প্রতিবেশী সাহিত্য
হারিওম রাজোরিয়া কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
কবি পরিচিতিঃ কবি
হারিওম রাজোরিয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৪ সালের ৮ আগস্ট মধ্যপ্রদেশের অশোকনগরে।
পেশাগতভাবে তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর কবিতা সংকলন যহ সচ হয়, হাঁসিঘর, খালি কোণা
ইত্যাদি। ইংরেজি সহ বহু ভারতীয় ভাষায় তাঁর কবিতার অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ হিন্দি সাহিত্য সম্মেলনের বাগীশ্বরী পুরস্কার, অভিনব শব্দ শিল্পী
সম্মান অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি নাটক পরিচালনা ও অভিনয়ে সুনাম অর্জন করেছেন।
ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের (আইপিটিএ) মধ্যপ্রদেশ ইউনিটের সম্পাদক।
ভালো মানুষ
যে ভালো মানুষ হয়ে দেখাতে চায়
এই লোকটির অভ্যাসের দিকে একটু মনোযোগ দেওয়া উচিত
একজন ভালো মানুষের পোশাক সব সময় এত সুন্দর ও গোছানো হয় না।
একজন ভালো মানুষ সবসময় সুখীও হয় না।
ভালো মানুষ এতটাও ভদ্র নন, না ওরা স্থিরভাবে নিয়ম মাফিক হাসেন।
ভালো মানুষ সব দিক থেকে ভালো হয় না,
অনেক মানুষ ভালো মানুষকে নমস্কারও করে না।
এই সঠিক মানুষটিকে
সঠিকভাবে চিহ্নিত করা উচিত, যতক্ষণ আপনি তাকে
একজন সঠিক মানুষ বলবেন,
ততক্ষণ ভালো মানুষ ঠিক হবে না, ঠিক।
চুপচাপ হয়ে পড়লে শহর
চুপ থাকাই ভালো, চুপ থাকাটাই সময়ের দাবি
যারা কথা বলতে পারে না
তার পিঠ চাপড়ান
যারা চুপ থাকে
শুধুমাত্র তাদের দাও শারদ
যারা চুপ করে মেনে নেয়
তাদের পাওয়া উচিত পুরস্কার
সন্ধ্যা যেমন নীরব থাকে তেমনি চুপ থাক
গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ার মতো
একটি মেয়ে যেমন নীরবে কাঁদে,
তবেই পার হতে পারবে তুমি
তখন কালের এই নদীতে নীরবে বয়ে চলবে
তখন বেরিয়ে পড়বে পা চেপে
আর পথে চুপচাপ
কথা বলছে এমন একটা শব্দ খুঁজবে।
নীরবতা
আমার ভেতরে কেউ লড়ছে, শুধু কণ্ঠস্বর
দরজা বন্ধ, বাতাসের কোলাহল দেয়ালে ফিরে আসছে,
বাইরে করিডোরে কুকুরগুলো
অন্ধকার ল্যায়ার মধ্যে চলে গেছে
আমার অংশে শুধু ঘড়ির শব্দ, এমনকি হাতের নড়াচড়াও শোনা যায় না,
আমার শরীরের স্পন্দনও যেন শোনা যায় না।
এই নীরবতা নিয়ে কী করব? এই নীরবতার উত্তাপে জ্বলছে! কে এখানে ছেড়ে গেছে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন