প্রতিবেশী সাহিত্য
অঞ্জন কুমারের কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
লেখক
পরিচিতিঃ কবি অঞ্জন কুমারের জন্ম ১৯৭৬ সালের ৯ অক্টোবরে। তাঁর শিক্ষাগত
যোগ্যতা: এম এ (হিন্দী), বিএড, এম ফিল, নেট, সেট, পিএইচডি। বর্তমানে তিনি ভিলাই
নগরের পি জি কলেজে হিন্দি বিভাগে অধ্যাপনা কাজে নিযুক্ত আছেন। তিনি হিন্দি ভাষায়
কবিতা এবং সমালোচনা লেখেন।
স্বর
কুয়াশা পড়ে যখন রাস্তায়, সুড়ঙ্গে চারিদিক প্রান্তরে
তখন মানুষ ছায়ায় পরিণত হতে থাকে
কুয়াশা ও নিস্তব্ধতা
ঠিক এভাবেই রাতের বুনন
যে এই রাতে কাউকে চেনা
বেশ কঠিন হয়ে উঠে
তখন মানুষের স্বরটাই
শুধু বাকি থাকে
যার সাহায্যে
চিনতে পারা যায় মানুষকে
বসন্ত
রোদের হালকা আমেজ
ও নিজের সবুজ নিয়ে
তারপর নানান রঙের
ফুল হাতে নিয়ে
এসেছিল বসন্ত
আমি বললাম দেখো
এই হল বসন্ত
বসন্তকে স্বাগত জানান
তারপর বসন্তকে
নিজের অন্তরে জায়গা করে দাও
তুমি দেখবে
একটি সুন্দর পৃথিবী
আছে তোমার ভেতর
যার খবর আনে
শুধু বসন্ত।
ওরা ফিরছে
সব প্রজাপতি নিজের কোমল ও
নানান রঙের ডানা সঙ্গে নিয়ে ফিরছিল
ফিরছিল পাখিদের
গুঞ্জন নিয়ে আগের মত
ঘরে অঙ্গনে
ফিরছিল
ওই পশুরা ও
যাদের জঙ্গল উজাড় করে
আমরা তৈরি করে নিয়েছি কংক্রিটের জঙ্গল
ফিরছিল
মাছগুলিও পাড়ে
যারা ছোট-বড় জাহাজের ভয়ে ও
বাষ্প দূষণের আতঙ্কে
লুকিয়ে ছিল অতলে
ফিরছিল
চাঁদ ও নিজের পুরো আলো নিয়ে
ঠিক তেমন করেই ফিরছে
হারিয়ে যাওয়া অসংখ তারাও
ফিরছিল
বাতাসও নিজের শুদ্ধতা নিয়ে
যেভাবে ফিরছিল জল
ওর ফিরছে
ভাবতে ভাবতে
মানুষও কি শেষে ফিরবে?
চিন্তায় আছে ফিরবে কি
নিজের হারানো মানবতাকে সঙ্গে নিয়ে
কিছু বাকি থেকে যাক পৃথিবী
বাকি থেকে যাক সমান সমান
সবার ভাগের জীবন।
সম্ভাবনা
হাত ভালোভাবে মোছার পরও
থেকেই যায়
আঙুলের ফাঁকে ভেজাভাব
ভালো করে ঝেড়ে ফেলার পরেও
যেমন থেকে যায়
নুন আঙুলের ডগায়
থলে খালি করার পরও
থেকে যায় কখনো কখনো
কোথাও লঙ্কা
খরচ করার পরও
থেকে যায় পকেটে
এক আধটা আধুলি
সব কিছুর পরও
সব শেষ হয়না
থেকেই যায়
সম্ভাবনা
গণতন্ত্রের হত্যা
এখন তোমার হত্যা
গণতন্ত্রের হত্যা নয়
বরং গণতন্ত্রের রক্ষা বলা হবে
ওদের যখন মনে আসবে
তুমিই ওদের ভয়ের কারণ
ওরা গণতন্ত্রের কথা বলে
তোমার হত্যা করে দেবে
হত্যার
গণতান্ত্রিক উপায়ও
খুঁজে নিয়েছে
গণতন্ত্রের বিরোধীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন