হেলেবোরের ঘনকালো ছায়াচ্ছন্নতায় শুয়ে থাকি; বাতাস অস্বীকার করে স্বর ও সৌরভের অস্তিত্ব।
শরীর ও মোহর
শরীর ও শব্দের দূরত্ব অপরিমেয় হলে আখ্যান এদের সম্পর্ক নির্ণয় করে দেয়। তবে কোনো আখ্যানই শরীরের শূন্যতাকে সুসহ করে তুলতে পারে না। ফলে মনমোহরের ওপর আমাদের দৃষ্টি দিতে হয়। মোহরের ভেতর শরীরী আকাঙ্ক্ষা তরঙ্গিত হয়ে ওঠে; মোহরের সসীমতা আমাদের অস্তিত্ব ও মোহরভ্রূণের ওপর হিম স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে থাকে।
যন্ত্রণার চক্রপথ
পথে নেমে পড়লেই ঢাকার মিডিয়ান স্ট্রিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্লিষ্ট রাধাচূড়া, জারুল, সোনালু ও কাঞ্চন আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, তারা যন্ত্রণার চক্রপথে ক্রমাগত ঘুরছে; তাদের কাতর কম্পনে উড়তে থাকে রিকশাওয়ালার গামছা; বৈশাখী হিটস্ট্রোকে যে রিকশাওয়ালা ছয় ফুট মাটির নিচে চলে যান তাঁর নাম জানা যায় না।প্রাণীর যন্ত্রণার স্বরূপ আবিষ্কার করবার জন্য প্রশিক্ষণের চেয়ে সহমর্মিতা জরুরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন