রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

সুদেষ্ণা মৈত্র

 

কবিতার কালিমাটি ১১৩


 

নিষ্ক্রমণ

 

বিষণ্ণ গানের কাছে পড়ে থাকতে হতো

জানতে হতো তার চুপ থাকার দোহাই

অধৈর্য্যের বিলাপ আমি

সুখ তো নেই ঝুঁকে থাকায়

বেরিয়ে আসছি ভাঙা ক্যাসেট থেকে

যত্ন থেকে প্রলেপ যেভাবে সরে যায়

 

গৃহী

 

সারাদিন গায়ে লালপিঁপড়ে ঘোরে

বুকে আঙুল পিষে বিষ সামলাই

শরীরের গহ্বরে বাসা বেঁধে ওরা

খেলাধুলো করে

ছোটো ছোটো দানা

মা-বাবা-ভাই

 

সংসারধর্মে খুব গা-বাঁচোয়া আমি

বোকা সেজে থাকি

মুড়ি খাই

বানপ্রস্থ ঘুরি

আমাকেও কি’না লালপিঁপড়ে মারতে হয়!

 

বিরাম

 

বিপন্ন কানের কাছে রোজ নিঃশ্বাস শোনা যাক

যেতে গিয়েও পা হোঁচট খাক পাথরে

দরজা খামোখা নড়ে উঠুক - কেউ ভেতরে আছে

এমন বিশ্বাসে

 

আর কী-ই বা দিতে পারি

তোমায়

আশীর্বাদে...

 

বয়স্ক

 

স্মৃতিসন্তান ভেঙে জন্ম নিলে

‘তুমি’ ব্রহ্মস্বর

এখন অবাক করা নরম নিরীহ সব বোবা ভাত জল

ওপাড়ার তুমুল কাকিমা আর

পিসিমার জ্বর

কবে থেকে বসে যারা ভাঁড়ার আঁকড়ে

শোকের কবল থেকে পালিয়ে বেড়ানো রোদ

ছড়িয়ে ছিটিয়ে চিহ্ন ঘুমন্ত চোখে

যেন রাত তিনটেয় একটানা টিউবওয়েল

ঘরে ফেরা শেষ...

তুমি এসো অপার আবেগ

বিবর্ণ হাত থেকে আংটি খুলে নাও।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন