কবিতার কালিমাটি ১১৩ |
সকণ্টক
সাদা আলতায় জ্বলজ্বল
করছ পরিচিতা। ছায়াপ্রপাতে সান্নিধ্য অন্ত্যজ শ্রেণীর। এক স্তনান্তর।
বাতায়নটি সমস্ত জুড়ে
আজ ছবি টাঙিয়েছি। দেওয়ালের নীচে কিশলয়। মর্ত্যধাম, তাই অভিমান এতো বন্দ্যোপাধ্যায়।
গ্রহাতীত চুমুর অঙ্গীকার।
শাড়িহীন উচ্চারণবৈশিষ্ট্য,
ভ্রমপ্রাসাদে লগ্নময়। জ্যামিতিবিন্দু নম্র ও সৃষ্টির আদিকথায়। বর্ষাতিযাপন ঘন হতে চলেছে
এইবেলা সমরসে।
রিক্ততার স্তনগুণে
নমস্কারান্তে
সৌধ ও মিনার দেখতে পাবে
মৃতঘুম স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
কি যেন নিশ্চল!
আজ রহস্যভেদ
আজ প্রলয়ঙ্কর কর্মসূচী
মুখমণ্ডল আশ্চর্যশ্রী
ছাই টানা বারান্দার
বৃষ্টিতে
জলযোগপ্রতিম
ও নেহাৎই বাগানবাড়ির
দিকে বিকশিত…
অমরত্ব থেকে দূরে
চুমুর নির্ভাবনাবশে
অচিন আড্ডালোকে অবশেষে
নিজেকেই
আকাশের মত
প্রতিভাত দেখি
রিক্ততার স্তনগুণে
বিবর্তনবাদ
ওই সৌষ্ঠব
অনাহত বেজে চলে…
ভালোলাগে সন্ধিপদ
ত্রিনয়না দেবীকে স্মাজ
করা অহরহ
হৃদয়ের নিস্তালিনীকরণে
বিরতিহীন, ল্যাম্পশেডের
আলোয়
ব্রাহ্মমুহূর্তে তারপর
কিছুই আর ভালোলাগে না
নগ্ন হয়ে বসে থাকা
ফেস্টিভ্যালের ভেতর
কাটাকুটি হতে হতে
হতে হতে
সার পড়ে থাকে এই মহাজীবনের
ক্ষীরোদশায়ীর আপত্তি-ওজর
টেকে না
আভ্যন্তরীণ ও টেকসই
নিষ্ঠাবশতঃ, ক্রমঘুমে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন