রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না


কবিতার কালিমাটি ১১৩

 

 


হাত

 

নিজের মাথার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে খুঁজে যাই, রাত বাড়ে কেননা সেটাই দস্তুর

একটা মাঠ, শুকনো হলুদ ঘাস, ঘোলা মাটি, বাজ পড়া তালগাছ দেখি

দেখতে দেখতে কখন যেন মাঠ দুলতে থাকে,

হাওয়ায় ভেসে আসে সাংকেতিক দ্রিম্ দ্রিম্

পায়ের তলার মাটি দুলতে থাকলে কোনও চাঁদকেই ভালবাসার কথা বলা যায় না

ঐ একলা মাঠ তখন রাতের মতো বাড়ে

হাত বার করে আনার সময় রক্ত মাটি আর চন্দন লেগে থাকে।

 

পা

 

প্রতিটা নিষ্ক্রমণের ইচ্ছের কথা পা জানতে পারে টনটনে ব্যথার থেকে।

ব্যথা যেমন সর্বত্র ধাবমান পা অতটা পারে না, তার শুধু আগু পিছুতেই দক্ষতা...

বন্ধুর অসুস্থ পা দুটো মনের মাটিতে এমন ভাবে বসে গেছে যে এখন আমার পা জোড়াকে বলতে পারি না

“মঙ্গলের ঊষা বুধে পা

যথা ইচ্ছা তথা যা”

নিজের পায়ে নিজের দেয়া কুড়ুলের দাগ শুধু ইতিহাস নিয়ে অপেক্ষায় থাকে।

 

চোখ

 

নয়নপথে কে গমন করে

ঈশ্বর না কি খড়মাটি?

লাল সাদা রঙে আঁকা চোখ দোল খায় ছোট ছোট ঢেউয়ে

আর সব কিছু শিখে নেয় সরল নৌকাটি।

খড়্গ জানে না সেও এক লাল চোখ ধরে আছে বুক বরাবর।

বলির পবিত্র পশু খড়্গ চেনে নাকি ঐ চোখই নেমে আসে জীবনে?

শত্রুতে শত্রুতে আর মিত্রতে মিত্রতে যখন চোখে চোখে কথা বলে তখন সেই ঘটনার দিকে চোখ রাখে যাবতীয় সন্তরণ অভিজ্ঞতা।

নরম বিষণ্ণ আয়ত চোখ দুটি তথাগতের গল্প বলার সময় জল ঝরিয়ে নির্ভার হয়

আমার কি সত্যিই কোন পুনর্জন্ম হবে?


1 টি মন্তব্য:

  1. সাধু। .... বিশেষ কিছু বলার নেই। খানিক বিষণ্ণতা,তবুও খুব সুন্দর।

    উত্তরমুছুন