সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩

অভিজিৎ মিত্র

 

সিনেমার পৃথিবী – ৩১          




আগের পর্বে আমরা ইউরোপের মাঝামাঝি চারটে দেশের ছবি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আরো তিনটে দেশ। কিন্তু এদের নিয়ে কিছু না লিখলে ইউরোপের সিনেমা নিয়ে আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। উত্তরদিকে উত্তর সাগরের দক্ষিণপ্রান্তে নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ড। দক্ষিণদিকে আড্রিয়াটিক সাগরের ধারে  যুগোস্লাভিয়া থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া বসনিয়া-হার্জেগোভিনা এবং আরো দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরের তীরে ছড়িয়ে থাকা ছবির মত সুন্দর দেশ গ্রীস।

হল্যান্ড দেশটা তৈরি হয়েছিল মোটামুটি দ্বাদশ শতকে। ছোট দেশ। প্রথম ছবি তৈরি হয়েছিল সেই ১৮৯৬ সালে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওখানকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছিল। আবার সেই ইন্ডাস্ট্রি শুরু হয় ষাটের দশকে এবং সত্তরের দশক থেকে সরকারি সাহায্যে ডাচ সিনেমার জয়জয়কার শুরু হয়। পল ভারহুভেনের হাত ধরে। ডাচ সিনেমা বললে এখনো অব্ধি মোটামুটি যে যে ছবির কথা মাথায় আসবেই - ভিলেজ অন দ্য রিভার (১৯৫৯), তুর্কিশ ডিলাইট (১৯৭৩), সোলজার অব অরেঞ্জ (১৯৭৭), দ্য অ্যাসল্ট (১৯৮৬), অ্যান্তোনিয়া’জ লাইন (১৯৯৫), ক্যারেকটার (১৯৯৭), জুস অ্যান্ড জো (২০০২), টুইন সিস্টার্স (২০০৩), দ্য ব্ল্যাক বুক (২০০৬), উইন্টার ইন দ্য ওয়ার টাইম (২০০৯), অ্যাকিউজড (২০১৪), ক্লোজ টু ভারমিয়ার (২০২৩)।

এখানে আমরা বেছে নেব এক ফেমিনিন সিনেমা, যাকে ফেমিনিন রূপকথা বললেও কম বলা হবে। সাহসী রূপকথা। অ্যান্তোনিয়া’জ লাইন। মার্লিন গোরিসের একঘন্টা চল্লিশ মিনিটের সিনেমা। এক মাতৃতান্ত্রিক সমাজের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিধবা অ্যান্তোনিয়া তার মেয়েকে নিয়ে নিজের মায়ের গ্রামে ফিরে আসে। এসে একে একে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। তারপর প্ল্যান করে শুধু মেয়েদের দিয়ে এক পরিবার তৈরি করার। একে একে পুরুষদের সেই গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। নিজের মেয়েকে শহরে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গম করিয়ে এনে গর্ভবতী করায়। সেই বাচ্চার জন্মের পর সেও মহিলাদের মাঝেই বড় হয়ে ওঠে। এবং একসময় সেও তার এক বাল্যবন্ধুর সাহায্যে গর্ভবতী হয়। বহুবছর পর অ্যান্তোনিয়া যখন মারা যাচ্ছে, তার আশেপাশে তার পরিবারের মেয়েরা ভিড় করে দাঁড়িয়ে।

এই গল্পে পরিবার আছে, ভালবাসা আছে, আশা আছে, রাগ আছে, ভবিষ্যতের কথা আছে কিন্তু সেই সবই মাতৃতান্ত্রিক ধাঁচে। এটাই জানিয়ে দেওয়ার জন্য যে মহিলারাও সব নিজে হাতে করতে পারে, চাষবাস থেকে শুরু করে পরিবার গড়ে তোলা অব্ধি। এই গল্পের সূত্রধর, অ্যান্তোনিয়ার প্রপৌত্রী, জীবনের এই ছন্দের সূত্র ধরেই এগিয়ে যেতে ভালবাসে। গল্প প্রায় পঞ্চাশ বছর এগিয়ে যায়, অ্যান্তোনিয়া-র পরিবার বেড়ে চলে – কিন্তু মূলসুর যেন সেই ছন্দেই বাঁধা থাকে। একের পর এক ঋতু আসে, যায়, আর সেই মেয়েদের পরিবারের সময় ধীর লয়ে কেটে যায়। গল্পটা সুন্দর, সাহসী এবং খানিক পাগলাটেও বটে। তবে এটা ঠিক, এই গল্প কখনোই বোর করে না। আসলে এখানে অনেকগুলো ব্যাপার একসঙ্গে মিশে আছে। সেক্স, আনন্দ,‌ গড়ে তোলা, স্বাধীনতা, পরিবারতন্ত্র এবং মৃত্যু। এই সূতোটাই ছবি ধরে রাখে। তবে হ্যাঁ, ডাচ সিনেমা নিয়ে কথা শেষ করার আগে পাঠকদের অনুরোধ করব একবার সাড়ে আট মিনিটের ছোট্ট অ্যানিমেশন ছবি ‘ফাদার অ্যান্ড ডটার’ (২০০০) দেখতে। মনোযোগ দিয়ে। 

বসনিয়া-হার্জেগোভিনা নবীন দেশ। উনিশ শতক থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অব্ধি অস্ট্রো-হাঙ্গেরি রাজত্বের অংশ ছিল। তারপর যুগোস্লাভিয়ার অংশ হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুগোস্লাভিয়ার অন্তর্গত এই দেশকে রিপাবলিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর ১৯৯২ সালে যুগোস্লাভিয়া টুকরো হয়ে যাবার পর এই দেশ স্বাধীন হয়। ১৯৯৫ সাল  অব্ধি বসনিয়ার গৃহযুদ্ধ চলেছিল যা পাঠক পাঠিকা জানেন। অবশেষে এই দেশ থিতু হয়। তাহলে বুঝলেন, খুবই নবীন দেশ। বসনিয়ার ছবি নিয়ে বলতে গেলে তাহলে প্রথমেই যুগোস্লাভিয়াকে একবার ফিরে দেখতে হয়। অবশ্য সেটা আমি মাত্র একটা ছবির রেফারেন্সেই বলব। এমির কুস্তুরিকার আন্ডারগ্রাউন্ড (১৯৯৫)। আমার দেখা গত শতকের অন্যতম সেরা সুররিয়েল আর্ট ফিল্ম যা যুদ্ধের যন্ত্রণা ছত্রে ছত্রে ফুটিয়ে তুলেছিল। এই ছবি বাদে বসনিয়া- হার্জেগোভিনার উল্লেখযোগ্য অন্য ছবিগুলো হল - ওয়েলকাম টু সারাজাভো (১৯৯৭), দ্য পারফেক্ট সার্কল (১৯৯৭), নো ম্যান’স ল্যান্ড (২০০১), ডেজ অ্যান্ড আওয়ারস (২০০৪), দ্য ল্যান্ড অব মাই ড্রিমস (২০০৬), হালিমা’জ পাথ (২০১২), হোয়ার আর ইউ গোইং, আইডা? (২০২০)। হ্যাঁ, বসনিয়ার ছবির অন্যতম প্রধান দিক যদি বলতে হয়, আমার মতে, তা হল সিনেমাটোগ্রাফি।

আমি এখানে ‘নো ম্যান’স ল্যান্ড’ নিয়ে আলোচনা করব। ডেনিস ট্যানোভিচের এক উল্লেখযোগ্য ছবি। বসনিয়া যুদ্ধের সময় বসনিয়ার এক সৈন্য চিকি এবং সার্বিয়ান এক সেনা নিনো এক জনশূন্য জায়গায় আটকে পড়ে। তারা দুজনে প্রথমে দুজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধং দেহি মনোভাব থাকলেও পরে নিজেদের ভেতর সমঝোতা করে নেয়। এবং দেখতে পায় কিছুদূরে আরেক বসনিক সেনা এক ল্যান্ডমাইনের ওপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তাকে তুলতে গেলেই মাইন ফেটে সবার মৃত্যু হবে। এক সময় চিকি ও নিনোকে ইউ-এন থেকে উদ্ধার করা হয়, কিন্তু বাইরে বেরিয়ে চিকি নিনোকে গুলি করে, শান্তি বজায় রাখতে ইউ-এন সৈন্য নিনোকেও গুলি করে। দিনের শেষে দেখা যায় মাইনের ওপর পড়ে থাকা সেই সেনাকে কেউ উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি।

যুদ্ধের ভয়াবহতা, ব্ল্যাক কমেডি, যুদ্ধের সারশূন্যতা – যেভাবেই দেখা হোক, এই ছবি এক মাইলস্টোন। আউটডোর শুটিং হবার জন্য এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফি বেশ ভাল - ক্যামেরার অ্যাঙ্গল, ক্লোজ শট, লং শট, এডিটিং। কিন্তু আমার মতে এই ছবির আসল ক্রেডিট হল যুদ্ধের ফাঁপা দর্শন এবং যুদ্ধের কমেডি দুটোর ব্যালান্স রেখে এগিয়ে যাওয়া। আমি হয়ত ঠিক বোঝাতে পারলাম না। স্পিরিচুয়ালিটি অ্যান্ড প্র্যাকটিস পত্রিকায় এই ছবি নিয়ে রিভিউ লেখা হয়েছিল – ‘a vivid film about the insanity of war and the dreadful things it can do to those who drench themselves in hate’। যথার্থ।  

গ্রীস নিয়ে প্রথম যে কথা বলতেই হয়, তা হল, এই দেশ ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার ঠিক মাঝামাঝি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতা, বাইজান্টাইন সভ্যতা ও অটোমান সাম্রাজ্য – সবকিছুর ধারক ও বাহক এই গ্রীস। পাশ্চাত্য দর্শন, সাহিত্য ও কলার উৎসভূমি এই দেশ। অলিম্পিক গেমসের সূচনায় এই দেশ। অ্যাক্রোপোলিস বা ডেলফি-র ছবি আজো যেন গায়ে কাঁটা দেওয়ায়। গ্রীক সিনেমা বললে আমার জ্ঞান অনুযায়ী অ্যাস্টেরো (১৯২৯) হল প্রথম গ্রীক ছবি। এরপর মাইকেল ক্যাকোয়ান্নিসের হাত ধরে গ্রীক ছবির উত্থান। সত্তরের দশকের পর থিও অ্যাঞ্জেলোপাউলোস।  

গ্রীসের ছবির প্রধান কিছু হল - ইলেক্ট্রা (১৯৬২), জোরবা দ্য গ্রীক (১৯৬৪), ব্লাড অন দ্য ল্যান্ড (১৯৬৬), দ্য ট্রোজান উওমেন (১৯৭১), ইফিজেনিয়া (১৯৭৭), মিসিং (১৯৮২), দ্য বি-কিপার (১৯৮৬), ল্যান্ডস্কেপ ইন দ্য মিস্ট (১৯৮৮), ইউলিসিস’ গেজ (১৯৯৫), ইটার্নিটি অ্যান্ড আ ডে (১৯৯৮), ডগটুথ (২০০৯), ডিগার (২০২০)। 

একটা ব্যাপার লক্ষ্য করুন, এই যত গ্রীক সিনেমার কথা ওপরে লিখলাম, তার মধ্যে সিংহভাগ ছবির পরিচালক ক্যাকোয়ান্নিস ও অ্যাঞ্জেলোপাউলোস। ক্যাকোয়ান্নিস নির্বাক চলচিত্র জমানার সেই পরিচালক, যিনি অবলীলায় থিয়েটারকে সিনেমায় তুলে এনেছেন। কিন্তু যার সিনেমায় সূক্ষ্ম চলাফেরা, সূক্ষ্ম বদলে যাওয়া, সূক্ষ্ম সময়ের হেরফের, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সবই অবলীলায় ধরা পড়ে - তিনি হলেন অ্যাঞ্জেলোপাউলোস। লং শট এবং যৌগিক দৃশ্যের জাদুকর। দেখতে বসলে মনে হয় হিপনোটিক এফেক্ট ধরা পড়ছে। ওনার সাইলেন্ট ট্রিলজি (ভয়েজ টু সিথেরা, দ্য বি-কিপার এবং ল্যান্ডস্কেপ ইন দ্য মিস্ট) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সিনেমার সিলেবাসে পড়ানো হয়। আমরা গ্রীসের ছবি শুরু করব ওনার বিখ্যাত ছবি ‘ইটার্নিটি অ্যান্ড আ ডে’ দিয়ে।

আলেক্সান্ড্রোস মাঝবয়েসি এক লেখক। সালোনিকি শহরের সমুদ্রতীরে তার বাড়ি। একদিন হঠাৎ সে জানতে পারে তার এক দুরারোগ্য রোগ হয়েছে যার জন্য কাল তাকে হসপিটালে ভর্তি হতেই হবে। এবং সে নিজেও জানে না সে ছাড়া পেয়ে আবার বাড়ি ফিরবে কিনা। তার আক্ষেপ, সে এক বিখ্যাত কবিতার বই শেষ করতে হয়ত পারবে না। সে তার মেয়ে জামাইয়ের কাছে যায় তার পোষ্য কুকুরটার খেয়াল রাখার জন্য কিন্তু মেয়ে অস্বীকার করে। সে ফিরে আসে। এবং রাস্তার ধারে এক আলবানিয়ান উদ্বাস্তু ছেলেকে কি করে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই চিন্তায় মগ্ন হয়। অতীতের অনেক স্মৃতি তাকে ঘিরে ধরে। তার মৃতা স্ত্রীকে সে দেখতে পায়, তার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। সে কি পারবে এই এক দিনের জন্য অমরত্ব পেতে?

এই থিম নিয়ে বিষাদে ভারাক্রান্ত ছবি ‘ইটার্নিটি অ্যান্ড আ ডে’। থিও-র দু’ঘন্টা সতেরো মিনিটের ছবি। যেন একজন কবির জ্যামিতি, টপোলজি। কবি জানে সে আর একদিন পর পৃথিবীতে নেই, তবুও সে ফেয়ারওয়েলের কোন আয়োজন করছে না, বরং নীরবে অতীতের স্মৃতি নিয়ে চলে যাচ্ছে। শুনলে অবাক হতে হয়, এই সিনেমার শরীরি ভাষা একটাই শক্ত যে ছবির মুখ্য চরিত্র ব্রুনো যে প্রত্যেক সংলাপ জার্মানে বলেছেন, তারপর সেটা গ্রীক ভাষায় ডাব করা হয়েছে, তা বোঝা যায় না। শুধু একটাই কথা ছবির পর দর্শকের মনে রয়ে যায় – ‘Tell me, how long does tomorrow last?’।    

শেষ করার আগে ক্যাকোয়ান্নিসের ‘জোরবা দ্য গ্রীক’ নিয়ে কিছু কথা। অস্কার পাওয়া ছবি। এক তরুণ লেখক ক্রিটি দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে জোরবা নামক এক বৃদ্ধের সাহচর্যে আসেন। এবং আস্তে আস্তে তার জীবনদর্শন বদলে যায়। জোরবা-র ভূমিকায় অ্যান্থনি কুইন অনবদ্য। গোটা সিনেমা মনে হবে যেন এক বন্য ঘোড়া, ছুটেই চলেছে, ক্লান্ত হবার লক্ষন নেই। আজো এই ছবি দেখলে সতেজ লাগে। জীবনে বাধা সত্তেও এগিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। জোরবার মুখে – ‘Life is trouble. Only death is not. To be alive is to undo your belt and look for trouble’, ভোলা যায় না।   

গ্রীক সৌন্দর্য, গ্রীক সিনেমা দেখলে মাথার মধ্যে বিষ্ণু দে-র উর্বশী ও আর্টেমিস খেলে যায় – ‘আজো তাই লাবণ্যের  ঘরে/ আমার চেতনা ছেয়ে মায়া জাগে লাবন্যের নিঃশ্বাসের স্বরে/ নিঃশ্বাসের গন্ধে তার চুলের কালোয়/ উর্বশীর মায়া লাগে...’। গ্রীস নিয়ে আমার কিছু স্বপ্ন আছে। ইচ্ছে আছে মনের মানবীকে সঙ্গে নিয়ে জীবনে অন্তত একবার গ্রীসে বেড়াতে যাব, এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিসে বা ডেলফি-র থিয়েটারের ধ্বংসস্তূপে ইতিহাসের রোমাঞ্চ অনুভব করব, ভূমধ্যসাগরের তীরে সান্টোরিনি দ্বীপে ছবির মত সাজানো সাদা বাড়িঘরের মাঝে হাতে হাত রেখে অলিতে গলিতে পাগলের মত ঘুরে বেড়াব, দূষনহীন গাড়িহীন রোডস্‌ শহরে পায়ে পায়ে মনুমেন্টগুলো দেখব, একবার তুর্কিতে ঢুঁ মেরে আসব আর পারোস দ্বীপের নীল জলরাশির মধ্যে দুজনে বসে সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা শহরটায় দুচোখ মেলে সময় কাটাব।

ব্যস্‌, ইউরোপ নিয়ে সিনেমা ভ্রমণ এবার সাঙ্গ হল। সামনের বার অন্য মহাদেশ।  

(ক্রমশ)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন