কবিতার কালিমাটি ১২৯ |
গলিমুখের প্রথম সকাল
হয়তো, নয়তো
বা
কতগুলো দ্বিধাচলে
ঘুরতে ঘুরতে
দেখি তুমি নাগরদোলার
শূন্যকম্পন দেহটি
মাটিতে নিয়ে
এলে কত শান্তভাবে
আর সেই সকালের
ফ্রক পরা মেয়েটি
দুপুর থেকে
বায়নায় মত্ত,
আর একবার চড়াবে
নিজেকে
কিছুটা আনন্দ,
কিছুটা শূন্য হওয়া আবিষ্কারে
অচেনা তোমাকে
চেনার ধারণা
সবশেষে হয়তো
বা --
'তুমিই ছিলে
না'
এই নয়তো-কে
নিয়ে
মায়ের কোলে
ফিরে আসে যে দোলা
তখন মেয়েটি
একঢাল কৃষ্ণবর্ণা প্রৌঢ়া...
অশরীরী শব্দের দল
এভাবেই ভূতেরা
উঠে আসে কবর থেকে
অনারোগ্য ছায়ায়
অশরীরীর রোষ!
প্রলয় মুহূর্তের
তান্ডব
এক সমুদ্র ঢেউ
আছড়ে ফেলে -
ভেবেছো কী কবর
তোমারই ভেতরে
ঘর থেকে বেরোতে
পারেনি তাই...
ডালপালা ভেঙে,
উড়ে ফুঁড়ে
পুনরায় ঘুমালো,
এমনই কোনো দিনের
অপেক্ষায়!
ঘটনা বস্তুত
ছবি, ছবির ভূতেরা মাটিতে ঘুমায়
নিক্ষেপিত শব্দের
শর
দেয়াল থেকে
দেয়ালে ফেরে - মৃত্যুহীন
তোমারই প্রচ্ছন্ন
বলয়ে
তোমাকেই ভূতের
মতো ডেকে ডেকে তোলে -
অন্য এক পটভূমি
আলোর মা চকচকে
রোদে হেঁটে যাচ্ছে
দুচোখ যেন আতসকাঁচ
চৌকাঠে হাত
রেখেছি
ওর ভ্রুক্ষেপ
নেই
সিন্ধু সারসের
মতো গ্রীবা ভাসিয়ে,
গলানো সর্ষে
ক্ষেতে গড়িয়ে পড়ছে -
বেআব্রু মেয়ে
একটা!
অশ্বত্থের ছায়াটা
যেদিন মরে গেলো
সেদিন থেকে
নক্ষত্রের চোখে রাখে চোখ
আলোর মা এখন
তলোয়ার
ওর শাঁখা পলাহীন
হাতদুটো দুলে
উঠলে, কত উল্টোরকম দেখি!
অন্ধকার এক
পটভূমি
ছেয়ে আছে বাড়ির
লাগোয়া মন্দির চত্বর,
ঘরের সন্ধ্যা
পার হয়ে গেছে কত নদী…
পুরুষও কী বৈধব্যের
আগুনে সেঁকে নেয় নিজেকে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন