কবিতার কালিমাটি ১২৮ |
নীরবতা
এখন এই নির্জনতা
আর নীরবতার শব্দ আমি উপভোগ করি
আধো অন্ধকার
দিগন্ত থেকে ধীরে উঠে আসে আলো
প্রথমে মনে
হয় কেনো সংকেত হলুদ উজ্জ্বলতা আর বিশেষ খবর নিয়ে
থেমে যাবে জানালার
ওপারে
আসলে তা রাতচরা
এরোপ্লেন
খানিকটা শব্দ
ছড়িয়ে চলে যায়... দু'কান বন্ধ করলে আদিম এক
শব্দ শোনা যায়
পিঠ সোজা করে
বসে প্রতিটি শ্বাসে টেনে নিই সৃষ্টির সেই বিশুদ্ধ ধ্বনি।
একটি ন্যায্য মিছিল
একটি জলা ভূমির
খোঁজে একদল হাঁস ধুঁকতে ধুঁকতে চলেছে।
শুধু মানুষের
আবাসন, কারখানা আর হাসপাতাল
কে এনেছিল এই
পাখিগুলিকে?
কী করুণ কাজল
পরা চোখ!
শুধু ফ্লাই
অ্যাশ,বালি মাটি ঢেলে ঢেলে... শুধু চুরি শুধু ভান আর বকম বাকম
বেশিক্ষণ ভাবতে
পারি না
এখনো কতটা পথ
যাবে ওরা অথবা আমার সন্ততি!
হো'ওপনোপোনো
একটানা বলতে
থাকি "দু:খিত, ক্ষমা কর, ধন্যবাদ, ভালবাসি"
হাওয়াই দ্বীপের
প্রাচীন এই চর্চা আমার ভিতরে ঢুকে যায় ধীরে...
শ্বাস নিই আর
সাথে চেয়ে নিই পৃথিবীর নিরাময়
শ্বাস ছাড়ি
আর চেয়ে নিই মানুষের বোধ
রাত শেষের পাখি
ডাকলে ঘুমিয়ে পড়ি।
কান্না শুকিয়ে
সাদা হয় চোখের কোল
কী বা করতে
পারি এত কম জ্ঞানগম্যি নিয়ে?
বসে বসে দুর্ভাবনা
করি কোন বাতাস শ্বাসে ভরবে উত্তরপুরুষ?
আর বলতে থাকি
"দু:খিত,
ক্ষমা কর, ধন্যবাদ, ভালবাসি"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন