কবিতার কালিমাটি ১১৫ |
গানবাড়ি
(১৫)
গানবাড়ির ভেতরে
পায়ের শব্দ ৎ
সৎ
আলাপের ওম ছড়ানো
বুটি বুটি তমা
হে প্রিয় হে
আমার
টক-শো থেকে
উড়ে যাওয়া পনছি পনছি অংগরাই
কাজলে গেল হরিণে
গেল নয়নে গেল না
একটা না
না নাগো না,
গানবাড়ির ঠিকানা কীবা এক হলুদ প্রজাপতির রসে ব্লাশ
গালে হতে হতে
হল না
ৎ ৎ ফোঁটায়
আহাচেরা বৃষ্টি নামল
হে আমার, প্রিয়
হে
ভিজে যাচ্ছিলে
যাচ্ছিলে
ছিলে সেই এক
পারাবার পেরোন মৃগান্ত স্টেশনে
যাকে আমি গানবাড়ি
বলি
তুমি এত সৎ
তুমি এত এত
বিদ্যুৎ নিয়ে বলো, উঠেছে?
চোখ মিটারের
দিকে
ৎ আমি…
(১৬)
বাড়ি তো সুরচোর
শুষে রাখে
লম্বা একটা
মানুষের ছায়া তিরতির
সব মিলিয়েই
গঙ্গা
সব চাওয়াতে
‘সহেনাই’
রস বানাতো
বনারসের বিসমিল্লা
লম্বা, খুবই
লম্বা ছিল সে
বাড়ি বা ঘর
ধরে রাখতে পারেনি
(১৭)
বৃষ্টি এলেই
খেতিবাড়ির দিকে যে ক্রেয়ন
ধরে ধরে
অন্ত থেকে অনন্ত
শান্ত থেকে শীল
রিয়ার কেরিয়ারে
কাঁপে
ভরা গান, ভরা
মাসে, মনে হয়
এই তো শ্রাবণ
চাকরি হাওয়া,
সংসদ ন্যাতা
আরেকজন ছিল
কিশোরকুমার,
গাইতো হম কিসিকে না রহে
কোই হমারা না
রহা
রিয়া সাপ্লাই
দেয় কাজুবনে ফেরার বৃষ্টিকে
সুর বালুচরিয়া
ইঁটভাটার তাল
রিয়ার সাইকেল
ছিল, গানগুলি ঘুরে বেড়াতো
রিয়ার সাইকেল
আছে, গানগুলি ঘুরছে না আর
বাড়ি হলে যা
হয় আর কী!
(১৮)
পাশ কাটিয়ে
এলাম, গানবাড়ির
আমার অসুখ টসুখ
পিচে ভাপ ছড়াল
ভাপানিসর্গে
গাওয়া গান
বেশ এক রোগে
হারিয়ে যাওয়া
কয়কটা নিক্কণ
কিছু টপ্পা
আনাড়ির
গানবাড়ির পাশ
কাটিয়ে
পিচ রাস্তাটায়
ঢুকল
শর্ত একটাই,
যদি বেরোয় তো লাজবাব হবে
শুবার্ট
না শুবার্ট
নয়, মোৎজার্ট যেরকম
এই যে প্রভাব,
প্রভাবই তো আমাদের রোগ
আর ওষুধের ব্যস্ত
দোকান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন