কবিতার কালিমাটি ১২৫ |
মহাপ্রলয়ের বিশেষ ভূমিকা
উদভ্রান্ত ভ্রান্তিগুলো
খুব কাছে এসে
দীর্ঘক্ষণ বসে
থাকে উবু হয়ে
তোমাদের অতিরিক্ত
দাওয়ায়
প্রলাপ বকছে
নাকি
অবিরাম শয়নে-শ্মশানে
কার সাথে ফিসফাস
কার সাথে অতিদ্রুত
আলিঙ্গন হলো
তোমার কি অভিপ্রায়,
কীভাবে জানবো বলো
রাতটুকু ফুরায়
না আর
প্রথাগত সন্ন্যাসীরা
চলে গেছে দ্রুত
কার ধ্বনি শুনে
দেখে ক্ষয়ে যাবে রুগ্ন দিনকাল
দাঁড়াও ভোরের
আলো
সুনিবিড় বাতাসের
অতি দীর্ঘশ্বাস
জানি না তেমন
কিছু
জানি না কখন
ভোর হবে
অবোধ কান্নারা
সব
জানি না কোথায়
আজ জায়গা নিয়েছে।
নিঃসঙ্গ বোঝাপড়া
কাউকে দেখি
না আজ
হৃদয়ের কাছাকাছি
এসে
দুঃখভুক হতে
পারে
প্রিয়তর হয়ে
মনের গহীনে
আজ
কারা করে আসমানদারি
কার হাঁটা শুনি
রোজ
শিরা শিহরণে
মুমূর্ষু হয়েছে
মন
ক্লান্ত ও জরাভারাতুর
দিন কি বিফলে
যাবে
কাটবে কি রহস্য
অপার।
দুঃস্থ যাযাবর
বিস্তীর্ণ প্রান্তর
দেখি
ধূলিঝড়ে সম্বিৎহীনা
তুমি কি পেরিয়ে
গেছো
এত তপ্ত উপকূল
রূঢ় কিছু অনুযোগসহ
পায়ে কি আগুন
ধরে
হৃদপিণ্ডে সাময়িক
রক্তপাত হলো?
মগজে কিসের
ধুয়ো
রাতভর মরুদন্য
আসে
প্রয়াণে তোমার
দেখি শিহরণ জাগে
তার মানে মৃত্যুভয়
এখনো সামনে আসে
তোমাকে জড়িয়ে
ধরে আষ্টেপৃষ্ঠে
আমিও ভীতসম্প্রচারে
খুঁজে নিই পাপবিদ্ধ
আর্তমাতৃগৃহ
তারপর বসে থাকি
জন্মান্ধ যেমন
অনুকূল পরিবেশ
আসবে না জানি
তারপরও মরণোত্তর
ত্রিকালদর্শি
আসবে আমার কাছে,
আর
আমি বলে দেব
পার্থিব রহস্যসহ
জীবনের গভীর
প্রকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন