কবিতার কালিমাটি ১১৩ |
কবিতারা
এসেছিলাম, দেরীতে
একটু
ছুঁয়েছিলাম,
একটু দেরীতে
জোয়ার, দেরী
হল আসতে
ভাটায় আসতে
দেরী হল
বাঁধ দিয়েছিলাম,
দেরীতে
বাঁধ ভেঙেছিলাম,
দেরীতে
ভাল, খুব ভাল,
দেরীতে বললাম
খারাপ, সাঙ্ঘাতিক,
দেরী হল বলতে
জীবন, দেরী
হল
মৃত্যু, দেরী
হচ্ছে
আমি আর দেরী
পাশাপাশি হাঁটতেই পারলাম না... (মুনির নিয়াজী, আপনার জন্য)
.......…
থাক কথা, কী
হবে?
শীতের যে সব
পরিকল্পনা গাছ থেকে পড়ে গেল, প্রায় শাদা
এই সাঁঝক্রিয়ায়
ভিস্তিওয়ালার ডাক, পিপাসামদির
কথা থাক
শাদা রঙ কালোর পিঠোপিঠি, আমাদের মিলনসভা
আমরা গোল হয়ে দাঁড়াবো
পরিকল্পিত ফুল
আবার গাছেই
শুধু গাছটাই
আঁকতে হবে
.....
রোদ পা ঘষে
বই ওঠে
মই পরিষ্কার
করে ভাবনাজেতা পাতাগুলো
মানে একটা হয়
একটাই মানে
হয় যে হারিয়ে যাওয়া বইগুলো
খুলছে খুলছে
সব ঢেউ
আকাশও খুলছে
ঢেউ দিয়ে
রোদে দোরখোলা
সিঁড়ি
পায়ে রুস্তম
মানে
অভিজ্ঞ রোদ
হারিয়ে গেল
.....
কথা আছে
জিভ আছে
শব্দ আছে
ডাস্টার, মুছে দেওয়ারই একটা অজুহাত
কথা
জিভ
শব্দ
রক্ত
একটা অজুহাতই
ছিল রক্ত না দেয়ার
ভয়
ভয় আছে
দরজা আছে
ভাঙাও আছে
ভাঙার পরে সীমা
গেঁথে গেল কাঁটাতারে
আছে দুঃখ
আছে মৃত্যু
ভাষাও আছে
আছে নদীতে খর্চা
হয়ে যাওয়া মা
মা নেই
মা বাবা ভাই
বোন কেউ নেই
বৌ আছে
বৌরা আছে
ক্যাম্পে ক্যাম্পে
মাংসল আলো হয়ে
আলো আছে
তার গতি তার
বেগ
দেখা যাচ্ছে
না
তার নিভে যাওয়া
ক্রমশ
চিৎকারের বাইরে
চলে গেল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন