শুক্রবার, ১৪ মে, ২০২১

ইন্দ্রাণী সরকার

 

কবিতার কালিমাটি ১০৬


অবিনশ্বর

 

হাত শুধু একজনেরই হাতে

আনন্দ কুড়োতে এসে ভাবি,

এরা কি এমনই করে

নিজের আপন লোকের সাথে?

আসলে আপন ত' নই

তাই শুধুই জেনেছে পর

নানান মানুষ নানান প্রয়োজনে

হেনে গেছে তীব্র কুটিল শর।

নিজেদের অশান্তি

একে অন্যের ওপর ঢেলে দিয়ে

ইতিহাসে তারা দারুণ অবিনশ্বর।

গাঢ়তম রাত জানে বন্দরে

কবে কবে ডুবেছে জাহাজ

নিদ্রাহীন চোখের মাঝে

সুখ গিলে খায় চোখের অসুখ।

 

অসমতে আছি

 

দেখো প্রিয়া কি ভীষণ অসমতে আছি

চতুর্দিকে হরিপ্রিয়াগণ

মধ্যে আমি বংশীবদন

বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা

 

জানলাটুকুন একটুকু ফাঁক রেখো

দেওয়াল ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় আমার চন্দ্রকলা

তোমায় জোছনায় ভেজাবো প্রিয়া

তোমার এলোচুলে বেঁধে দেব ধুতুরার ফুল

 

তারপর শাল্মলী গাছের তলায়

হবে আমাদের একান্ত মালাবদল।

 

শুষ্ক হয়ে আছি

 

ভীষণ শুষ্ক হয়ে আছি

এ মরু প্রান্তর

শাখা প্রশাখাবিহীন

শতপদ্মের নির্যাসটুকু নিয়ে

কোনোভাবে বাঁচি

আমার শ্মশ্রুগুম্ফ ছাড়িয়ে যায় আমার আয়ু,

নি:শব্দ হও

খাজনা দিয়ে যাও মোর প্রিয়া

বিশ্বাস করো এ তনু গৌরাঙ্গ

পথে পথে লুটিয়েছে শুধু

তোমারি তরে

বাকিরা দেখেও দেখে নি

অসূর্য্যম্পশ্য আমি

খাজনা দিয়ে যাও

স্মৃতির লেহনে।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন