কবিতার কালিমাটি ১২০ |
আশা
কী
লিখবে সে
নির্জন
ঘরে বসে
বিজন
আকাশ গিলে খাচ্ছে
প্রতিটি
আসবাব
কেবল
ডেস্কটপে অযান্ত্রিক বসে আছে
নিভন্ত
প্রস্টেট সঙ্গে নিয়ে
আর
স্পন্দন অথবা
জলধিতরঙ্গের
কথা ভেবে
শুধু
চেষ্টা করে যাচ্ছে
শুধু
চেষ্টা করে যাচ্ছে
মুখর বারান্দা
বারান্দাটায়
একসাথে বসে
সবাই
গল্প করছে
যেন
কতই না একান্নবর্তী
বসে
বসেই হাসছে রসিকতা করছে
কিন্তু
পেছনে অন্ধকার দেওয়াল
দেওয়ালের
পরে দেওয়াল উঠছে
হাসি
মুছে ফেলা চোখের কোলবসা
দুর্ভাবনায়
ভরা মুখ যেন মলের সিনেমা হলের
পর্দায়
ভেসে উঠছে একটার পর একটা
ছায়াবাজিতে
ছুরি রক্ত প্রবঞ্চনা হাতাহাতি
প্লটে
প্লটে সাজানো
হয়তো
সবাই ভুল দেখছে হয়তো বা ঠিক
গল্প
তবু থামে না
বারান্দাটা
অন্তত নির্জন নেই
শীতঘুম থেকে...
তোমাদের
কথা মনে করে
বিকেলের
হলুদ আলোয় ঘরে ফিরি
শীতঘুম
থেকে জেগে ওঠা
চলে
ভিতরে ভিতরে
জলের
শব্দে ঘোর লাগে
আশ্চর্য
ফুল শুভ কামনা
অনেক
পুরনো দিনের লিপিপথ বেয়ে
ছুটে
আসে হাওয়ার বদলে
নির্বীজ
দিন রাতের স্পর্শ পায়
মেঘের
মতো জামা গাছ ক্রিসমাসের
কেক
ব্যস্ততা যেন ক্যারলের মতো
চোখ
জ্বলে ওঠে
তোমাদের
উপস্থিতিহীন
দিন
মাস রাত্রি বছর অতিক্রান্ত হয়
নিরুপায়
উৎসব ডেকে এনে
পুঁজি
আত্মারও
চোখ আছে
ছোঁয়াবে
তুলসিপাতা নাকি
ভেবে
দেখো অলীক কাজের শেষে
তুমিও
বিক্রি হওয়া পাখি
মায়াবী
পথের স্রোতে মিথ্যে মিথ্যে ছিল ভোর
কেউ
তো বলেনি কেন ছিন্ন করনি মায়াডোর
জীবন
সাবেক কাল টলটলে বুকভরা জল
স্মৃতির
সুরভি নেই থাক শুধু স্মৃতি সম্বল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন