কবিতার কালিমাটি ১১৯ |
পাথর
এতো কলঙ্কের
পরেও চাঁদ ওঠছে
চাঁদ ডুবছে
খেয়াঘাটে নৌকো।
ঘুমোচ্ছে মাঝি।
আমরা পৌঁছে
যাচ্ছি কথার দেশে
পৃথিবীতে গৃহযুদ্ধ
মৃত্যুর মিছিল
লাশের গা ছুঁয়ে
হাঁটতে হাঁটতে বেলা পড়ে আসে।
একদিন এখানে
ফুল ফুটেছিলো
হেসেছিলো রোদ
আজ মৃত্যুর
সুড়ঙ্গ বেয়ে আমরা পৌঁছে যাচ্ছি জাহান্নামে।
পৃথিবী ধীরে
ধীরে পাথর হয়ে উঠছে
পাথর কাঁদছে
পাথর এখনো দীর্ঘশ্বাস
ফেলছে। ক্লান্ত মানুষ।
অহল্যাবেলা
সকাল সকাল হাঁটছি
ব্যস্ত জীবন
ঈষৎ নীলাভে
ঢেকে রাখি খরস্রোতা দিন
কতদিন বৃষ্টি
নেই। তবু ভিজে যায় হৃদয়
সড়কের ক্ষতে
ভাসে বলিরেখা
স্মৃতির জলে
দুহাত ডুবাই
ঝরাপাতা শনশন
ভূবনবাড়ি
এখন ইতিহাস
খননকাজ চলে
না এখানে। রক্তাক্ত হয় রাত
পোয়াতি নদী।
সঙ্গম সুখের অভিলাষ
যাচ্ছি
ফিরে আসবো না
আর
আলোয় আলোয় বৃষ্টি
নামুক
তোমাকে পরখ
করি নবান্নের বারিধারায়
এখানে জীবন
চিরদিন অহল্যাবেলা
ও গঙ্গা
জং ধরা জীবন
এক বৃত্তের
মাঝে আর এক বৃত্ত আঁকা পথ
সব ভালোবাসা
তুলে রাখি মর্মর হৃদয়ের ভেতর।
হৃদয় পাথর
পৃথিবী পাথর
হয়ে যাচ্ছে
তবু পাথরে সাজাই
ফুল
প্রতিদিন কচি
কচি মনগুলো
প্রতিদিন কচি
কচি মুখগুলো পাথর হয়ে যায়। পণ্ডশ্রম।
নিঃস্ব দুপুর
পাথরে খোদাই
করে রাখি রোদ
বিকেলের শেষ
ট্রেণে কেন জানি আলাপ হয় না আর।
জীবন ভাঙি
দেখি হৃদয় রক্তহীন।
ও গঙ্গা বইছে নিশ্চল পাথর হয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন