বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ধীমান চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১২১


প্রচ্ছায়া

 

অন্ধকারে উড়তে বসতে পাখিরা।

আলোতেও। দু'একজন নক্ষত্র খুন করে।

সুর ও শব-দের ভেতর। পাখিদের স্মৃতি।

পটকথা খেলিয়ে হাইজ্যাক করে।

উড়ন্ত ত্রিলোক। জানলার ওপাশে ময়না

চোখ। ফুটনোট লেখে টোটোচালক।

একটু বৃষ্টির জন্য। এই বিছানা।

হয়তো ভালোর জন্য। ঋতু আর লিপস্টিক।

অনুপস্থিতির মধ্যে অর্ধেক রাস্তা।

বাকিটা এক্কাদোক্কা। কান পেতে তুমি

                                   অন্ধকার শুনছো।

হয়তো শূন্যলোকের আগুন শুনছো।

পুড়ে যাচ্ছে শবসাধকের আরামকেদারা।

 

প্রতিচ্ছায়া 

 

কোনো কোনো দিন সকালে।

নিজের সঙ্গে। দেখা করতে বেরিয়ে পড়ি।

প্রতিধ্বনির স্বর, গান ও সাহেব বিবি

গোলাম। ভেঙে পড়ছে। বিকেলের পর।

আরো বিকেলের পর এই বিকেল।

কেউ কেউ কোনও প্রতিজ্ঞায়,

বিশ্বাস করে না। সমুদ্রের পাশে। সামনে।

গড়িয়ে আসা রক্ত। তারা না ঘুমালেও।--

এক-আধটা স্বপ্ন দেখে। ওই জিভ।

চুরি গেছিলো।-- সেই উপত্যকায়

বার বার ঘুরে বেরিয়েছি।

নরকে নেমে যাওয়া সিঁড়ি থেকে।

একটা কুর্সি এনে ড্রইংরুমে রাখলে।

সামান্য ফিনাইল ছড়িয়ে। সিঁড়িতে কে যেন

                             অন্ধকার জ্বেলে দিলো।

 

আদল

 

গতকাল স্বপ্নে। দাউ দাউ চাঁদ

জ্বলছিলো। আজ বিছানায়।-- সেই

পোড়া গন্ধ। সেই নরম গন্ধ। অটোওয়ালাকে

সিগারেট ধরাতে সাহায্য করে।

সান্ধ্যভ্রমনে বেড়োনোর পর থেকে,

পায়ের সামনে একটা বেড়াল ঘুমোচ্ছে।

ভেঙে যাওয়া রসাতল-এর চারপাশে।--

কয়েক টুকরো আমি থেকে যাই।

একজন নোংরা, রক্তাক্ত, নপুংসক

রামধনু।-- তার ভেঙে যাওয়া

মুখোশের জন্য খুব কাঁদছে। বিছানায়

কাত হয়ে শুয়ে। অন্ধকার এসব দেখছে।

বিছানায় কাত হয়ে আমি। দূর থেকে

নিজের জন্ম আর মৃত্যু দেখছি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন