কবিতার কালিমাটি ১২২ |
ভৈরবী বিলাপ
এরপরও তুমি
বলবে সমাধানের জন্য ভেবো না
পাটভাঙা শাড়ি
খুলে এ গায়ে জড়িয়ে দিয়ে
সঞ্চয়ে দাও
হাত
এসব কৌতুকে
সারারাত ধরে একাঙ্ক নাটকে কোনো দর্শক নেই
আবার নতুন করে
শুরু
আস্বাদনে কিমাম
সুরভি
পাখিদের মৈথুন
প্রহরে
আবার নতুন করে
শিখিয়েছ
পান্ডুলিপি
সূচীপত্র
উৎসর্গ
এসব প্যাকেজ
তোমার রূদ্রাক্ষের
নিচে
নোলক বাসনা
কবে থেকে
ছিদ্র ছিঁড়ে
বিন্দু বিন্দু
লবণাক্ত স্বাদ
তুমি যাকে আলতা
জানো দশকর্মা খুলে বসো
ভক্তি বিতরণে
আসলে তা রক্ত
আর
সব মাসেই সময়
মেনে রজঃস্রাব
ভৈরবী বিলাপ
অন্ধকারে ডুবে
যাই
তুমিও যেভাবে
অন্ধকারে
আমাদের ওপরেই
স্টোনচিপস্
ঢেলে দেয় গলে
যাওয়া পিচ
রাস্তার দুপাশে
পড়ে থাকে
দু'জোড়া হাওয়াই
চপ্পল
মাঝরাতে এভাবেই
পরস্পর
সশরীর থেকে
আশরীর
মুদ্রানীতি
কপর্দকশূন্য
হয়ে
ঢুলে পড়ি এ
ওর স্বভাবে
অন্ধকারে ডুবে
যেতে যেতে
এ ওকে আঁকড়ে
থাকি
দু'পায়ে পেঁচিয়ে
বিসর্জনের আগে
বিসর্জনের আগে
পিছনে ফিরল দেবী।
একটা সিনেমা
শেষ হওয়ার আগেই যেমন
উঠে দাঁড়ায়
দর্শক --
দরজা খুলে যাওয়া
আর বন্ধ হয়ে যাওয়ার মাঝখানের মুহূর্তটা
অন্ধকারেই
--
আমরা স্পর্শকে
আঙ্গিকের বিচারে দূরত্ব শুনিয়েছি
আর আকুল শব্দটা
ভিড়ের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছি
নিতান্ত অবহেলায়
তার আসা,
ফিরে যাওয়ার
নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই
তবে ধুলিয়ানের
মত না বলে কখনও যায়নি
বিসর্জনের আগে
দেবী ধুলিয়ানকে
দেখেছিল ভিড়ের
মধ্যে
আরেকটু অপেক্ষা
করলে হয়ত তাকেও খুঁজে পেত
মেলা'র আত্মকথায়
--
ততক্ষণে সে
আকণ্ঠ ডুবে যাওয়া,
তৃতীয় নয়ন বেয়ে
রক্তচন্দনের পূজা পর্ব
আয়না লুকিয়ে
–
বর্ষণমুখর
সব কিছু পাপ
নারীজন্ম অথবা
বৈধব্য
বৃষ্টি ভিজে
ডানাদুটো ভারী
উল্টে যায়
ফোল্ডিং ছাতা
জ্বলে যাওয়া
মিটারবক্সে
টর্চ দিয়ে খানা
তল্লাসি
রাতভর
সকাল হারিয়ে
যাওয়া ডানার কথারা
পাখিদের খড়কুটো
ব্যস্ততার ভান
উড়তে পারি না
এমন সমাজে
অন্ধকারে ডুবে
যেতে যেতে বলেছি অনেকবার
এ অসুখ অস্বীকৃত
অন্য গ্রহে চলো
অর্ধদগ্ধ অনুকম্পা
দুয়ের মিশেল
ছোঁয়াচে বিজ্ঞাপনের
ছবি
অথবা আসক্তি
চেতনা বিজ্ঞানে
লেখা
পড়ে দেখতে
পারো
আমার মতই বর্ষণমুখর
নদীতে অথবা
হাইড্রেনে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন