কবিতার কালিমাটি ১১৪ |
রংদানী
কীভাবে আবার
শুরু করি
যখন শেষের পাতায়
আনাগোনা?
পাতায় পাতায়
ধুলোমাখা অতীত স্মৃতি
জলছবি হয়ে ঝাপসা
চোখে চায়
আকাশের বুক
চিরে পাখির ঝাঁক
তার রং কখন
কীভাবে বদলে বদলে যায়
এত রঙ কোথা
হতে আসে?
সকালের সূর্য্
ওঠার কালে
বিকেলে অস্ত
যাবার কালে
প্রকৃতির রংদানী
উপচে পড়ে শূন্য বুকে।
হাতছানি
পাখি ভেজা ডানা
থেকে জল ঝেড়ে নেয়
ছোট্ট পশমিনা
বুকে ঠোঁটের মিহি কারুকাজ
দেখতে দেখতে
শরীরের পালক ফুলে উঠে
আনন্দে গান
ধরে যে গান তুমি শিখিয়েছিলে
তুমি বসে থাকো
উঠোনে, চুল এলোমেলো
চোখের চাউনিতে
কাকে যেন খুঁজে ফেরো
দূরে নদীর ঢেউ
তোমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে
তুমি মাঝিগান
গেয়ে বৈঠা নিয়ে জলে নামো।
অপলক
শীর্ণ জলপ্রপাতের
ধারা
জঙ্গলের বুক
চিরে চলে যায়
পাথর সরিয়ে
বয়ে চলে
বৃষ্টির জল
আল্পনা এঁকে দেয়
লতাপাতা গুল্ম
পা জড়িয়ে ধরে
তারই ওপর জলকন্যার
ঝুমনাচ
জল এসে হ্রদে
মিশে যায়
ফেনিল জলধারা
সাদা ধোঁয়ায়
আশাপাশ ভরিয়ে
ছবি আঁকে
সূর্যর আলো
পড়ে সিঁড়িপথে
বেয়ে নাম প্রপাতে
জাদুর সৃষ্টি
মানুষ অপলক
চোখে চেয়ে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন