কবিতার কালিমাটি ১২৮ |
পতঙ্গের নিঃসঙ্গতা
(১)
এসব নির্বাক
স্তব্ধতা
সে কখনই চিনলো
না
অথচ চোখের আলোয়
আমাদের ভাসানো
চেতনা
রহিম হৃৎপিণ্ড
খুলে দেখতে পায়
দেখতে দেখতে
নিজেই দৃশ্য হয়ে ওঠে ~
(২)
উপোস রাতের
কালোয়
নিস্প্রভ চোখের
তারা
খিদের গান
সুরের মূর্ছনা
কাতর গলা বেয়ে
নেমে আসে বারান্দায় ~
(৩)
লিংগময় ধবধবে
লতাপাতা
কথা বলে ফিসফিস
বকের পাণ্ডুলিপি
মৃত্যুর রেলপথ
বুকের গভীর দোতারায় ~
(৪)
তারপর কামের
মুদ্রায়
মোহমুগ্ধ পৃথিবীর
মহারণ
বিলম্বেই ফিকে
এবং তুমি ও
তোমার অপূর্ণতা
ইত্যাদি ইত্যাদি
এইসমস্ত
ধর্মান্ধ আবহের
বিনির্মাণ
এতকিছুর পরও
এখনও আঁকড়ে
ধরে কালসাপ
~
কখনও কখনও মনে
হওয়ার ভেতর
আয়না স্বচ্ছ
করে এসব
কিংবা প্রণয়মুহূর্তে
সেসব
ভুল চোখে সাজানো
গোলাপ
অথচ এই রঙিন
রমণে স্বেচ্ছামৃত্যুপ্রবণ আলপিন ফুটিয়ে তোলে ধারালো এক দীর্ঘশ্বাস
(৫)
একাগ্র জ্যামিতিবক্স
কাঁটাকম্পাসের
গভীর উপচে কিছুটা তরল
তারপর হৃৎপিণ্ড
ঠেলে
একটা চুমুর
শিউলি ফুল
তোর অন্ধকার
মনোবাঞ্ছায়~
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন