কবিতার কালিমাটি ১৩০ |
সময়টা বিকেল
(১)
এই যে বক আর কোকিলের সাদাকালো পৃথিবীতে
এত বৈষম্য, হাহাকার মেঘগুলো
সূর্যকে কেউ আড়াল করতে পারে না জানি
প্রতিবর্ত ক্রিয়াগুলো ইচ্ছুক সন্ধিতে এসে মেশে
আর
জাফরানরঙের ইচ্ছেগুলো
দশ ফুট বাই দশ ফুটে
সীমাবদ্ধতা নিয়ে ভাবি না আর… আপাত শান্তির
বাতাবরণ জানলায়
(২)
বিকেল পড়ন্ত হলেও নিজেদের আটকে ফেলে যুবতী জানলায়
টেরাকোটার ঘোড়ারা সূর্যস্নাত
নিঝুম ঘরোয়া রোদগুলো বড় আপনরঙের
মেঝেতে বসলে...
বাক্য নিস্প্রয়োজন কিছু অনুভবে
প্রজাপতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়া… আর কিছু তিক্ততাও
পুরনো ইতিহাস এখন
ভাগ করে চলেছে ইঁদারার জল দুই প্রতিবেশী
বালতি উথলে উঠছে ফেনার সাগর, আবেগিক কথাবার্তায়...
তর্জমা
স্নানে শুচি হবার পর
বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের
নীচে
দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা
কিছুটা সুদূর নিয়ে, কিছুটা পরাভবও
দিনের সমস্ত হার হাড়মজ্জা থেকে বেরিয়ে
আকাশগঙ্গায় প্রবাহিত হলে নতুন পদবী গায়ে
মাখি
এই সময়টা অবকাশনামার মত রয়ে যায়
এই সময়টা আমি ঝরাপাতার ভঙ্গিতে
তোমার দিকে ঝরে পড়ি
তুমি কুড়িয়ে নাও নয়তো ফেলে রাখো আমাকে একা একা
চাপ চাপ অন্ধকার
পাথরে লেগে
তর্জমা হতে থাকি বারংবার
কাঠঠোকরা
এলাকা শান্ত হলে বুঝি
বাসাভাঙা কাঠঠোকরা নারকেল গাছের শরীর ঠুকরে যাচ্ছে
কী নির্মম আক্রোশে
হুস্ করতে গিয়েও থেমে যায় হাত
বুঝি, জানি
প্রথম দেখার চৈত্রমাস, কারো সর্বনাশ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন