বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

পৌলমী ভট্টাচার্য

 

কবিতার কালিমাটি ১২৬


ভাঙা ঈশ্বর

 

ঈশ্বরকে ভাঙছি প্রতি রাতে, শ্মশানের ভেতর আত্মা। জন্ম নিচ্ছে কত-শত স্বাভাবিক আবেগ...

ওঁর পা-য়ে আমার মাথা। মাথার ওপর অধরা বুলি ... বিগ মিস্টেক্; শুধরে বলি

বাজছে করুণ স্নেহ-রাগ...

 

কোনোমতেই মানতে পারি না তোমাদের করুণা।

অ-বিভক্ত অন্তর থেকে খোদাই করা অনুভবের শিলাগুলো গুড়িয়ে দিলেই কী বাবা কে আলাদা করতে পারবে! তোমরা এবার নিজেদের মূর্খ ভাবতে শেখো... জানতে শেখো

রক্ত কথা বলে।

 

নিষিদ্ধ পলাশ

 

ফাগুন নষ্ট হচ্ছে দেখে মৃত বাতাস

লিখেছি পাঁপড়ির গা-এ; ছিল নিষিদ্ধ পলাশ

তুমি কি তখনও প্রিয় ছিলে নারীর ঠোঁট উঠোনে! অকারণে গ্রীষ্ম নেমেছিল আমার পনিটেলে;

বলিনি, সাজিনি, কাঁদিনি রাতের হিম ঘরেতে।

 

কবরের পাশে প্রাক্তন রজনীগন্ধাদেরকে

টুর্নামেন্ট জেতা সু-গন্ধ ভাবি আজও, যেখানে তাদের সঙ্গ লাভ করার ছল নিয়েছি বুড়ো হওয়া মৃতদের কোল ঘেঁষে।

আমার উন্মুক্ত চুল বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে স্রোতলেস্ শব্দ-দল, যাদের কখনও চিয়ার্স করতে বর্ণময় লিপস্টিক থাকতে নেই। প্রভাত ফেরির সময় আমাকে বিদেহী ভাবলে অথচ কোন্ ঐতিহাসিক কান্নায় স্নান সেরেছি ব'লে আমায় ঘুমোতে বললে।

 

বিশল্যকরণী প্রত্যাশা

 

কাল যা বলতে পারিনি...

শেষ তারাটা জাগার আগে গলায় আঁচল রেখেছিলাম, হাতে বিশল্যকরণী প্রত্যাশা।

 

জাগতিক ডিউটি সেরে মহাপথ যখন পূর্ণ ক্লান্ত

বর্ণণা খুঁজছে তখন আমার রাশভারী চিন্তা; বিজয়া একাদশীকে ক্ষীণ করে তুমি যেন সেই অগণিত ফ্যানাদের মাঝে স্বার্থ পরিষ্কারের

প্রজেক্ট ম্যানেজার। অনেক কষ্টে পরিষ্কারে আছে

আমার কুলুঙ্গি তে রাখা তোমার ১'আনা অপ্রীতিকর আবাহন তিথি।

 

"কমলাকান্তর মন ত্যাজ অন্য আরাধন";

সাধনা কাকে বলে জানো!

 

 

 

 

 

 

 


1 টি মন্তব্য: