শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

পৌলমী ভট্টাচার্য্য

 

কবিতার কালিমাটি ১২২


দীর্ঘ আয়ুতে সিগারেট

 

অমায়িক সিগারেট পুড়তে থাকলে

দু'আঙুলের পিলার

মজলিশ করে ধুম্র কথনে

 

বাতাস বন্ধ থাক...

 

দীর্ঘ আয়ুতে জ্বলবে

সিগারের স্লিম শরীর, যেখানে

নিজস্ব সুখ ধড়কন ভুললে

খেসারত দেয়

দোমড়ানো ফিল্টার, কারণ

 

অনবরত  পিষ্ট হচ্ছে

পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া...

 

আনকাট লাগেজ

 

সত্যিই কী অসম্ভব ছিল

গিটার জড়ানো সকালটা!

 

যেটা দেবে ভেবেও

নিয়ে গেছিলে

আর্মি গ্রিন দপ্তরে...

 

হুলুস্থুলু দম্ভ নিয়ে

জঙ্গলটা ঘিরেছে যখন তোমায়

আমি শাঁখে জল দিই,

পরিচয় করাই সহযাত্রিক টেনশনের সাথে

 

এতদিন না খুঁজেও হাতে থাকে

ব্লাড প্রেসারের রেজাল্ট

বরাদ্দ করা সময়সীমা পেরোলে ভেবেছি

এবার লাগেজ হবো তোমার

 

মনটা হাল্কা রেখো কেমন!

 

দেখো আর আমাদের মনে কখনও

মোম গলবে না...

 

পরিণতি

 

একটা মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে

চোখে নকশা আঁকেন রবীন্দ্রনাথ-

 

বারবার হেঁটেছি সে পথে : পরিচিত, তবু

ঘুলঘুলির ওপারের ঘুমানো ছবিরা

আমায় ঘুমাতে দেয় না,

একা থাকলে গিলতে আসে

অনাবৃত আলো

 

অনার্যের মশারি খুলে বেরোই;

'কিন্তু', 'অথচ' পদগুলো থেকে

রেহাই পাই না...

মনে পড়ে টেগোরও নির্ভেজাল মনে

কালচার্রড হয়ে দেখিয়েছিলেন

বীর শ্রেষ্ঠ তিনি, যাকে

ভয় পেয়েছিল মৃত্যু...

 

শব্দের হাত ধরে এগোলে

আশা রাখি শেষ বিন্দু থাকবে কোথাও

যেখানে মিশে যাবে অন্তিম পরিণতি...

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন