একতারারু শৈশব
(১)
পারদে পড়া বিজন
ভিজলো
ভাঙা দরজায়।
রোদের আউশ
মন ফসলি
কে কোথায় ফেলছে
না তুলছে
না ভেবেই
ত্রিকোণ অংশগুলো
প্রতিদিনের উঁকি
ঝুঁকিয়ে
দেদার পানসে
গেয়ে উঠছে
সর্ষেবেলার মাঠ।
একটা উবুটিলার উপর
নিঃশ্বাস
রাত্রি
পড়ে
গড়িয়ে গড়িয়ে
এগিয়ে রাখছে
একতারারু শৈশব…
(২)
শেষ হবার আগে
একটা না একটা
বৃত্তাকার দিন
তালির বিসর্গ জাগিয়ে
তাল
বেতালে।
ঘুমের
সন্ত্রাস নেড়ে
এই একটু
একা
গেয়ে
ছায়াতল
চারুলতা।
পড়ে পাওয়ার মুখে
কালসিটে শিস
বাসি পিয়ানো
চোখ ফেললো
নিজেকে লুকিয়ে।
প্রতিবার কলমের ধূ
দুঃখ মেপে
ছড় টেনে টেনে
ঋতু বদলায়।
(৩)
প্রলেপ পড়লে পাখিপরখ
তুলোট আকাশ
প্রলাপ পড়লে
ঝাউনিঝুমে
একহাত কুহুতনা।
সন্ধ্যার বাড়ি
ছুঁয়ে
একঘাট
পুকুর পুকুর
চালতার
ছাঁচ
একটা পৃথিবী
একার পৃথিবী।
শুনে শুনে শুশুনিয়া
নিস্তব্ধ
বাড়িয়ে ধরছে
নিজেকে
জ্যামুক্ত
ভূমিকার দিকে…
আহা! বড়ো আনন্দ পেলাম।
উত্তরমুছুন"শুনে শুনে শুশুনিয়া
উত্তরমুছুননিস্তব্ধ "। আমিও।