বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

প্রাণজি বসাক

 

কবিতার কালিমাটি ১২৬


হেরে যাই

 

কে তবে খুলে নিল হাড়পাঁজরা নৈমিত্তিক চলন থেকে

আমি যে আমার মতো ভাঙছি নিত্যদিন নব্য সম্পর্কে

অতলে তলিয়ে গান রেওয়াজ করি ভাবসাগরের রসে

কত ছবি ভাসে মুছে যায় ঢেউ উথলায় চাঁদের হাসি

তবুও হেরে যাই গভীর পর্যায়ে - প্রতিবার ফিরে গেছি

খোলস বদলালে স্লথ হয় গতি আর চোখের চাহনি

ভাসে অনন্ত অসীমে তোমাকে পরিয়েছি সূক্ষ্ণ প্রতীক

তীর্থ ভ্রমণে স্নানান্তে অনুরাগে খুলে রাখলে পরিতাপ

একটা মানুষ পেরিয়ে যায় অন্য মানুষের ঘন ছায়া

মানুষ অবয়বে মানুষ অন্তরাল অবয়বে থাকেন ঈশ্বর

 

রবিবার এলে

 

অন্তরাল থেকে সন্তর্পণে গুটিয়ে আনা ক্যানভাস

ফ্যাকাসে রঙ ধরে অবয়ব ধূসর বিষণ্ণ মর্মান্তিক  

গুমোট গন্ধে ক্রমশ ভরে ওঠে পড়ন্ত বিকেলটা

কী করা যায় আর কী করা যায় না এমন ভাবনাটা

অপ্রকাশিত কবিতার খাতা সোঁদা গন্ধময় নিসর্গে -

রবিবার এলেই একটা ভাবনা একটা গন্ধ নেচে ওঠে

সরাসরি পৌঁছে গেলে সিঁড়িগুলো গায়েব হয়ে যায়

দীর্ঘ বিরতির পরও ম্লান হয়ে আসে এতো পিড়াপিড়ি

নিরীহ দুপুরে নিরীহ শব্দটুকু বুকের গহ্বরে অমোঘ

জ্বরে আক্রান্ত - আর বুঝি মেঘেরা ওড়াউড়ি করে না

 

গেহবাথানে

 

তারপর বাঘটা ঘুমিয়ে পড়েছে কমপক্ষে টানা দু'ঘন্টা

থাবার নখগুলো তুলতুলে মাংসের গহ্বরে হেফাজতে

রক্তের দাগ শুকিয়ে চরচর করছে — দিল্লির রোদে

জাঠযুবতী গমক্ষেতে হরিতবক্ষে তু চঞ্চল মন্দাকিনী

বাঘটা জেগে উঠে চষে বেড়াবে গমক্ষেত পাহাড়টিলা

সাঁই সাঁই বেগে ছুটছে রাজধানী আঁধি আথালপাথাল

রোদ্দুর খানিকটা জিরিয়ে নিয়ে উঠে যায় বনবাদাড়ে

আজকের মতো গতর গুটিয়ে সরে দাঁড়ায় সে টিলায়

গুড়গাঁও থেকে ছুটে আসে সারি সারি ক্যাব যুদ্ধশেষে

জাঠযুবতী ফিরে আসে গেহবাথানে বাঘ জেগে থাকে 

 

 

 


২টি মন্তব্য: