কবিতার কালিমাটি ১১৯ |
আমি বলেছিলাম সেদিন
ওই সেই অটো
আর বাসের তুমুল হর্ন,
আর সেই ব্যস্ত
রাজপথে
সান্ধ্যকালীন
অবিন্যস্ত কোলাহল,
পড়ন্ত বিকেলের
রোদ্দুর মেখে
ওই সেই হেঁটে
যাওয়া ফুটপাথ বেয়ে,
সব ভীড়, সব
বেচাকেনা সরিয়ে সরিয়ে।
সবকিছু ছাপিয়ে,
সবটুকু নিয়ে
আমি চীৎকার
করে বলেছিলাম সেদিন
মেট্রোরেলের
সারিতে
কিম্বা বালীব্রীজের
ধারে,
সমুদ্রভেজা
সেই নীরব উচ্চারণে,
আমি তোমায়
ভালোবাসি ছোট্টো তারা
অনন্তকাল ধরে।
আজীবন অপরিচিত
অজস্র আলোকবর্ষ
দূরে।
সমুদ্র সব জানে
তারপর সারাদিন
এ-কথা, সে-কথা,
এটা নয় ওটা,
ওটা নয় সেটা।
আর, তারপর কথা
শেষ হ'লে
তারপরেও কত
কথা চলে।
যেভাবে কথা
বলে নিরন্তর ঢেউ,
যখন স্তিমিত
হয়ে আসে সেলফির কোলাহল।
নক্ষত্রের দৃপ্ত
প্রশ্রয়ে
না জানা দিগন্তের
সীমানা পেরিয়ে
অনর্গল কথা
বলে ঢেউ,
সমুদ্র সব জানে,
গভীরে, গোপনে
তার অবাধ চলাচল।
কীভাবে কখন
যেন ঢেউ
জেনে নেয় ঠিক
সব লুকোনো খবর।
তুমি আছো
অনেক পাহাড়
পেরিয়ে এসেও যখন
আরো অনেক পাহাড়
পেরোতে হয়,
অথবা ঐ ট্রামলাইন
বেয়ে ছুটতে হয় যখন
এক আকাশ বৃষ্টিতে
ভিজতে ভিজতে,
যখন এ ফুটপাথ
থেকে ও ফুটপাথ,
এ রাস্তা থেকে
ও রাস্তায়
অকারণ চোখ রাঙিয়ে
যায়
ইতস্ততঃ চোরাবালি।
উদ্বায়ী ক্ষমতার
গর্বে যখন
গলা টিপে ধরে
কালো কালো মেঘ,
যখন মনে হয়
তুমি নেই - একটুও নেই,
সবচেয়ে কাছে
আছো হয়তো তখনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন