কালিমাটির ঝুরোগল্প ১১৯ |
ধোকা
পালিয়েছি। এ্যানি ভাবছিল, পালিয়ে তো এলাম, তবে যাবো কোথায়? বিহানের মেসে গেলে ঝাড় খাবো। একবার সমুকে ফোন করে দেখি ও ওর ফ্ল্যাটে আছে কিনা?
--হ্যাঁ
বল! না আমি এখন দুর্গাপুরের বাড়িতে। তুই কোথায়? কীইইঃ পালিয়েছিস? মানে? কেন?
--সে
অনেক কথা। আমি কী করবো এখন সমু?
--তুই
দুর্গাপুরে চলে আয়!
এ্যানি কালবিলম্ব না করে নিজেই ড্রাইভ করে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। গিয়ে সমুকে জানালো ওর পক্ষে ওখানে থাকা সম্ভব না। সমু জিজ্ঞেস করে এ্যানির এভাবে চলে আসার কারণ কী? এ্যানি সমুকে যা যা বলল তাতে একজন সুস্থ মানুষ কিছুতেই সেখানে থাকতে পারবে না।
সমুকে
এ্যানি জানায়, বিপ্স-এর সারা শরীরে পুরুষের মতো লোম। এ্যানি আগে দেখেনি বিপ্সকে।
সমু বলে, এমন উঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে লেগেছের মতো বিয়েটা করা ঠিক হয়নি।
এদিকে বিপ্সের ঘুম ভাঙে। একবার ঘরের দিকে চোখ বোলাতেই দেখে, এ্যানি নেই। কেন নেই? নিজের মনেই বলে, এ্যানি তো লগ্নভ্রষ্ট যাতে না হই, তাই বিবাহবাসরেই বিয়ে করেছে। বরের আসতে দেরী হচ্ছিল। রাস্তায় জ্যামে আটকেছে। তাই আমাকে উদ্ধার করেছে। বিপ্স মনে মনে ভাবে, গত রাতে এত ধকল গেছে; কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, টেরই পাইনি। এবার পোষাকটা ছেড়ে ফেলা উচিত। বাবার ভয়ে বিপ্স রাজি হয়েছিল বিয়েতে, কিন্তু মনে মনে একটা প্ল্যান কষেছিল, যাতে বিয়েটা আর না টেকে।
এ্যানিকে সমু বলে, চল সামনাসামনি এর বিহিত করতে হবে। পালালে চলবে না। বোকারোতে ওরা দুজনে ফিরেই সেই ভাড়া বাড়িতে গেল। দেখে বিপ্স বসে আছে।
সমু প্রথমেই বিপ্সকে জিজ্ঞেস করল, এমন ধোকা দিলে কেন? এ্যানি তো তোমাকে সমাজের নাকানিচোবানি থেকে বাঁচিয়েছে। তখন বলতে পারলে না যে…
এ্যানি
সমুর কথা শেষ না হতেই বলে, সারা শরীরে লোম।
সমু
একবার আড়চোখে এ্যানির দিকে তাকায়। এই পালালো, আবার বিপ্সের ব্যাপারে এত ক'সাঁস এক
রাতেই?
বিপ্স
কিছু না বলে একটা ছোট ব্যাগ এ্যানির হাতে দিয়ে বলল, এটাতে কী আছে দেখো, আমি স্নান সেরে আসছি।
এ্যানি
ব্যাগ খুলতেই চমকে গেল। সমুকে দেখালো আস্ত একটা শরীরের লোমশ চামড়া ভাঁজ করা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন