কবিতার কালিমাটি ১২৭ |
সোহাগবাথান
(১)
কোনও ভাঁজ না
রেখে
আলতো ছোঁয়ার
সঙ্গে
একটা রাতের
দিওয়ানা দিল
ঠুমকো গাইছে।
যে যার মতো
বিকোচ্ছে
মুখ না মুখোশ!
চাঁদের হাটে
মিথ্যেগুলো।
মাত্রা ফেলে
অজস্র ড্যাশ
অন্ধ খেলা
বুকের মধ্যে
বিন্দু বিন্দু
হলদে বাটা মায়া।
পাতার পর পাতায়
জ্বলতে থাকা
পূর্ণচ্ছেদের
রতি
ফাঁকা দু’ঘর
মাতন ভাবছে।
(২)
নিষেধ জুড়ে
কয়েক ফর্মা
অগ্রন্থিত তাপ
আড়িপাতা অক্ষরগুলো
বুঝে নিতে চাইছে
সমীকরণের দীর্ঘতা।
দুধেলা মেঘ
উপুড় করে
একটা পথ আমাদের
জেগে জেগে
পথিকানায়।
কয়েকটা রাশ
সম্বোধনের
অরুন্ধতী একলা
দুইছে
কুয়াশার পট
ধুলোগন্ধ।
সারাটা দিন
চড়ুইদানায়
বাঁধাই হচ্ছে নিঃশব্দ।
(৩)
নোঙর তোলা নুড়ি
পাথর ভাঙছে
পোষ মানা জল
কূলের উপোষ
জ্যোৎস্না দিলে
পুরনো খড়
উলো ঝুলো।
গালবাদ্যে হারানো
টুপ
প্রতিধ্বনির
ভারে
সোহাগবাথান
ভাসতে ভাসতে
আলসে কোণায়
স্মরণসন্ধ্যা বসে।
হাহাকারের মাথায়
মা শতাংশ মায়া
একটা তো নয়
তোড়ায় বাঁধছি
রাতগন্ধের খোঁপা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন