শুক্রবার, ১৪ মে, ২০২১

ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১০৬


ভাইরাস নাম কার্বন

 

()

 

অমৃত কে প্রশ্ন কর আজ, শপথ বাক্যে

কতটা চেতনা জুড়ে থাকলে

নির্মোহ হওয়া যায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মে

সময় সান্দ্র হলে, নিবৃত থাকে কালপুরুষ - রাতের আকাশে,

আর ভোরের কুয়াশার মতন এই ভাইরাস সূত্র

জেগে থাকে তোমার আমার শপথ অনুষ্ঠানে

 

কেন, কীভাবে? অতঃপর কেমন

এক অন্ধ বীণাবাদক হেঁটে চলে যায় তোমার আর আমার সত্যির মধ্যে

 

()

 

গাছের যে নামে থাকে কার্বন বেদনা

তার সমস্ত ঝরা পাতায় আজ আগাম পরগনা;

তারা উড়ে যেতে যেতে, সমস্ত বিছিন্ন রৌদ্রকণা

পার্শ্ব চরিত্রে হারিয়ে গিয়েও তথাপি হারায় না

উপকূল হাওয়ার মতন এই মড়ক নিম সহ্যবাসরে

জেগে থাকে তোমার আমার মৃত্যু চেতনা

 

কেন, কীভাবে? অতঃপর কেমন

এক বৃদ্ধ জেলে বেঁচে থাকে এড়িয়ে তোমার আমার সভ্যতার উপাসনা

 

(৩)

 

জন্ম যেমন সমস্ত কিছু জেনে

শুরু করে পৃথিবীও, সমস্ত ভার নিজের কাছে টেনে।

একটি চেতনা হতে অন্য চেতনায় আজ অধগমনে-

এ সমস্ত সত্য আজ - প্রমিথিউস সভ্যতা জানে।

বেহিসাবী মাস্তুল নদী তবু ছেড়ে যায়,

মিথ কল্পে পড়ে থাকে বয়া আজ অকারণে।

 

কেন, কীভাবে? অতঃপর কেমন

সিঁড়ি বেয়ে উঠে যায় সমস্ত ভালোবাসা কতিপয় নক্ষত্রের টানে।

 

(৪)

 

নিশ্বাসে আজ বিশ্বাস নিয়ে গেছে আলাপচারিতায়

কার্বন স্বপ্ন সত্যি হয়েও না আজ, পর্যাপ্ত বিপন্নতায়

যে সত্য দাঁড়ায় তোমার আমার ঘনাঙ্কিত স্বাধীনতায়

তাকে রুহ দিয়ো, স্থিতু কর একান্ত অধ্যাবসায়।

এ্মন বিষ দৃশ্যেও ক্রন্দসীর আলো আনুক ভোরে

ন হন্যতে জগে থাকুক চোখ, অমৃত-ভাইরাস অবিলতায়

 

কেন, কীভাবে? অতঃপর কেমন

স্মৃতি মুছে যাওয়া দড়ি টেনে রাখে পৃথিবীর শেষ ভালবাসায়।

 

(৫)

 

বিশ্বাস হয় যে মরীচিকা নয়, লোকায়িত হয় চড়কের দেশ

মাটি গর্ভে গড়ে ওঠে সঞ্জীবনী ভবিষ্যৎ প্রদেশ।

তবে সে ভিন্ন, কররেখার মত ধুমায়িত হয়  নির্ঝরের বেশ

জল, স্থল, অন্তরীক্ষে পালিত হয় সেই অমোঘ আদেশ।

পৃথিবী জুড়ে স্বপ্নের হরতাল চলে

আর দূরের দ্রাঘিমায় আশ্রিত হয় তোমার আমার সন্নিবেশ।

 

কেন, কীভাবে? অতঃপর কেমন

ঝড়ের রাতের আলোর সংকেত চিহ্নের মতন আমি তুমি বেঁচে নির্নিমেষ।


1 টি মন্তব্য: