প্রতিবেশী সাহিত্য
তিথি দানী’র কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
লেখক পরিচিতিঃ তিথি দানীর জন্মস্থান মধ্যপ্রদেশের জবলপুর। তিনি কলেজে অধ্যাপনা, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ও পি 7 নিউজ চ্যানেলে সাংবাদিকতার কাজ করেছেন। ইউ কে’তে এক বছরের জন্য শেফ হিসাবেও কাজ করেছেনl বর্তমানে তিনি হিন্দি পড়াচ্ছেন, স্বতন্ত্র সাংবাদিকতা করছেন এবং অনুবাদের কাজ করছেন সেখানে। সম্মাননা:-- লন্ডনের ভারতের হাইকমিশনের ডক্টর লক্ষ্মীমল সিংভি হিন্দি সাহিত্য প্রকাশন অনুদান প্রকল্পের প্রাপ্ত প্রথম কাব্য সংকলনের পাণ্ডুলিপি। আধারশীলা ফাউন্ডেশনের' হিন্দি গৌরব সম্মান' লাভ করেছেন। এছাড়া হিন্দি সাহিত্য সম্মেলনে সম্মানিত হয়েছেন ‘বাগীশ্বরী সম্মান’এ।
দুঃখ
(এক)
দুঃখে গাঁথা শব্দগুলিকে যতক্ষণ না কেউ ছড়ায়
মনের সামুদ্রিক গহ্বরে থাকে না কোনো অবসাদ
জলের উপরে কেমন বৃত্তাকার রূপ নেবে তাই ভাবে
বৃত্তাকার হওয়াটা হারিয়ে যাওয়া বা
মিশে যাওয়ার দিক পা বাড়ানোর
একটি সার্থক ও কঠিন পদক্ষেপ
এই পদক্ষেপ অদম্য, অদৃশ্য ও অজ্ঞাত
কিন্তু উপস্থিতিতে সাহসের একটি দামী অভিব্যক্তি।
(দুই)
দুঃখ একটা চালাক শেয়াল
পা চেপে ঢুকে পড়ে
সবুজ মনকে নষ্ট করে
দেহের পথ পার হয়ে
নতুন ঘরের ত্বককে বিদ্ধ করে
শিকার করে
সমবেদনার ওরা কিছু কোমল মনকে
ওরা ঠিক জানে না এইসব প্রত্যেকের মনে
খুব কাছের কারুর মৃত্যুর অনুভবের
কপালে দেয়া একটি তিলক মাত্র।
(তিন)
দুঃখের রূপ অন্তত
দুঃখ প্রত্যেকবার নতুন পোশাক পরে আসে
কিছু জর্জর হওয়া অব্দি গায়ে দেয়া যায়
কিছু বিরক্ত হওয়ার পরও নতুন হলেও ফেলে দেয়া হয়
কিছু ছিঁড়ে যাওয়ার পরেও
তাপ্পি মেরে আবার গায়ে গলিয়ে নেয়া হয়।
(চার)
জলের গালিচায় পাতা দুঃখ
সুন্দর কারুকার্যের মত
কারণ বাতাসের কোমল স্পর্শে
জলকে আলোড়িত করলাম,
তাই আজ বাতাস গর্ভবতী।
কান্না
অকারণ কান্না আমার আত্মার রস
আমার রুমাল ভিজিয়ে রাখে
ও যে জীবিত সেই ভুল ধারণা নিয়ে সে থাকে
তাই সে বড় বড় নৌকো নিয়ে রাখল
যুদ্ধপোতে রাখার জন্য
সেগুলি সে উদ্দেশ্যর হত্যার জন্য ব্যবহার করবে
যখন মনের গভীর ভাঁজ থেকে সত্য বেরিয়ে আসে
তখন সেই কান্নাকে খননকারী মেশিন দিয়ে
উপড়ে ফেলে সেখানে মাটি
আবার ভূমিগত জলে স্নান করার পর
হয়ে উঠে গঙ্গার মত তো নয়
কিন্তু কালিন্দীর মত পবিত্র ও কালো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন