বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

মধুবন চক্রবর্তী

 

হেমন্ত যেন পূরবীর অনুরাগ : সন্ধ্যার বিষণ্ণতা




হেমন্ত শব্দ যতটাই রোমান্টিক, ঠিক ততটাই যেন আনরোম্যান্টিক। অন্যান্য ঋতুর দাপটে একেবারে কোণঠাসা। কখন আসে, কখন যায় বুঝে ওঠার আগেই, হাতের তালু দিয়ে খসে পড়ে যায় জলের মতো। আর এই জায়গাটাতেই যত রাগ। অপ্রাপ্তি। যত বেদনা।

অপেক্ষা তো বর্ষা নিয়ে, শরৎ নিয়ে, আমপার্বণ নিয়ে। সর্বঘটে কাঠালিকলার মতো বসন্ত তো আছেই। রোমান্টিকতার শেষ কথা নাকি বসন্ত। আমাদের ঋতুর তালিকায় বসন্তকে নিয়ে আদিখ্যেতা যেন একটু বেশী। একটু কেন, বেশ অনেকটাই। কিন্তু আমার উপলব্ধির জগৎ যেন সব রোমান্টিকতা দেখেছে এই হেমন্তের হেঁসেলে। রোমান্টিসিজমের মূল কথাই তো বিরহ। কাঙ্ক্ষিত বস্তুকে না পাওয়ার এক অব্যক্ত বেদনা। হেমন্ত সেই বিরহের জাল ফেলে একের পর প্রেমের রঙিন মাছগুলোকে যেন বরাবরই উপেক্ষিত করে রেখেছে। কতটুকুই বা থাকে সে আমাদের সাথে? সে যেন সন্ধ্যার পূরবী। বিরহী ভৈরবী। শূন্যচারিণী। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এটাই, হেমন্তের মধ্যেই আবার একটা আস্ত পৃথিবী বাস করে। যার মধ্যেই সব রস। কখনো ভেবে দেখেছেন কি সেই পৃথিবীটার নাম কি? যদি নাম দিই এক বিপন্ন হেমন্ত! আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু আমার  এই হেমন্তকে অদ্ভুত বিষণ্ণমাখা এক বিপন্ন পৃথিবী বলে মনে হয়, যা সবকিছু থেকেও কিছুই নেই।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান যদি চিরকালীন, চিরবসন্ত হয়। হেমন্ত তবে ক্ষণস্থায়ী চির বসন্তেরই মত শুধু অভিমানী। একাকীত্বের আলপথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে কুয়াশা ঘেরা এক সন্ধ্যা নামায। ছোটগল্পের মত,

‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’। হেমন্তের ভেতরেই লুকিয়ে আছে শীত। শীতের ভেতরেই হেমন্ত। গর্ভে  লুকিয়ে থাকা শিশুর মতো, কখনও কামিনী কাঞ্চন, কখনও বিরহীনি এক রাধা। এক মায়াজাল ঘেরা এই হেমন্তকে কখনো খুঁজে দেখেছে কি কেউ?

জলবায়ুর পরিবর্তনে অনেকটাই পাল্টেছে হেমন্তের পান্ডুলিপি। দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হেমন্ত না আসতেই, যেন শীত পাকাপাকিভাবে নেমে আসে। এরকম আরোও অনেক জায়গা আছে যেখানে হেমন্ত ছাড়িয়ে শীত খুব তাড়াতাড়ি নামে। তবু এই শীতের গভীরে জমে থাকে এক বিপন্ন হেমন্ত বিকেল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কথায় - "আজি এলো হেমন্তের দিন কুহেলি বিলীন ভূষণ বিহীন" - অর্থাৎ এই হেমন্তের না আছে শরতের নীল আকাশ, না আছে সাদা মেঘের ভূষণ। না আছে বৃষ্টির সিম্ফনি। বাংলায় শরৎ আসে নববধুর মত। আর হেমন্তে সেই নববধূ পুরোপুরি সেজে ওঠে ধানের রঙে। সেই ধানরঙা হেমন্তেও শিউলি ফোটে।

ধান ঘরে তোলার আনন্দে যখন মেতে ওঠে কৃষকরা, নবান্ন উৎসবের আয়োজনে যখন আকাশ বাতাস আলোময়, তখন এক বিপন্ন হেমন্ত, ভোরের কোকিলের মত ডেকে ওঠে। সেই আহ্বান আসন্ন শীতের বিজড়িত আলোয় যেন আলোকিত।

হেমন্তের মধ্যে আনন্দ যেমন আছে, তেমনই আছে কল্পনা, আছে প্রকৃতির অন্তরে কবিতার এক ধূসর পান্ডুলিপি। এই হেমন্ত স্মৃতি অধ্যুষিত চিত্র নিয়ে শীত আসে বিপন্ন হেমন্তমাখা বসন্ত নিয়ে - "একগোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম চললাম”। এই হৃদয়ের কথাও এত মধুর ভাবে বলা যেতে পারে, হেমন্ত না আসলে বুঝতে পারতাম না। "চললাম" এই শব্দের সঙ্গে বিদায়ী গন্ধ উকি দিয়ে যায়। যেখানে শুধু কুয়াশা ঘেরা এক শ্বেতশুভ্র হেমন্ত। কাঞ্চনজঙ্ঘার মত উকি দেয়। একটা আস্ত ঋতুকে ঘিরে জন্ম নেয় কবিতা, কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ বলেছিলেন কবিতা হচ্ছে Emotions recollected in tranqualityর প্রকাশ। কুলারিজ কল্পনার বিষয়ে বলেছেন - "it was the union of deep filling with profound thought the fine balance of truth in observing with the imaginative faculty in modifying the objects observed…”।

কবিতায় কল্পনায় একাধিকবার আসে সে। রোমান্টিকতায়, প্রেমে, অপ্রেমে, বিরহ মেদুরতয়ায়। হেমন্তের হিমেল স্পর্শে  ভালবাসার গান গেয়ে ওঠে কবিতা। হেমন্তের উষ্ণতায় কবিতা প্রাণ পায় জীবনানন্দের কাব্যে। হেমন্ত ঋতু কবি জীবনানন্দের অনুভবে হৃদয়ের অন্তস্থলের এক নির্লিপ্ত সৌন্দর্যবোধকে বিকশিত করে। কবির দৃষ্টিতে চোখে পড়ে কার্তিকের নীল কুয়াশা, গোলপাতা ছাউনির নীল ধোঁয়া সকাল সন্ধ্যায় মিশে গেছে। সজনের ডালে পেঁচা বসে কাঁদে।

"হেমন্তের ধান উঠে ফলে

দুই পা ছড়ায় বোসো

এইখানে পৃথিবীর কোলে"

হেমন্ত মানেই ঘরে ঘরে ফসল তোলার আনন্দ। ধান ভানার গান ভেসে আসে। সম্রাট আকবর বাংলা পঞ্জিকা তৈরির সময় অগ্রহায়ণকে এই বছরের প্রথম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। প্রকৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে হেমন্ত মানেই শিশির ভেজা সকাল, কাঁচা সোনা রঙের পাকা ধান আর ঝরাপাতার উপাখ্যান।

সেইসঙ্গে সন্ধ্যা নামলেই পূরবীর অনুরাগে ভেসে আসে বিসমিল্লারর সানাই, জেগে ওঠে উস্তাদ বাবা আলাউদ্দিন খাঁর ভৈরবীর ম্যাজিক্যাল সুর। পূরবীর অনুরাগ, ভৈরবীর করুণ বৈরাগ্যর মিলনে, রাতের গভীর বেদনায় প্রকৃতি প্রসব করে এক হৈমন্তী সুর। যা বিরহিনী রাধার মত অপেক্ষায় থাকে কাঙ্ক্ষিত সময়ের। সময়ের সঙ্গে প্রকৃতির সঙ্গে রাগরাগিণীর এক অদ্ভুত পারম্পর্য। আছে মেঘ রৌদ্রের মত অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। গড়ে ওঠে মেলবন্ধন যা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপেক্ষা করতে পারেননি।

রাগ রাগিনীর ভাব নিয়ে তিনি যে অনুভব ব্যক্ত করেছেন তা হল, "কাল সন্ধ্যাবেলায় দূরের এক অদৃশ্য নৌকা থেকে বেহালাযন্ত্রে প্রথমে পূরবীও পড়ে এমন করলেন আলাপ শোনা গেল। সমস্ত স্থির নদী এবং স্তব্ধ আকাশ মানুষের হৃদয়ে একেবারে পরিপূর্ণ হয়ে গেল"। সঙ্গে রাগরাগিণী আর তার সঙ্গে সন্ধ্যার এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক হেমন্তকে অপরপা অধরা করে তোলে।

পূরবী আর ভৈরবীর করুণ তান হয়ে বাজে মানুষের হৃদয়ে। রবীন্দ্রনাথ ভৈরবী সম্পর্কে বলেছিলেন, “বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মর্মস্থল থেকে একটা গভীর কাতর করুণ রাগিনী বেজে ওঠে"। হেমন্তের চিলেকোঠায় সূর্যাস্তের আলোয় ভৈরবীর করুণ কাতর সুর যখন বেজে ওঠে সকালবেলার সূর্যের সমস্ত আলো এসে যেন ভিড় করে হেমন্তের সায়াহ্নে।

রাগ পূরবীকে সর্বদা ব্যবহার করেছেন দিনান্তের বা জীবন শেষের প্রান্তিক বেদনায়। পূরবী কাব্যের নামকরণেও একথা উপলব্ধ হয়। যদিও ইমনকে নানান ভাবের প্রকাশ হিসেবে দেখালেও, সকালের ভাব

ফোটাতে কখনোই ব্যবহার করেননি। রাগের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য যে সৌন্দর্য সৃষ্টি অথবা আবেগনিরপেক্ষ ব্যক্তিবেদনাকে বিশ্ববেদনায় মিলিয়ে দেওয়া। সেটা বারবার ব্যক্ত করেছেন তিনি। হেমন্ত যেন সেই পূরবীর একখণ্ড সন্ধ্যার আকাশ। যেখানে আছে এক আনন্দ ভৈরবী, বিরহের সাথে মিশে রয়েছে এক পাগল করা আনন্দ। কল্পনা, কবিতার অন্তরে যা কবিতার পান্ডুলিপি হয়ে ধরা দেয়। হেমন্ত যেন জীবনবোধের স্মৃতি অধ্যুষিত এক ধূসর চালচিত্র। যেখানে শুধু পূরবীর তান। ভৈরবীর বোল।

জীবনবোধের কথাই যখন উঠল, তখন জীবনানন্দের হেমন্তের কথা না বললেই তো নয়। তিনি বলছেন

"এইখানে সময়কে যতদূর দেখা যায় চোখে নির্জন খেতের দিকে চেয়ে দেখি দাঁড়ায়েছে

অভিভূত চাষা

এখনো চালাতে আছে পৃথিবীতে প্রথম তামাশা

সকল সময় পান করে ফেলে জলের মতন এক ঢোকে"...

হেমন্ত যেন এক বিস্তীর্ণ মাঠ। নির্জন সন্ধ্যায় যতদূর দেখা যায় কিছু চাষা ক্ষেতের দিকে চেয়ে আছে উদাসীন চোখে। হয়তো আর কিছুক্ষণ বাদে বাড়ি ফিরে যাবে সোনার ধান বুকে নিয়ে নিজ গন্তব্যে। তবু ফিরে দেখা গভীর সন্ধ্যাকে। সামনেই নবান্ন উৎসবে মেতে উঠবে তারা। নতুন গুড়ের গন্ধ, খেজুর রসের হাতছানি। দৈত্যের মত দাড়িয়ে শৈত্য, বিশাল বপু নিয়ে। আসন্ন শীতের গন্ধ মেখে একাকী দাঁড়িয়ে রয়েছে  যেন এক বিপন্ন হেমন্ত। পূরবী আর ভৈরবী রাগে সূচনা হচ্ছে এক হিমেল সিম্ফনির।  জন্ম নিচ্ছে সন্ধ্যাসংগীত। এক অজানায় বেদনায় প্রকৃতি প্রসব করে নরম হেমন্ত বিষণ্ণতা। 

ধূসর পান্ডুলিপি গ্রন্থ থেকে কবি নিজের স্বাতন্ত্রে প্রবেশ করেছেন হেমন্তের গভীরে। যে প্রেমে বাস করে এক উপলব্ধির জগৎ। সেখানেই ভ্রমণপিপাসু কবি মন চলে যায় জীবনানন্দ প্রেম কাব্যে। এক অজানা বেদনাভাবে করুণ হয়ে ওঠে হেমন্ত আর রোমান্টিকতা। তিনি বলছেন-

"আমি ঝরে যাব তবু জীবন অগাধ

তোমারে রাখিবে ধীরে সেই দিন পৃথিবীর পরে, আমার সকল গান তবুও তোমায় লক্ষ্য করে"

জীবনের প্রাপ্তির খাতায় যখন শূন্যতা ঘিরে ধরে, তখন সেই চেতনা কবিকে যেমন ব্যথিত করে, হেমন্তের ভেতরেও সেই একই বোধ কাজ করে, জাগ্রত হয় একই চেতনা।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতি আর রাগকে মিলিয়েছেন কী অনিন্দ্য সুন্দর ভঙ্গীতে। শুধু ঋতু নয়। সাথে ধরা দিয়েছে বিভিন্ন সময়, মুহূর্ত, বিভিন্ন ক্ষণ। রাগ রাগিনীর রং রূপ রস ভাবকে খোলা আকাশের মতন উদার  দৃষ্টিতে মিলিয়ে দিয়েছেন সেইসব সময়কে। যেমন ‘দিন যদি হল অবসান' এই গানটির মধ্যে দিনান্তের ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে।

হেমন্ত যেন সেই দিনান্তের কথাই বলে। এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও দিনান্তে তবু আসা হতো না হেমন্ত যার জন্য প্রতীক্ষা তাকে পাওয়া না গেলেও আসন্ন রাত্রির অন্ধকারে তাকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। "দিন যদি হলে অবসান" এই গানটি বাধা হয়েছিল মুলতান রাগে বেলাশেষে। মুলতান রাগের ভেতর দিয়েই তার আসার প্রত্যয়, আঁধারে মিলবে তার স্পর্শ।

পূরবীর সুর জুড়ে এক আস্ত হেমন্ত যেন লুকিয়ে থাকে। আর এই রাগের সুর কবিগুরুর মনেও গভীর ভাবের নির্যাসটুকু নিয়ে সন্ধ্যাকে শূন্যগৃহ চারিণী বিধবা সন্ধ্যায় রূপান্তরিত করে। "‌সংগীতের মুক্তি" প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, "পূরবী যেন শূন্যগৃহচারিণী বিধবা সন্ধ্যার অশ্রুমোচন। আবার ছিন্নপত্রাবলীতে সন্ধাকে  পূরবী রাগের সঙ্গে এমন ভাবে মিলিয়ে নিয়েছেন যে সন্ধ্যা যেন পূরবীর সঙ্গে বিকল্প সম্পর্কে বাঁধা। পূরবী যে সন্ধ্যার রাত সেটা সবাই বলেন বা দুঃখের রাগ হিসেবে দেখেছেন কখনো বা আনন্দের সঙ্গেও ব্যাখ্যা করেছেন। অনুমান করা হয়েছে প্রাচীন শাস্ত্রগ্রন্থে বাদি স্বর গান্ধার  বা গান্ধার নিশাদ স্বরসংবাদ করুণ রসের উদ্দীপক। যেমন ইমন বেহাগ। কিন্তু এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সেভাবে নেই। তবে পূরবী রাগের সঙ্গে সন্ধ্যা অর্থাৎ সময় ও করুণ অর্থাৎ ভাবরস যেন জড়িয়ে আছে আষ্টেপৃষ্ঠে। তিনি বলছেন, (সূত্র রবীন্দ্র সংগীতের ভাব ও রূপ) "সময়ের অনুষঙ্গ বা ভাবানুসঙ্গ ব্যাপারটা শ্রবণজাত অভ্যাস মাত্র। এর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করেছেন। তিনি বলছেন -

১) আমরা যখন রোদন করি তখন দুটি পাশাপাশি সুরের মধ্যে ব্যবধান অতি অল্পই থাকে। রোদনের স্বর প্রত্যেক কোমল স্বরের উপর দিয়া গড়াইয়া যায। সুর অত্যন্ত টানা।

২) দুঃখের রাগিনি দুঃখের রজনীর ন্যায় অতি ধীরে ধীরে চলে তা হাতে প্রতিটি কোমল সুরের উপর দিয়া যাইতে হয়।।

কবিগুরুর পূরবীকে নিয়ে এই অসাধারণ গবেষণা বা ব্যাখ্যা, আমাকে এক অদ্ভুত সুন্দর উপলব্ধির জগতে নিয়ে গেছে। হেমন্ত তাই কখনো পূরবী হয়ে বেজে উঠেছে আমার কাছে। সন্ধ্যা এবং করুণ রসের এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন যা নিভৃত প্রাণীর দেবতা হয়ে ধরা দিয়েছে প্রকৃতির দেবালয়ে। হেমন্ত কখনো সন্ধ্যার রাগিনী কখনো এক বিপনন হয়তো বা সন্ধ্যার পাখি হয়ে ধরা দিয়েছে জীবনানন্দের কবিতায়। শেষবার আমরা বনলতাকে এভাবেই তো পাই -

"সব পাখি ঘরে আসে সব নদী

ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন

থাকে শুধু অন্ধকার

মুখোমুখি বসিবার নাটোরের বনলতা সেন।"

এ হেমন্ত সন্ধ্যার পূরবী রঙেই যেন বনলতার জন্য এক দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকে।

 

 

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন