কবিতার কালিমাটি ১২০ |
অভিলাষ
তুমি যখন নদী
হলে
আমার চোখে আলো
সাঁতরে ভাঙি
উথালপাথাল ঢেউ
অনভ্যস্ত গহীন
গাঙে
আনাড়ি এই মাঝি
তুমিই জানো,
আর কি জানে কেউ?
ঠিক সে সময়
ঝাপুরঝুপুর
বৃষ্টি যদি
নামে
আকাশ জুড়ে গলতে
থাকে মেঘ
সুখ সাঁতারে
শ্রান্ত আমি
ঘুমিয়ে যদি
পড়ি
জানবে আমার
কেটেছে উদ্বেগ।
ঘুম ঘুম ঘুম
ঘুমের দেশে
স্বপ্নমাখা
চোখে
দুহাত দিয়ে
জাপটে ধরি নদী
বাঁচতে রাজি
অযুত বছর
আলোকবর্ষ পারে
ভালোবাসা, তোমায়
পাই গো যদি।
সহজ তুমি সহজ
হয়েই
থেকো আমার পাশে
গ্রীষ্ম দিনে,
দারুণ মরুঝড়ে
বুকের পাশে
নরম ওমের
পালক হয়ে থে্কো
শীতের রাতে
বরফ যদি পড়ে।
আহাম্মকি
মগজে তালাচাবি
দিয়ে
বুকের সব লাল
গোলাপগুচ্ছ
বাগান উজাড়
করে তোমায় দিলাম।
কানাকড়ির চেয়েও
কম দামে
বিকিয়ে দিলাম
নিজেকে।
সব বাঁ পায়ে
মাড়িয়ে মশমশিয়ে চলে গেলে।
বুকের গভীরে
বিঁধে থাকা পেরেক
উপড়ে ফেলতে
না পেরে,
নির্জন সমাধিতে
আজও একা শুয়ে।
আজকাল কেউ স্ফটিক
চাইতে এলে
তাকে কাচের
টুকরোও দিতে পারি না!
মোম গলছে
সেদিন যখন আলতো
করে আমার ডানায়
আদর মাখা অভিমানের
স্পর্শ দিলে
সেই দুপুরে
জীবন তখন শীতলপাটি
ফুরফুরিয়ে চলল
উড়ে আকাশ পথে।
ভারচুয়ালি ফেসবুকে
না, ঠোঁটের পাশে
উষ্ণ তোমার
স্পর্শ পেয়ে পাগল পাগল
নাছোড়বান্দা
তোমাকে আর কীই বা বলি?
হ্যাঁ হ্যাঁ
তুমি সব লুটে নাও সব লুটে নাও।
ধকধকিয়ে উঠল
জ্বলে বহ্নিশিখা
মোম গলছে, মোম
গলছে শরীর জুড়ে!
স্বপ্ন কথা
সেই মেয়ে মাঝে
মাঝে পাশে এসে বসে
মেলে দ্যায়
তার চুল, হাসে মৃদু মৃদু
যখন ঘুমিয়ে
আমি আধো আধো ঘুমে
স্পর্শ পেয়ে
ধড়ফড় জেগে উঠি সুখে
রাতের আকাশে
চাঁদ একা ভেসে যায়
সবাই গভীর ঘুমে,
নিশুতি নিঝুম
শেষ রাতে চুপচাপ
একা জেগে থাকি
তার স্পর্শ,
তার গন্ধ জড়ানো শয্যাতে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন