কবিতার কালিমাটি ১০৭ |
আমার সর্বনাম
নিজেকেই ডেকে
ডেকে ফিরি
নিজেকেই খুঁজে
খুঁজে ফিরি
এই বনপথ, এই
হ্রদ, লজ্জাবিহীন সীমানা
কোলাহল সাঁতার
সঙ্গম পর্যাপ্ত আঁধার
আলো আর দেহ
আর অব্যক্ত গান
গাছে গাছে মর্মর
আবেগ
কাঁপা কাঁপা
অনিঃশেষ তোলপাড় কাম
স্রোত বয়ে
যায়
জলে কার ছায়া?
রা দেই আমি আর আমার সর্বনাম ...
ঈশ্বরের মুখ
প্রাচীন মন্দিরের
গায়ে ঘণ্টা লাগানো আছে
আর এই ঘণ্টা
না বাজালেও বেজে যায়
বিমূর্ত ধারণা
থেকে পাওয়া এইসব ঐশ্বরিক
মুহূর্তগুলি
পার্থিব অপার্থিবে
যাওয়া আসা করে
কিছু কিছু মানুষ
দৈবদূতের মতো আগুন লাগা বাড়ি থেকে
পোয়াতি নারীকে
বাইরে বের করে আনে
অথবা ভয়ঙ্কর
সামুদ্রিক ঝড়ে ডুবে যাওয়া জাহাজের
ভাঙা পাটাতন
যা তীরে পৌঁছে দিতে পারে
হিরণ্য রোদের
দেশে বাউলের গান নিঃস্ব মানুষের তরি
অথবা মৌসুমি
বায়ুর আশ্বাসে কৃষকপাখির পরান নাচে
এক একটি ফুল
দেবতার নামে ফোটে
দৈবভিখারি মানুষ
স্বর্গ বানায় ধুলোঘরে
রাতের পাথর
কার সুখ কে
নিয়ে নেয়
ভাবতে ভাবতে
অসহায় লাগে
কান্না কি শুধুই
চোখের জল?
সব কান্না জল
হয় না
কান্নাও পোড়া
এক ছাই
রাতের পাথর
সরাতে সরাতে
শেষ হয় আয়ু
নিভৃতে এত কার
কথা ভাবি?
সে কি কোনও
আলো?
আলোও তো ভ্রম
হতে পারে!
সেই ভ্রমের
কাছে যাই বারবার
দেখি পদ্ম ফোটে
বিলে
কাঞ্চন রঙের
মেঘ পালকি সাজায়
ইচ্ছা ও ইচ্ছার
বর সেখানে গিয়ে বসে
শ্রমের ঘামে
ভিজে ভিজে আমি ক্ষয় হই।
যদিও শয্যা
আছে, শয্যায় ঘুম
বিশ্বাসী পায়রা
এসে ডাকে
কে কাকে কতটুকু
বোঝে?
প্রদীপ নিভিয়ে
দিই
একা একা বসে
থাকি প্রদীপের কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন