কবিতার কালিমাটি ১১৯ |
অবগাহন
জলে নামব, নামবই
জলে
জল যদি আজ কথা
বলে
ভিজিয়ে নেব
অশ্রুগান
কুড়িয়ে নেব
অধরা স্নানগুলি
সকল কিছুর পরও
সকল কিছু থাকে
খুঁজতে আসি
তাকেই
জিজ্ঞাসা আর
স্রোতের কাছে
মাথা নোয়াই
মাথা নোয়াই
একান্ত নিভৃতে
যদিও আজ শূন্য
জল, শুভ্র মেঘ
সবাই চলে গেছে
পায়ের চিহ্ন
পড়ে আছে দিগন্তের পথে
ধুলো ওড়া রোদ্দুরের
আগুনে তা কাঁপে
সেই আগুনও বৃষ্টি
লিখতে জানে
সেই আগুনও খুঁজতে
আসে হারানো শ্রাবণে
সীমানা
কোন্ সীমানায়
রাখবে আমাকে?
রাখো—
সীমানায় সীমানায়
হাঁটি
যদিও এখানে
রাস্তা নেই
সমস্ত সীমানা
জুড়ে আর্তনাদ জেগে আছে
দেশ কি দেশের
বিকল্প হতে পারে?
হৃদয় কি হৃদয়ের?
যদিও বোঝানো
যায়নি সব
ইশারায় যতটা
বলা গেছে…
মাটি ভাগ করে
নিয়ে
মৃত্যু ভাগ
করে নিয়ে
বেঁচে আছে দেশ
দেশে দেশে ছড়িয়ে
পড়েছে মহিমার লাশ
শোনো
নিজে নিজে বিখ্যাত
হয়ে উঠি
নিজের সামনে
দাঁড়াই
বক্তৃতা করি
সমাজমঞ্চ ছাড়াই
শোনো—
হরিতকী ফুল
কুড়িয়ে পেয়েছি
কাঙাল বনে,
মাধুরীলতার কাছে
বিজ্ঞাপন নেই
উগ্র বায়ুর কাছে
শীতল ছায়ার
মুগ্ধ আলিঙ্গনে
নৈঃশব্দ্যের
জাদুতে শহর কাঁপে
আমি সেই কম্পন
থেকে
আলো খুঁজে পাই
হৃৎপিণ্ড সেঁকি
আলোর তাপে
কত গান, কত
প্রান্ত জুড়ে
মেঘ এলে মনের
গহনে
ময়ূর খেলা করে
কথা পাই না
শালবাগান দিয়ে
হেঁটে যায় রোজ
সরুমাজা
অসম্ভব কালো
চোখ
হাত দুটি সবুজ
ডালপালা
আঁচল ওড়ে তার
মাধুর্যের পতাকা
লাল ধুলোর পথে
সাইকেলে ফিরে আসি
সেইসব দৃশ্যগুলি
মনের ক্যামেরা তুলে নেয়
ঠোঁট দুটি লাল
হয়ে মুচকুন্দ ফুলের মতো ফোটে
কী কথা বলা
যায় ওকে?
ভেবে ভেবে একটিও
কথা পাই না
নিঃস্ব একাকী
বসি কবিতার কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন