প্রতিবেশী সাহিত্য
কার্ল স্যান্ডবার্গ-এর কবিতা
(অনুবাদ : বাণী চক্রবর্তী)
কবি পরিচিতি : কবি কার্ল স্যান্ডবার্গ-এর জন্ম ৬-১-১৮৭৮ এবং মৃত্যু ২২-৭-১৯৬৭ সালে। তিনি ছিলেন
একজন আমেরিকান কবি, জার্নালিস্ট, বায়োগ্রাফার এবং সম্পাদক। তিনবার তিনি পুলিত্জার পুরষ্কার
পেয়েছিলেন। দু’বার কবিতার জন্য এবং একবার আব্রাহাম লিংকনের জীবনগাথার জন্য।
who am I (আমিই সত্য!)
আমার মাথা নক্ষত্রদের
ছুঁয়ে যায়,
পর্বতশৃঙ্গ স্পর্শ
করে আমার দুটি পা
করাগ্র ঘুরে বেড়ায়
জাগতিক জীবনের
তীরে তীরে ও উপত্যকায়!
মানব জীবনের প্রারম্ভের
উচ্চকিত
ও ফেনায়িত শব্দের
ভেতর আমার হাত
খেলেছিল অদৃষ্টের
নুড়িপাথরের সাথে!
বারবার নরকের দরজায়
গেছি
ফিরেও এসেছি প্রতিবার।
স্বর্গের ধারণাও আছে
কারণ ঈশ্বরের সঙ্গে
কথা বলেছি।
রক্তের বন্যায় পা
ডুবিয়ে
ভয়ংকরের মুখোমুখি
হওয়ার
সাহস অর্জন করেছি।
জানি সৌন্দর্য কেড়ে
নেয়ার আবেগ,
ও মানবজাতির অদ্ভুত
বিরুদ্ধাচারণ
সমস্ত "দূরে
থাকো" থেকে!
আমি সত্য!
এই ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে
অধরা বস্তু!
Under the
harvest moon (পরিপক্ক চাঁদ)
পূর্ণ চাঁদ যখন জ্যোছনা
ছড়ায়
রূপালি কিনারা ঝলমল
করে রাতের বাগানে,
মৃত্যু, আলো আঁধারিতে
মজা করার মতো
তোমার কানে কানে ফিসফিসিয়ে
কিছু বলে
যেন এক সুন্দর পুরনো
বন্ধু
তোমাকে স্মরণ করেছে!
গ্রীষ্মের গোলাপগুলো
যখন
চারিদিকে ছেয়ে থাকে…
সুবাস ছড়ায়! গোধূলির
অপেক্ষায় থাকা
লাল পাতাগুলোর সাথে
ভালবাসা আসে!
ভালবাসা আসে… হাজার
স্মৃতি নিয়ে
ছোট্ট হাতদুটো দিয়ে
তোমায় স্পর্শ করে
তোমার সামনে রাখে,
অসংখ্য সুন্দর অনুচ্চারিত
প্রশ্নাবলী!
যার উত্তর নেই!
Happiness (সুখের
ঠিকানা)
জীবনের অর্থ বোঝায়
যে অধ্যাপকেরা
তাদের কাছে সুখ কী
জানতে চেয়েছিলাম!
বড় বড় উদ্যোগপতি,
যারা হাজারো মানুষের
অন্নদাতা
তাদের কাছেও সুখের
ঠিকানা চেয়েছিলাম।
তারা সবাই মাথা নেড়ে
মৃদু হাসি দিয়ে বোঝালো
তাদের বোকা বানাচ্ছি!
তারপর এক রবিবার সন্ধ্যায়
নদীর ধারে পায়চারি
করতে করতে
গাছের নীচে একদল হাঙ্গেরিয়ানকে
উল্লাসে উচ্ছ্বসিত
দেখতে পেলাম…
সাথে রয়েছে তাদের
স্ত্রী ও সন্তানেরা,
ছোট এক ব্যারেল বীয়ার
আর একটি একরডিয়ান!
যা আনন্দে বাজিয়ে
চলেছে কেউ না কেউ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন