সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ইন্দ্রাণী সরকার

 


কবিতার কালিমাটি ১১০


নৈশপ্রিয়া

 

আঁধারে প্লাবিত সুনীল আকাশ,

তোমার তন্ময় শুচিস্মিত মুখশ্রী,

তোমার উজ্জ্বল চোখের তারা,

কাজল পেতে রেখেছি দুচোখে।

যখন জ্যোৎস্নাভরা রাতে ভেসে যায় 

এই চরাচর, তোমায় পায়ের মৃদু পরশটুকু

আমি পাতায় তুলে রাখি, তুলে রাখি

তোমার বিষাদ ঠোঁট, গভীর চাহনি।

তাই আমি নৈশপ্রিয়া, প্রত্যহ কবিতাগুচ্ছে

জমিয়ে রাখি অর্থবহ কিছু শব্দসমষ্টি।

 

সুচারু নিয়মে

 

যখন মরসুমের সৃজনি বাতাস

মনের প্রান্তরে ঢেউ খেলে যায়,

সকালের টুপটাপ ঝরে পড়া ফুল,

বিকেলে মুদে আসা পদ্মকোরক

রাতের রজনীগন্ধার আতর সুবাস

সব কিছু সুচারু নিয়মে হয় বাঁধা।

তখন কারুকার্য করা তোমার মুখ,

শান্ত, নরম দুটি চোখ, উৎফুল্ল মুখে

লেগে থাকা হাসি, একরাশ রঙিন

ভালোলাগা হয়ে মন রাঙিয়ে যায়।

 

প্রকৃতির সৌন্দর্য

 

পাইনেই সারির দীর্ঘ ছায়া প্রান্তরে ফেলে,

সূর্য্যের আলো আকাশের মেঘলা বুকে

সাতরঙা রামধনুর গাঢ় রং ছড়িয়ে দেয়।

পাহাড়ের বুক চিরে আঁকাবাঁকা জলধারা

পথ থেকে কুড়িয়ে রাখে অজস্র নুড়িপাথর।

জলের দুধারে ফুটে থাকা একঝাঁক বনফুল

নীল আর বেগুনী রঙের প্রাচুর্য্যে মন ভরায়।

উঁচুনিচু গাছের মাথারা ফিসফিসিয়ে ওঠে

বাতাস খুব আলতো ভাবে নির্জনতা ছুঁয়ে যায়।

তোমার চোখের তারা খুশিতে ঝলসে ওঠে।


1 টি মন্তব্য: