কবিতার কালিমাটি ১১২ |
নেশা
নেশাগ্রস্থ
হতে চাইনি
তবুও
নেশাটা মাথা
থেকে
পায়ের নখ অবধি
ছুটতে থাকে
ঘন ঘন
ঘোর ঘোর ঘুম
ঘুম লাগে
পদ্মিনী রাত
আসে হাতের চেটোয়
আর কবিতার স্তনে
মুখ রাখতেই
শিশু আমি
ঘুমিয়ে পড়ি
যত্রতত্র যখন
তখন।
পূরবী
দিনটা বাষ্প
হতেই
রাত এগোয় কেটলির
নল
বটের মাথায়
চাঁদের চুমু
মুঠো খুলে দেওয়া
রজনীগন্ধার
সুরঙ্গ মনেও,
চুমু ছিল শ্মশানে
পূরবীর ঠান্ডা
ছাইয়ে
আলোর তাপে যে
জুড়িয়ে দিত
স্যাতস্যাঁতে
দুঃখ
কেউ জানলাম
না পূরবী
চাঁদের চেয়েও
ঠিক কতটা বেশি
তুই চুমু খেয়েছিলি
মৃত্যুর গালে।
অপ্রাপ্তি
একটা কবিতা
লিখতে গেলে
কঠিন কঠিন শব্দ
খুঁজি
সাথে অর্থ
চামড়া কাঠ হয়ে
যায়
চোখ পাথর
ভাসা ভাসা পাহাড়ি
পথ
ঘাম ছড়িয়ে চিহ্নিত
করি
জায়গা মতো বসাতে
গেলে
কাত হয়ে পড়ে
কবিতা
জোর করে পুরুষ
সাজালে যা হয়।
দুঃখ বারুদ
কাঁটার গন্ধ
নিয়ে ফুল ফোটে
আঙুলে লেগে
থাকে
লবঙ্গ দুঃখ
আহত দেওয়ালে
মাকড়সা আড়ি
পাতে
হাড়ির তলার
মাটির পট্টি
শুষে নেয় সব
আগুন
কাঁখে অন্ধকার
নিয়ে
ঋতু ডিঙোয় বউ
আর মেঘেদের
পরিচর্যায়
সামিল হয়
স্নানঘরের কিছু
লুকানো বারুদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন