সমকালীন ছোটগল্প |
বাস্তুসাপ
বেদেরা নাকি সাপের হাঁচি চেনে! কিন্তু তারা কি কখনও সাপকে কাঁদতে বা হাসতে দেখেছে! এমন প্রশ্ন শুনলে অনেকেই মূর্ছা যাবে, নতুবা প্রশ্নকর্তাকে পাগল ঠাওরে পাশ কাটিয়ে যাবে। অথচ সনাতনের মাথায় সেই ছোটবেলা থেকেই ব্যাপারটা বট বৃক্ষের শেকড়ের মতো ছড়িয়ে গেছে! আর ইদানীং তা স্বপ্নের মধ্যেও হানা দিচ্ছে! তখন সনাতন দিব্বি সাপের কথা শুনতে পায়। তবে কথার মধ্যে সাপের হিস হিস শব্দ জড়িয়ে থাকায় স্পষ্ট বুঝতে পারে না! সেই সাথে সাপও হাসতে থাকে!
-তোমাদের
বাড়ির বাস্তুসাপের কথা তো আমি সেই বাসর ঘর থেকেই শুনে আসছি। প্রথম প্রথম
বড় আতঙ্কে থাকতাম। রাতে চার ব্যাটারির টর্চ আর লাঠি নিয়ে বাথরুমে যেতাম। একদিন তো কুয়োতলায় একটা কি যেন দলা পাকানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ভীষণ চিৎকার
করে উঠেছিলাম। তখন বাবা দৌড়ে এসে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘বৌমা, এটা তো
একগাছা নারকেল দড়ি’! তারপর থেকে বড় সতর্ক থাকতাম। বরং তুমিই মাঝে মাঝে বাস্তুসাপের গল্প বলতে। কুন্তলা আঁচলে
হাত মুছতে মুছতে বলে।
সনাতন এতক্ষণ বারান্দায় বসে কুন্তলার কথা শুনছিল। কিন্তু ভাবছিল এই বাড়িটার কথা। মাত্র তিন কাঠার উপরে এই বাড়ি। বাড়ির সামনে কিছুটা জায়গায় মল্লিকা আর আম্রপালির দুটো গাছ। কিছুটা জুড়ে রয়েছে নিত্য দিনের পুজোর ফুলগাছ। তাই চৌহদ্দিটা বেশ ঝা-চকচকে। জোছনা রাতে আম আর ফুল গাছ চুঁইয়ে যখন জোছনা ঝরে পড়ে, তখন সনাতনের কাছে নিজের বাড়িটাকেই বড় অচেনা মনে হয়।
কুন্তলা স্বামীর কোন আওয়াজ না পেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে, সনাতন নির্নিমেষ চোখে দূরে তাকিয়ে কী যেন ভাবছে! ইদানীং মাঝে মাঝেই লোকটাকে বড় অচেনা মনে হয় কুন্তলার! অথচ এই লোকটাই বিছানায় একেবারে অন্য রকম। চায়ের কাপটা টেবিলে রাখতেই সনাতনের দৃষ্টিটা হোঁচট খেয়ে কুন্তলার উপর ঠিকরে পড়ে। কুন্তলা চলে যাচ্ছিল। কিন্তু সনাতনের ডাকে থমকে দাঁড়ায়।
-বাস্তুসাপটার
কথা তাহলে তোমার আজো মনে আছে দেখছি! সনাতন বলে।
-যদিও ওকে কোনদিনই দেখিনি। তবে মাঝে মাঝেই তোমাদের বাড়িতে বাবা-মায়ের মুখে বাস্তুসাপ নিয়ে চর্চা হত। প্রথম প্রথম ভয়ের সাথে একটা কেমন যেন গা-সিরসিরে ভাব জড়িয়ে থাকত। পরে আর ওর কথা মাথাতেই আসত না।
-জানো তো, ইদানীং ওর
কথা খুব মনে পড়ে। সনাতনের বুক নিংড়ে একটা নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে।
-যাকে কোনদিনই
চোখে দেখনি তাকে আবার মনে থাকে কীভাবে? এটা তোমার শ্রুতস্মৃতি হতে পারে। বাড়িতে বাস্তুসাপের এতটাই আলোচনা শুনেছ যে মনে হচ্ছে তুমি বুঝি ওকে নিজের চোখে
দেখেছ। তাই না! কুন্তলা ঠোঁট টিপে মুচকি হাসে।
সনাতন এতক্ষণ শূন্যে তাকিয়ে ছিল বটে, কিন্তু মাথার মধ্যে চলছিল বায়োস্কোপে বাস্তুসাপের পূর্ণছবি। শ্রুতস্মৃতি হলেও সে দিব্বি তাকে দেখতে পাচ্ছিল। বেশ বড় আর নাদুস-নুদুস চেহারা। চোখ দুটো স্থির। ঠিক পাথরের মতো নিশ্চল! এক অন্তরভেদী দৃষ্টিতে সে সনাতনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। এ যেন রক্ত হিম করা চাউনি! পলকহীন চোখ বলেই তা সঠিক ভাবে বোঝা যায় না।
-কিগো কী সিদ্ধান্ত
নিলে? কুন্তলা চায়ের কাপটা নিতে এসে বলে।
সনাতন চকিতে বায়োস্কোপ থেকে
স্ত্রীর দিকে তাকাতেই সে কুন্তলার চোখের মণিতেও সেই বাস্তুসাপটাকে দেখতে পায়। অবিকল এক! সনাতন
তাড়াতাড়ি চোখের পাতা ফেলে আবার কুন্তলার দিকে তাকাতেই বাস্তুসাপটা নিমেষে হারিয়ে
যায়। সে বলে, কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছিলে তুমি?
-আমার হয়েছে
এই এক হ্যাপা। সব কথা কি আমাকেই মনে করিয়ে দিতে হবে? কেন গ্রামের
বাড়ি থেকে নগেনকাকা সেদিন বাড়ির ব্যাপারে তোমার মতামত জানতে চাইলে তুমি কটা দিন
সময় চাইলে। এর মধ্যে সবই ভুলে গেলে? কুন্তলা অবাক হয়ে স্বামীর দিকে তাকায়।
-ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে। এবার সত্যিই সনাতনের সব মনে পড়ে যায়।
-তা শেষপর্যন্ত কী করবে ভাবলে? রান্নাঘরে কাপটা রেখে এসে
কুন্তলা একটা চেয়ার টেনে বসে।
-এটা কি এখনই
বলতে হবে? সনাতনের কথায় একটা অসহায়তা ফুটে ওঠে।
-সময় তো আর কম
পাওনি। প্রায় তিন-চার মাস হয়ে গেল। এ তো আর শহরের স্থাবর সম্পত্তি নয়। তাছাড়া ইদানীং নাকি তোমাদের গ্রামে নতুন সব
দল গজিয়ে উঠেছে। কবে যে অমন ফাঁকা বাড়িতে পতাকা তুলে দেবে কে জানে! নগেনকাকাই এসব বলেছিলেন। তখন আম-ছালা দুটোই চলে যাবে। হা-হুতাশের সময়
পেলেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তাছাড়া পুটুসের ভবিষ্যতের কথাও তো আমাদের
ভাবা উচিত। কুন্তলা যুক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করে যাতে সনাতন আর
হেলাফেলা না করতে পারে।
-কিন্তু বাবা
যে চলে যাওয়ার আগেও একদিন বলেছিলেন যে বাড়ির বাস্তুসাপকে কখনও অন্যকে দিস না। ওরাও তখন কাঁদে, কষ্ট পায়। আর তাই তো আমিও কোন সিদ্ধান্ত-
হঠাৎ সনাতনকে
থামিয়ে কুন্তলা বলে - বাবা তো আর এমন পরিস্থিতি দেখে যাননি। তিনি শুধু
তাঁর সিদ্ধান্তটাই তোমাকে বলেছিলেন। কিন্তু এখন যদি সম্পত্তিটাই বেদখল হয়ে যায় তখন নিজের এক বদ্ধ ধারণার জন্য
মাথার চুল ছেঁড়া ছাড়া কোন কিছু করার থাকবে কী? আর থানা-পুলিশ করার লোক যে তুমি নও
তা তো আমি জানি। তাই বলছি যুগ যুগ ধরে কোন গল্পকে মনে মনে
লালন করা ঠিক নয়। এবার বরং একটু গা-ঝাড়া দিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নাও। কুন্তলার
গলাটা হঠাৎ একটু কর্কশ শোনায়।
-ওটা অদৃশ্য
বা অলীক কল্পনা নয়। ওকে আমি নিজের চোখেই দেখেছি। একবার নয়। বেশ কয়বার। আমি যখন পূবের ঘরে জানলা খুলে স্কুলের পড়া করতাম তখন
বাস্তুসাপটা পাশের ঝাঁকড়ালো হাসনুহানার ডালে ওর শরীর পেঁচিয়ে আমার দিকে পলকহীন
চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে পড়া শুনতো। আর মাঝে মাঝে ওর চেরা জিভটা বের করত। আমার তখন মনে হত ও
বুঝি আমার সাথে পড়ছে। আমি ছোটবেলায় দুলে দুলে পড়তাম। আমি যতই
দুলতাম, ও ঠিক সেই তালে মাথা দোলাত। প্রথম যেদিন ওকে দেখলাম সেদিন খুব ভয় পেয়ে
গেছিলাম। এক ছুটে রান্নাঘরে মায়ের কাছে চলে গেছিলাম। মাও আমার সাথে ছুটে এসেছিল
পূবের ঘরে। কিন্তু তখন ও আর ছিল না। তারপর তো অনেক
দেখেছি। আর ভয় পেতাম না। এ সব দৃশ্য চোখ বন্ধ না করেই আজো দেখতে পাই। তাই তাকে অস্বীকার করি কীভাবে বল! সনাতন বড় অসহায় বোধ করে। ওর বুকের ভিতর থেকে একটা চাপা নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে।
কুন্তলা চেয়ার
ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে- দেখ নগেনকাকারও তো যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তিনিই বা আর
কতদিন অনাত্মীয়ের সম্পত্তি আগলে রাখবেন। আর তাই হয়তো বারবার আমাদের
বলেছেন একটা সিদ্ধান্ত নিতে। নেহাত বাবাকে দাদার মতোই শ্রদ্ধা করতেন, তাই
এত করেন। ওনারই বা কি ঠেকা পড়েছে বল। তাই বলছি যা করার তাড়াতাড়ি কর। কুন্তলা পা দাপিয়ে রান্নাঘরে চলে যায়।
(দুই)
কোথাও যাব বললেই তো সাথে সাথে যাওয়া যায় না। চারদিকের কাজগুলোর একটা সুরাহা না করে বাড়ি ছেড়ে এক পা যাবার জো নেই। অথচ সেই যাওয়াটাই যেতে হল যখন আর নগেনকাকা নেই। ঘটনাটা দিন কয়েক পরে সনাতন জানতে পেরেছিল। সাথে সাথে নগেনকাকার ছেলে পল্টুর সাথে কথাও বলেছে। কিন্তু আজ ও উপলদ্ধি করতে পারছে যে ওর গরিমসির জন্যই শেষপর্যন্ত আর নগেনকাকার সাথে দেখা হল না। তাই সে কুন্তলাকে নিয়ে একেবারে শ্রাদ্ধের সময় গিয়েছিল। ফেলে আসা পরিত্যক্ত ভিটাবাড়ি দেখাটাও কম কৌ্তুহলের ছিল না সনাতনদের কাছে।
নগেনকাকার
শ্রাদ্ধের কাজ মিটে গেলে সনাতন এসে দাঁড়াল ওদের খন্ডহর বাড়ির সামনে। খড়ের চালের ভিতর থেকে বের হয়ে রয়েছে পাঁজরের মতো বাতার শরীর! কোথাও কোথাও সেটাও নেই! আবার কোখাও বা চালের উপরে তেলাকুচা লতার
বিস্তার। সাথে টুকটুকে লালচে ফল পেকে রয়েছে। সারা আঙিনা জুড়ে
নাম না জানা জংলী গাছের ঝোপ। আজীবন ধরে দেখা তুলসী বেদীর কোন অস্তিত্ব
খুঁজে পাওয়া মুশকিল! অথচ পাঁচ-দশ গৃহস্থ বাড়ির মধ্যে ওদের বাড়িটি ছিল একেবারে
ঝা-চকচকে! নিত্যদিন সকালে মা নিজের হাতে সারা বাড়ি যেমন ঝাঁট দিতেন
তেমনি আঙিনাটা গোবর দিয়ে লেপতেন। চাটাই ছাড়াই সেই আঙিনায় দিব্বি বসা যেত। অথচ
আজ দেখে মনে হচ্ছে অতীতে কেউ কোনদিন এই বাড়িতে বাস করত না। সনাতনের ভীষণ কষ্ট হয়! তার মনে একটা অপরাধ বোধ কাজ করে। নগেনকাকা তাই বলতেন, ‘বুঝলি সনাতন, আসলে
বাড়ি হল মানুষের শরীর। নিত্যদিন স্নান না করলে, শরীরটাকে
ঘষা-মাজা না করলে বা জামা-কাপড় না পাল্টালে যেমন শরীরে ব্যাধি বাসা বাঁধে,
ঠিক তেমনি মানুষের বাড়িরও তার প্রয়োজন হয়। কয়েক বছর পর পর খড়ের চাল
পাল্টানো, টালি পাল্টানো, বাড়ি-ঘরের যত্ন নেওয়া, এসবেরও প্রয়োজন হয়। ঠিক যেন মন্দিরের মতো। আর তাই তো শরীর যেমন মন্দির, বাড়িও একটা মন্দির। আর তাই অনেকে বাড়িকে পরম শান্তির জায়গা মনে করেন’।
এই মুহূর্তে
সনাতনের মনে নগেনকাকার কথাগুলোই উথাল-পাথাল করছিল। সে চেষ্টা করছিল স্মৃতিগুলোকে
জোড়া দিতে। কিন্তু তা এই বাড়ির মতো এতটাই মলিন হয়ে গেছে যে বারবার
চেষ্টা করলেই ছিঁড়ে যাচ্ছে! কুঁয়োতলার ইট বাঁধানো জায়গাটা দেখলে হঠাৎ
মনে হবে যেন কোন অশীতিপর বৃদ্ধা তার ফোকলা মুখে চিৎপাত হয়ে শুয়ে রয়েছে! হঠাৎ পিঠে একটা হাতের মৃদু স্পর্শে সনাতন চমকে ওঠে! নগেনকাকার
ছেলে পল্টু বলে- কি গো সনাতনদা, স্মৃতি হাতরে চলেছ বুঝি?
সনাতন
নিঃশব্দে হেসে বলে- এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতিই তো
খুঁজছিলাম। চেষ্টা করছিলাম এক সূতোয় গাঁথতে। কিন্তু পারছি আর কই। সবই
তো টুপটাপ করে খসে পড়ছে।
পল্টুর কাছে
এমন সেন্টিমেন্টের কোন দাম নেই। তাই সে উপলদ্ধিও করতে পারে না। বরং সে এবার আসল
কথাটাই বলে- আজ সারাদিন তোমাকে যে কথাটা বলার জন্য ছটফট করছিলাম কাজের চাপে তা আর
বলা হয়নি। তাই তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে চলে এলাম। বলি এবার কিন্তু তোমাকে একটা
সিদ্ধান্ত নিতে হবে সনাতনদা। বাবা চলে গেলেন। তাই এবার নিজেদের ব্যাপারটা বুঝে নাও। আমার পক্ষে তোমাদের এই পোড়োবাড়ি আগলে রাখা সম্ভব হবে না। বুঝতেই পারছ আমারও তো
চাকরী রয়েছে। তাছাড়া আমাদের বাড়ি লাগোয়া এমন একটা অদ্ভুতুড়ে পোড়োবাড়ি থাকাও বোধহয়
ঠিক নয়। রাত বিরাতে অনেক শব্দ শুনি। বুঝি তোমাদের বাড়িটা অনেক জন্তু ও সরীসৃপের আখড়া
হয়ে গেছে। ওরা ধীরে ধীরে একদিন যে আমাদের বাড়িতে আসবে না, তা কে বলতে
পারে। তাই আমরাও খুব ভয়ে ভয়ে থাকি। তাছাড়া আমাদের গ্রাম আর আগের মতো নেই সনাতনদা। অনেকেই অন্য রঙের পতাকা নিয়ে ঘোরে!
পল্টু থামতেই
সনাতন বলে - তুই আমাদের ভিটা বাড়িটা নিবি? যা দিবি আমি কোন আপত্তি করব
না। তবে একটা শর্ত রয়েছে। আর তা হল আমাদের
বাস্তুসাপের যেন কোন ক্ষতি না হয় বা ওকে কোনদিন তাড়িয়ে দিস না। ও কখনও কারোর ক্ষতি করেনি।
-কই, আমি তো কোনদিনই দেখিনি! তবে বাবার মুখে এমনটাই শুনেছিলাম মনে পড়ছে।
-সবাই কি আর
সব কিছু দেখতে পায়রে পল্টু! তাহলে তো সব মানুষই এক হয়ে যেত! সনাতন ঠোঁট ভেঙে নিঃশব্দে হাসে!
-সে তো আজ ইতিহাস সনাতনদা। তোমার ছোটবেলার যুগ। হয়তো আমার
বড়দি বলতে পারত।
-হ্যাঁ, আমি একদিন সেঁজুতিকে ডেকে দেখিয়েছিলাম। ও খুব একটা
স্পষ্ট দেখতে পায়নি বোধহয়। তবে বিশ্বাস করেছিল। কারণ তখনও
হাসনুহানা গাছের ডালটা মৃদু মৃদু দুলছিল। কিন্তু আজ তো আর সেঁজুতি নেই যে
ওর কাছ থেকে জেনে নিবি।
পল্টুর উত্তরের অপেক্ষা না করে সনাতন হাসনুহানা গাছটার দিকে তাকাতেই দেখে বাস্তুসাপটি আগের মতোই ওর দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে রয়েছ। আর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে স্ফটিক জলধারা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন