কবিতার কালিমাটি ১১৫ |
আয়ুষ্মান ভব
আকাশে কথা বলে
সাবুদানা
তোমরা ভালো
থেকো এই শস্যলগ্নে
পঞ্জিকার পাতা
থেকে
বেছে নিও শুভ
মুহূর্ত
ছাকনিতে ছেঁকে
নিও বাঁচাল গল্প
লিখে রেখো ধানের
কথা
ভাঙা আয়না থেকে
এক টুকরো অমাবস্যা
শুধু আমার থাক
যেখানে দহনের
স্রোতে
চৈতন্য পায়
সুষুম্না
জেগে ওঠে শিল্পীর
কাঠপেন্সিলে।
গোলাপ
প্রিয় সুহৃদ,
তোমার ভালোলাগা
মন্দলাগা
অবহেলায় পাথর
ভাঙা
আমার কাছে গোলাপ
হয়ে উঠেছে
গোলাপ বলে বিদেশী
হৈচৈ নয়
হাড়িয়ার পাগল
দোলা
মনে হয় আমার
আয়না
আমাকে হাততালি
দিচ্ছে সামনে দাঁড়িয়ে
আর আমি -
ক্ষত বিক্ষত
হয়ে হাসছি
গোলাপে গোলাপে।
বর্ধিষ্ণু
খিদের মেঘ,
যন্ত্রণার বাক্স, ভুলের লিফাফা
এই - শুধু এই
মাত্রই যদি উঠে আসে
কন্ঠস্থ জীবন
থেকে
আর জীবন পড়ে
থাকে সাবানের কেসে
একটা গলিত অসহায়তা
প্রতিটি সকাল
চড়াইয়ের ডানার রঙ,
রঙ হাটে সিজারিয়ান
মায়ের মতো
তবুও ঝড় বালিকাকে
বুকে নিতে
গ্রীষ্ম আসে
প্রতিবার
আর প্রতিবার
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে
কবিতা বেড়ে
ওঠে আমার স্বপ্নে।
লিহাজ
আমার ঘরের ভেতর
শহর পুড়ে
পুড়ে আলো
পুড়ে হকিকত
আমার আকাশ জোড়া
শত্রুবিন্দু
অন্ধকারময় রথ
কত রাজা উজির
এলো গেলো
ক্রিমির মতো,
শিশু ভাবলো
- খেলনা সিংহাসন
আমি অন্ধ ভিক্ষু
মাতাল হয়ে পথে
নামি
পায়ে পায়ে লিহাজ
শেখায়
মাটি ভেজা পথ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন