বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

অদিতি ফাল্গুনী

 

সমকালীন ছোটগল্প


সুদর্শন

-সুদর্শন আমার অনেক দিনের স্বপ্নের পত্রিকা। বাজারে শুধুই হেটেরো-সেক্সুয়ালদের পত্রিকায় ভরা। ওপার বাংলার সানন্দা কি মনোরমা বা আমাদের অনন্যা, প্রিয়জন...সবই নারী-পুরুষ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে পত্রিকা। যাক, ব্রিটিশ এম্বাসি যে শেষ পর্যন্ত পত্রিকাটার জন্য ফান্ড করতে রাজি হলো, সত্যি সত্যি আমরা একটা ইস্যু বাজারে আনতে পারলাম, এত ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধনী সংখ্যা আনা গেল, এটাই আমাদের সাফল্য।

-এ-ক-দ-ম!

মন্ময় আরাফের রুমে বসে। মন্ময়ের বয়স সাতাশ আর আরাফ তার সাত বছরের বড়। ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রোগ্রাম অফিসারের পদে গত কয়েক বছর টানা চাকরি করেছে আরাফ। মাত্র এক সপ্তাহ হয় রিজাইন করেছে। সামনের মাস থেকে নতুন কাজে ঢুকবে। মন্ময় গ্রুপ থিয়েটার করে।

-আমাদের যেন প্রেম নেই! শুধু নর-নারীই পরস্পরকে ভালোবাসে, বাসতে পারে। আমরা বুঝি বাসতে পারি না? আরে এই যে নর-নারীর প্রেমকে এত মর্যাদা, এত সম্মান, এত ডিগনিটি দেয়া হয়, দেখি না চারপাশের নর-নারীর সম্পর্ক? এ ওকে সন্দেহ করে, সে তাকে ঘৃণা করে, দুদিন পরপর সম্পর্ক ভাঙে, ডিভোর্সের হার বাড়ছেই। মেয়েরা দ্যাখে ছেলেটার কত টাকা আর ছেলেটা দ্যাখে মেয়েটার চেহারা। অথবা দুজন দুজনের শ্বশুরবাড়ির ব্যাকআপ দ্যাখে, কার কতটুকু স্বার্থ আছে বা থাকবে সেটা দ্যাখে। আমি তো দেখি বরং সমাজের সব বিরোধ সহ্য করে আমরাই জেনুইন ভালোবাসাটা বাসি, জেনুইন প্রেমটা করি। যদিও লোকে ঘেন্নার সাথে বলে, ‘ও গে। ও লেসবিয়ান।’

-সুদর্শন নিয়া কিন্তু বাজারে হইচই হইতেছে। ব্রিটিশ এম্বাসি তো তার ইনক্লুশন উইংয়ের আওতায় সুদর্শন পত্রিকাটা করতে চাইছিল। প্রথম সংখ্যাটা তো মূল সম্পাদক ছিলেন হাসান শাহরিয়ার ভাই। আমি সম্পাদক বোর্ডে ছিলাম। পত্রিকার নামটা অবশ্য আমারই দেওয়া। নামটা কেমন হইছে?

-জোশ। চিত্রাঙ্গদা সিনেমার একটা রিভিউ দেখলাম তোমার পত্রিকায়?

-হ্যাঁ, চিত্রাঙ্গদার একদম অন্য রকম ডিকনস্ট্রাকশন করতে পেরেছে ঋতুপর্ণ। ভাবা যায়? বেচারি নিজেই সমকামী ছিল বলেই হয়তো এত তীব্রতার সাথে ফিল করেছে। অর্জুন রিজেক্ট করার পর চিত্রাঙ্গদা যখন মদনকে গিয়ে বলছে তাকে কুরূপা থেকে সুরূপা করে দিতে, ঋতুপর্ণ আরো দেখাচ্ছে কি যে চিত্রাঙ্গদা কিন্তু একটা বছর রাজ্যে ছিল না। রাজ্যের মানুষ জানত যে ‘তীর্থে গেছেন তিনি/গোপন ব্রতচারিণী।’ ঋতুপর্ণ প্রশ্ন তুলছে এবং সেই গোপন ব্রতে থাকার সময়েই চিত্রাঙ্গদা পুরুষালি নারী থেকে নারী হচ্ছে, এটা কি আসলে একজন সমকামী পুরুষের আত্মোপলব্ধি? মদন যে তাকে পাল্টে দিল, সেটা কোনো সার্জারি বা অস্ত্রোপচার ছিল কি না? সে সময়ের? সিনেমায় ঋতুপর্ণের চরিত্রটি নিজেও মেয়ে হতে চাচ্ছে, সে সমকামী, সার্জারি করবে, কী মর্মান্তিক! ২০১২ সালে বানানো সিনেমা আর ২০১৩ সালে নিজেই সার্জারি করতে গিয়ে সত্যি মারা পড়ল।

-ভাবতে গা কাঁটা দেয়। সত্যিই। আমরা কী ভাবতাম? নারীকে শুধু রূপ আর মাংসের পুতুল না ভেবে তার কর্ম ও প্রজ্ঞা দিয়ে বিচারের নাটক চিত্রাঙ্গদা। বড়জোর চেহারা নিয়ে অসচেতন একটি মেয়ে যে নানা সামাজিক কাজে-কর্মে ব্যস্ত, সে হয়তো প্রেমে পড়ার পর ফ্যাশন-সচেতন হইছে বা পারলারে যাচ্ছে। অথচ? কী দেখাইল না সিনেমায়?

-এইগুলা আসলে প্রাচীন যুগ থেকে নানা সভ্যতায় ছিল। খোদ মধ্যপ্রাচ্যেও ছিল। ওমর খৈয়ামের সাকি কে? ১৯৪০ সালে ফিটজেরাল্ডের অনুবাদের সাথে আর্থার সাজিকের প্রচ্ছদেও দেখা যাচ্ছে এক মাঝবয়সী পুরুষ আর এক কিশোর তরুণ।

Ah, make the most of what we yet may spend,
Before we too into the Dust descend;
Dust into Dust, and under Dust to lie,
Sans Wine, sans Song, sans Singer, and—sans End!

-তোমার তো দেখি একদম মুখস্থ। ইংলিশের ছাত্র ছিলা তো? এই জন্য তো ব্রিটিশ এম্বাসিতে এত বড় চাকরি ! বেতন কত? এক লাখ না দুই লাখ?

-না, না, মুখস্থ কী? পত্রিকার সেকেন্ড ইস্যুর জন্য খুব খাটলাম তো! এখন তো আমারই সব দায়িত্ব। কাজেই অনেক পড়তে হইল। ওমর খৈয়াম থেকে রবীন্দ্রনাথ..সব।

-আমি বাবা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র। তা বাংলা সাহিত্য কিন্তু পড়া আছে। চিত্রাঙ্গদা পারি আমি। আম্মাও তো কলেজে বাংলা পড়াইত। কলেজে চিত্রাঙ্গদার ডিরেকশনও দিছে। ছোটবেলায় কলেজের ছাত্রীদের নিয়া বাসায় এত রিহার্সাল দিত যে শুইনা শুইনা সব এখনো মুখস্থ।

 

পুরুষের বিদ্যা করেছিনু শিক্ষা

লভি নাই মনোহরণের দীক্ষা

কুসুমধনু,

অপমানে লাঞ্ছিত তরুণ তনু।

 

অর্জুন ব্রহ্মচারী

মোর মুখে হেরিল না নারী

ফিরাইল, গেল ফিরে।

দয়া করো অভাগীরে

শুধু এক বরষের জন্যে

পুষ্পলাবণ্যে

মোর দেহ পাক্ তব স্বর্গের মূল্য

মর্তে অতুল্য

সেই আম্মা এখন হিজাব পরে। হাতমোজা, পা-মোজা। আমি গে বইলা আম্মা ভাবে যে মাঝখানে বহুদিন শিল্প-সাহিত্যচর্চার জন্য, হিন্দু-খ্রিষ্টানি চলাফেরার জন্য এইটা বুঝি তার ওপর আল্লার শাস্তি। এখন সারা দিন জায়নামাজে বইসা থাকে। বাসা থেকে গানের সিডি, ধর্মীয় বইপত্র ছাড়া অন্য সব বইপত্র ফেলায় দিছে। সেই আম্মা আর এই আম্মা! কী ভাব?

-একটা বিষয় নিয়া একটু চিন্তায় আছি।

-কী?

-আমরা না এই সেকেন্ড ইস্যুটা ছাপতে গিয়াই খুব ঝামেলায় পড়লাম। কোনো ছাপাখানা ছাপতে চায় না।

-বলো কী?

-এই জন্য সেকেন্ড ইস্যু তো বেশি ছাপতে পারি নাই। অল্প কয়েক কপি ছাপছি। এমনকি রাস্তায় পত্রিকাস্ট্যান্ডগুলো পত্রিকা রাখতেও চায় না।

-কী অবস্থা! অথচ সমকামিতা তো আছে। দুই দিন পরপর মাদ্রাসায় ছোট ছেলেদের ধর্ষণের খবর আসতেছে না?

-আসতেছে তো। সেনাবাহিনী বা যেকোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান…মাদ্রাসা হোক, খ্রিষ্টান-হিন্দু-বৌদ্ধদের মঠ বা আশ্রম, যেখানে শুধু পুরুষ থাকে, সেখানেই সমকামিতা একটা সমস্যা। ক্যাডেট কলেজেও আছে। কিন্তু তুমি প্রকাশ্যে বলতে পারবা না। বললেই ঝামেলা। অনুভূতি আহত হয়। অথচ অসুখ স্বীকার করে নেয়া মানে রোগ সারার পর্থে অর্ধেক আগানো। তা এই মূর্খ জাতিরে কে বোঝাবে?

-হুম। আসলে দেশের আইনে তো হোমো-সেক্সুয়ালিটি স্বীকারই করা হয় নাই। তবে চেঞ্জ হবে। এই যেমন সুদর্শন পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কত মানুষ আসল, তাই না?

-হ্যাঁ, হাইকমিশনার নিজে উপস্থিত ছিল। ব্যারিস্টার জারা হাসান আসছিল। জারা আপার কথা আমার খুব ভালো লাগছিল। বলছিল যে আজকের অনুষ্ঠানে নারী খুব কম আসছে। কারণ, এ দেশে শরীর বা যৌনতা নিয়া কোনো ডায়ালগে নারী আসে না বা কম আসে।

দরজায় নক হয়। ময়নার মা দরজার ওপারে ট্রেতে পরোটা, হালুয়া আর চা নিয়ে আসে। অদ্ভুত এই দুই বেটাছেলের চালচলন সে বুঝতে পারে না। বোঝার অবশ্য দরকারই-বা কী? দুইটার ভেতর একটার যেন যাত্রাদলের সখী সখী হাবভাব। যাক, সেটা নিয়া ময়নার মায়ের ভাবনা কী? অবশ্য এর ভেতর গলির মোড়ের মসজিদের দুইজন কর্মচারী তাকে এই দুই মামা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। ময়নার মা থাকে লেক সার্কাসের এই মোড়ের পেছনেই একটা বস্তিতে। তবে সকাল সাতটার সময় সে যে এই গলিতে ঢোকে আর এখানের চারটা ফ্ল্যাটের দশটা বাসায় সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ডিউটি দিয়ে সে বাড়ি ফেরে। মাসে আয় তার যথেষ্ট ভালো। সবার ওপরে ভালো মহান করুণাময় আল্লাহ তাআলা যে ময়নার মায়ের শরীরটা এত পরিশ্রমের জন্য লোহার মতো শক্ত রেখেছে। কখনো কখনো এই দশটা বাড়ির ছোট কেনাকাটা, যেমন চা-পাতা, চিনি বা হারপিকটাও এই গলির মাথার বড় দোকান থেকে তাকেই কিনে আনতে হয়। দোকানে এমন যাবার সময়েই মসজিদের দুই কর্মচারী তাকে এটা-ওটা জিজ্ঞাসা করে।

‘লক্ষ করছ বুয়া যে ৩৭/৩ নম্বর বাড়ির তিনতলার দুই বেটামানুষ সব সময় একসাথে চলাফেরা করে? একটার আবার মেয়েগো মতন লম্বা চুল, মুখে পাউডার মাখে, ঠোঁটে ভ্যাসলিন দেয়। বাপ-মা, ভাই-বোন, বউ-জামাই…কিছুই তো নাই তাদের। তুমি তো অগো বাসাতেও কাজ করো। করো না? কেমন দ্যাখো সব?’

‘আবার বান্ধবী থাকলে তো কইতেন পোলাপানের স্বভাব-চরিত্র দিন দিন নষ্ট হইয়া যাইতেছে। মাপ করেন হুজুর, আমার স্বামীর শ্বাসে টান, হাঁপানির রোগী পালতেছি আজ বারো বচ্ছর। দশটা বাড়িতে ছুটা কাম কইরা দুই পোলা-মাইয়ারে কলেজ পর্যন্ত পড়াচ্ছি। আমার হিসাব অন্য: ওই দুই মামা আমারে মাসের এক তারিখ বেতন দেয়। ভালো-মন্দ কিছু খাইলে আমারেও খাইতে দেয়। এর বেশি তারা কী করে, না করে, আমার দেখনের টাইম কই?’

‘রোজ কিয়ামতের দিন আইতেছে, শুধু এই দুনিয়ার খাওনটাই দ্যাখো। মরণের পর কী হইব, তা ভাবছ একবারও?’

‘মরণের পর কী হবে, তা আর মরার পর টের পামু, হুজুর। অহন আসি!’

হুজুর সাহেব কী বলতে চায়, তা ময়নার মায়ের অতি ব্যস্ত মাথায় ঢোকে না বা ঢুকতে চায় না। তবে ৩৭/৩ নম্বর বাড়ির তিনতলায় এই দুইটা রুম, দুই বাথরুম আর এক কিচেন, এক ব্যালকনির বাড়িটায় আরাফ আর মন্ময় নামে শুধু দুই বেটাছেলে বাস করে বলে কিংবা সোজা বাংলায় ওদের ঘরে কোনো মেয়েমানুষই নাই বলে ময়নার মায়ের কাজ একটু বেশিই থাকে ওদের ওখানে। সকালবেলা এসে ঘর ঝাড়–, ঘর মোছা, বাসন মাজা থেকে নাশতা তৈরি, দুপুরের রান্না চাপানো থেকে বিকেলবেলা এসে আবার চায়ের সাথে এটা-সেটা খাবার বানানোর কাজ তাকেই করতে হয়। ওরা দুজন বেতনও তাকে অবশ্য বেশ ভালো দেয়। আর মসজিদের লোকেরা যা-ই বলুক, ছেলে দুইটা কখনো ময়নার মায়ের সাথে অসভ্যতা করেনি। ময়নার মায়ের মেয়ে কলেজে পড়লে কী হবে, সে এখনো স্বাস্থ্যবতী, আঁটসাঁট শরীরের মেয়েমানুষ। কত বাড়ির কত পুরুষ তাদের বউ-মেয়ের আড়ালে বা পারলে সামনেই ময়নার মায়ের সাথে কত কী করার চেষ্টা করে! এই ছেলে দুটো সেসব কখনো করেনি। শেষ বিচারের দিনে এই দুই ছেলে সম্পর্কে কিছু বলতে বললে ময়নার মা বরং তাদের সম্পর্কে ভালো কথাই বলবে। একটা বাটিতে ছেলেটা আর মেয়েটার জন্য দুটো পরোটা আর একটু সুজি নিয়ে ময়নার মা বের হয়ে পড়ে।

কলাবাগান লেক সার্কাস রোডের ‘ইউরোপা’ নামে ছয়তলা বিল্ডিংয়ের গেটের সামনে তিনটি ছেলে এসে দাঁড়াল। টি-শার্ট আর জিনস পরা।

‘কোথায় যাবেন?’ সিকিউরিটি গার্ড আব্দুর রব জিজ্ঞাসা করল।

‘আরাফ সাহেব কি এই বাড়ির দোতলায় থাকেন?’

‘হ্যাঁ, কী দরকার?’

‘আমাদের কাছে ওনার নামে একটা পার্সেল ছিল। ওপরে গিয়ে দিয়ে আসতে পারি?’

‘আমাকেই দিয়া যান।’

‘না, ওনার কাছ থেকে সই-সাবুদ করাতে হবে। সব আপনি বুঝবেন না।’

‘একজনে যান তইলে।’

‘আপনি তো মামা মহা ক্যাচাল করেন। আমাদের দেখলে কি সন্ত্রাসী মনে হয়?’

এবার একটু ধন্দে পড়ে যায় আব্দুর রব। ছেলে তিনটা ভদ্র দেখতে। আরাফ স্যারের বন্ধু-টন্ধু হবে বোধ করি।

‘জে, যান।’

‘তারপর কী হলো? আব্দুর রব, মনে করতে পারো?’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আব্দুর রব হাঁপায়। কপালের বাঁ দিকটায় চাপাতির কোপ তারও লেগেছে।

‘অগো যাইতে দিয়াই আমার মনে কেমন কুডাক ডাকল। দেশের অবস্থা ভালো না। রোজ খুনাখুনির খবর পড়ি। আরাফ স্যার তো তিনতলায় ওনার বন্ধুর সাথে মেস কইরা থাকতেন। কী ভাইবা আমি অই তিনজনার পিছ পিছ গেলাম। সিঁড়ি দিয়া আমি অগো পিছ উঠতে উঠতে দেখি আরাফ স্যার কলিং বেল শুইনা দরজা খুললেন। কিন্তু পোলা তিনটারে দেইখাই উনি দরজাটা আটকায় দিতে চাইলেন কিন্তু পারলেন না। অরা তিনজন জোর কইরা ঢুইকা পড়ল।

আমি কইলাম, ‘স্যার তো আপনাদের ঢুকতে মানা করছে, তারপরও আমনেরা ঢুকতেছেন ক্যান? সাথে সাথে অরা ব্যাগ থিকা চাপাতি বাইর কইরা আমার কপালে দিল একটা কোপ। মেঝেতে পইড়া যাইতে যাইতে দেখি অরা ব্যাগ থিকা পিস্তল বাইর করতেছে। আরাফ স্যার দিল চিক্কুর। তারপর গুলির শব্দ, য্যান আমার কানের কাছ থিকা, বুকের কাছ থিকা ছুইটা যাইতেছে, য্যান কাচের জানালা ঝনঝন কইরা ভাইঙা পড়তেছে আর পড়তেছে!’

 

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন