কবিতার কালিমাটি ১২৬ |
যারা যারা কবিতার থেকে
দূরে - তাদেরই কয়েকজন
(১)
গাছের
পাতার রোদে ছাপ ফেলছে
পালিয়ে
যাচ্ছে কোন সকাল।
অকবিতাকে
সরিয়ে দিচ্ছে,
উড়িয়ে
নিচ্ছে
বিবিধ
উৎকল হাওয়া।
পার্শ্ব
চরিত্রে নিবেদন দেখছে
উড়ে
যাচ্ছে চিতার শেষ ঘ্রাণ।
দু
একটা চলতি আধুলি সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে গেল-
বলে
গেল,
এখানে
কবিতা আসেনি, আসতে পারে না, আসবেও না।
-এই
একা বসে থাকা, এই অকবিতা, কবিতার থেকে অনেক
দূরে আধুলি হয়ে গড়িয়ে যাওয়া।
(২)
সুন্দরকে
সুন্দর কর,
সৃষ্টির
মাঝে ফ্রেম ও আকারকে বসিয়ে দাও।
ছবি
করে তুলতে গিয়ে, সমস্ত কেটে ফেলা কাগজ
জানিয়ে
গেল সমবেত প্রান্তিক স্বপ্ন একসঙ্গে-
অকবিতার
ছবি, একলা ঘরে ফেরার অন্ধকার।
-এই
সমস্ত ফেলে দেওয়া কাগজ আজকের অকবিতা। বৃষ্টি ভেজে, উড়ে যায়। হাওয়ায় মিশে যায়।
(৩)
দূরে
থাকতে থাকতে সমস্ত চিতা ঘুমিয়ে পড়ে
বিশুদ্ধ
শব্দ আসে,
আসে
সমস্ত আলপিনের সত্য
না-ভাপ,
না-চোখ জ্বলার দিনগুলি।
আসে
ছাই হয়ে যাওয়া কাগজের চিন্তা
গা
বাঁচিয়ে, একাকীত্বে এক একটি বিকেল হয়ে যায় কবিতাহীন।
তেলের
উপর ঝপ করে নেমে আসে - সন্ধ্যে,
নেমে
আসে অকবিদের দেশ।
-তেল,
সলতে লাগিয়ে থাকা বিকেলগুলি এখন অকবিদের দেশ। তারা ঘুমিয়ে পড়ছে, পথ দেখাচ্ছে।
(৪)
গাছের
পাতায় ছাইরঙ, দূরে থাকা পাখিদের দেশ,
সমস্ত
জ্যোতি ভেঙ্গে গিয়ে, ছাদে দাঁড়িয়ে বিকেল মরে যায়।
একলা
মেয়ের বিনুনি দোলে,
শামুক
প্রবণ আকাশ, পিছন ফেরে না-
দূরের
লালের মত ফিকে হতে থাকে কবিতা উৎসব।
যে
প্রান্তিক আকাশ একান্ত নীল, মেঘ করলে সে সমস্ত অস্তাচল,
স্বপ্ন
অবাস্তব।
-এই
অস্তাচলে সমস্ত স্বপ্ন তৈরি হয়। তৈরি হয়ে উৎসবের
আনন্দে মরে যায়।
(৫)
দু
টুকরো রদ্দুরে, তেলহীন চুলে,
ঝপ
করে স্বপ্নের মত চলে যায়, এক বাসস্থান কবিতা।
খুচরো
পয়সার মত রিনরিন করে থেমে যায় শ্রেণীহীন প্রস্তুতি।
এক
দিন এক রাত, হাজার দিন হাজার রাত-
কবিতা
অকবিতার পথ-বিভাজিকা বেড়ে চলে,
দূরে
স্বপ্নের কাছে থেকে প্রেম করে
আখতারী
গান, ফেনা ওঠা সাবান ।
সন্ধ্যেরা
সব পালিয়ে যায়
বেড়ে
চলে বিশেষ উন্নতি।
-এমন
সব বিভাজিকার পাশে সারিসারি অকবিতারা সাবানের স্বপ্নে বিভোর হয়। বিভাজিকা বেড়ে চলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন