কবিতার কালিমাটি ১১৭ |
ভায়োলেট দহন থেকে ঝরে পড়ে আদমের পরাজয়
আর কম্পনের সারবস্তু নিয়ে আমাদের কথাই হয় না, একেবারে প্রেমিকের রংকরা চুলে ছড়ানো লাল কনিকার কেমিস্ট্রি — বানভাসি সুখে লিরিক্যালি প্রেমের রাগিণী — বুঝতেই পারছি না কোন খণ্ডাংশ কামনা করলে উজ্জ্বল আকাশের নীল মাখে নির্বাণ — এখনই ভোরের ঘাসে শ্বাস তোলা আলপথ নিজেকে ভাবছে গড়ছে
লিপ লাইনের
কাছে উড়ছে ভিমরুলটি — নিজের সাথে চোখাচোখি হয়ে গেলেই ভায়োলেট দহন থেকে ঝরে পড়ে স্যাঁতসেঁতে
আদমের পরাজয় — নোনা জলের সংলাপে ভরে কমণ্ডলু
জলচক্রে ঘুরতেই
থাকি একা — আর মহাকাশে ঢুকে যাচ্ছে খাল বন ধূ ধূ জমি
পানকৌড়ি ডুব দিয়ে আসে জলজ চোখের ভিতর
আহা পরিত্রাণ, আমাকে কি কেউ খোঁজে — যদিও পৃথিবীর রং কমে গেলে হাঁটু ব্যথা শুরু হয়, বাদবাকি ছায়া পড়ে থাকে ভিজ্যুয়াল ইফেক্টে, পানকৌড়ি ডুব দিয়ে আসে জলজ চোখের ভিতর — স্তব্ধতা মিলিয়ে যায় এখনো ভোর এখনো মাধুকরী চ্যাপ্টারে, কোনো শব্দের ধুনি জ্বালিয়ে বসে নি কেউ, আমিও আত্মসাধন চাইনি কোনো আগুনের কাছে
সেই মেরুকোণ
থেকে সাঁকোর ওপারে কেউ ডাক দিলে উঁচু নিচু রেখায় বাজে শঙ্খসংগীত — জল বাষ্প হতে হতে
উন্মাদ রাখাল : রাতের মেঘ উড়ে যায়
সাদা কালো ফ্রেমের অনির্দেশ লাবণ্যে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কেন্দ্রবিন্দুতে পুঁতে দিই বহুজন্ম পরিভ্রমণ
একটি নীল পালকের রাস্তায় পাথর ভাঙে জল, টুকরো টুকরো ভাঙনের কাছে কয়েক নিযুত কথাকলি, উৎরাইয়ের পর স্নানের দৃশ্যরা ভেসে যায় দিগন্তের কাছে — তিনটি তালবৃক্ষের জলচ্ছবির পর আর কোনো স্থাবর নেই, রোদের গা-ঘেঁষে শুধুই জলকণার অবয়ব, হাঁটাচলা করতে করতে নিঃশ্বাস রাগের স্ক্রিন জুড়ে ইহকাল ট্রিবিউট
আকাশ উজাড় করা
স্তব্ধতা মেখে এলোমেলো বাঁকগুলি থমকে এসে দাঁড়ায় ক্ষীণ ধ্বনির দ্যুতিময়ে — একলা হলেই
নীল পাখির উড়াউড়ি ভরে দেয় ফুসফুস
সেই অহংকারের
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অন্তত নিজের কাছে একবার যেতে চাই মৃন্ময়ী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন