বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

তমাল রায়

 

কালিমাটির ঝুরোগল্প ১০৬


দংশন

টু বি অর নট টু বি'র মাঝে প্রশ্নটা তুলেই ফেলে অর্ক, সাপটা কী করে বুঝলো, তোর ঘাড় ভাঙা, ওপরে উঠবে না, ওকে দেখতেও পাবি না, অন্তত খুব কাছ থেকে! 

হেসে উত্তর করি, অপারচুনিটিজ ওয়াজ দেয়ার টু! সামান্য, মানে দু’পা পেছন থেকে হলেই এঙ্গুলার ভিশনে কিন্তু দেখতে পারতাম তাকে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারিনি! সেটাও বলতে হবে। 

- সেটা তুই কখনোই পারিস না। তাই যেমন মানুষ ভালোওবাসে তোকে, বহু লোক রাগও করে তোর ওপর।

- লোকের ভালোবাসা বা ক্রোধের নিয়ন্ত্রক নই। ও ভেবে আর কী করব! নিজেকে চেক করতে পারি। চেঞ্জও হয়ত বা!

- মনে হয় সেটাও পারিস না তেমন। পারলে জীবন এমন আলুথালু, ছেঁড়াখোঁড়া হয়?

সব কথার তেমন উত্তর হয় না'কি। চুপ থাকি। অর্ক বলে ওঠে, কষ্ট ফিল করছিস? হ্যাঁ রে কাকিমা, মানে তোর মা'র মৃত্যুর কথাটা মনে পড়ছে হঠাৎ। কেন বল তো?

- অর্ক সেটা সাপ নয়, বাপ! আমার বাপ!

আবার অর্ক বলতে থাকে, কমন ক্রেটের কামড় আর তেমন বোঝা যায় কই! ক্ষতস্থানের জ্বলন নেই, বিকৃতি নেই, তা দেখে রুগি বুঝলোও না কিছু হল, অথচ সময় যত এগোয়, নিঃশব্দে...

-হ্যাঁ, জানি রে! আমার ঘর, আশপাশ, কর্মস্থল, অঙ্কিতা...

-মুমুকে কেবল দেখতে ইচ্ছে করছে...

অর্ক জিজ্ঞেস করে, কিছু বললি?

মাথা নাড়ি, আসলে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, জিভ জড়িয়ে আসছে, ঘুম আসছে, ঘুম... কতদিন পর সাম্যের দেশে...

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন