কবিতার কালিমাটি ১২১ |
তুমি নেই
আসলে জীবন হাওয়া
ও সময়ের ভাসান--
দুঃখ ব্যথা
আমাদের জাগরণ।
আঘাতে আঘাতে
বুঝে নিই বাস্তবতা
আমাদের অস্তিত্বের
তীব্রতায় জেনে নিতে পারি--
সুখ অথবা দুঃখময়তা
কিংবা বেঁচে
থাকার কথা।
দক্ষিণা হাওয়ায়
বিরহ কথা--
বকুল ঝরার মাঝে
মনে পড়ে যায়-- তুমি নেই!
নিষিদ্ধ ফল
নিষিদ্ধ ফলগুলি
খেতে চাই --
অঘ্রাণ ও স্বাদের
নিকষ তৃষ্ণায়
মানুষের ঘ্রাণে
জেগে থাকে গভীর বন ও শ্বাপদ।
বিষাদ অন্ধকারে
আলোক উত্সগুলি জ্বলে ওঠে--
সব শেষে একান্ত
তুমি পড়ে আছো!
উড়ে যাচ্ছে
তোমার সুখগুলি
উড়ে যাচ্ছে
ইচ্ছে থাকলে
ধরে রাখতে পার তোমার হৃদয়।
তোমার দুঃখগুলিও
উড়ে যাচ্ছে দেখো--
তোমার ইপ্সিত
প্রশস্তিতে সব কিছু ধরা থাকে।
স্রোতময়
আলোর ফুলকিগুলি,
লেগে থাকে মন--
আঁধার দুঃখগুলি
মনের সান্নিধ্য,
জীবন জীবনের
মত
স্রোতময়
নদীর সুখ দুঃখে
ভেঙে যাচ্ছে তীর
তবু গড়ে উঠছে
বসত বাটির ভিত।
গুমর
কান্নাগুলি
লুকাতে চেয়েছি, তবু
রাতের প্রলাপে
বারবার ছুঁয়ে গেছি
তোমার বুকের
গুমর।
অনেক হতশা ভেঙে
দীর্ঘশ্বাস
মেপে দেখি, তোমার বিরহ।
বিরহ
বিরহ বিকেলের
বকুল ঝরা
ঝড়ে আলুথালু
তোমার কেশ
সায়াহ্নের
গোধূলি ছুটে যাচ্ছে,
ছাই রঙা আকাশ।
ছায়া
আলোগুলি অন্ধকার
ধরে থাকে
জীবন সান্নিধ্যে
অনুভূত সুখদুঃখগুলি
আলোক অন্ধকারে
শুয়ে থাকে
একটি বিদ্ধ
ছায়ার জন্ম থেকে ক্রমশ বিন্দু বিন্দু ফুটে উঠছে
ছায়াময় তুমি
আমি ও পারিপার্শ্বিক।
অপেক্ষা
অপেক্ষাগুলি
ছিঁড়ে যেতে থাকে
অফুরান সময়ের
নিষ্কৃয়তায়
্ররঅনুভবগুলি
হাল্কা ও হতাশ--
সময় তোমায় বলে
না কিছুই--
অথচ দিন দিন
বুড়িয়ে যাচ্ছ তুমি
জীবনটা কেমন
যেন ভাসমান,
আমি আছি দুঃখ
ব্যথায় গভীরে।
কুকুরের দৃশ্য
তোমার দিকভ্রান্তি ঘটছে--
আমায় ছোট করে
নিজেকে তুলে ধরতে চেয়েছিলে।
আগুন হাতে জ্বলে
পুড়ে তবেই শুদ্ধতা আসে,
আঁচের সান্নিধ্যে
মৃতপ্রায় তুমি জেগে উঠছ--
কর্মকাণ্ডে
ভালবাসা জেগে উঠল, অন্য দিকে টুক করে ঝরে
পড়ল একটা ফুল।
তোমার পদতলে
কুসুম দলিত হচ্ছে--
জেগে থেকে তবু
মৃতশরীর অনড় পুতুলের স্বপ্নে
ছড়িয়ে যাচ্ছে,
শয্যা প্রান্তের একান্ত কোলবালিশ
কখনও একাকী
পড়ে থাকে।
নেশায় কখনও
টেনে নিই তোমার ডেমি।
একটা কুকুরের
দৃশ্যের পাশে তুমি বারবার জেগে উঠছ--
বনতলের ম্লান
জোছনায় বুনো ঘ্রাণ ভেসে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন