বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

পার্থ সরকার

 

কবিতার কালিমাটি ১০৫


নমস্কারে ফেলে রাখি বাতাস   

     

নমস্কারে ফেলে রাখি বাতাস, হুতাশন

আক্ষরিক খোলা দু’হাত জাদুর কপাট

ছেলে খেলা করে এক পালক নিপাট

এক ভদ্রলোক চন্দ্রালোকে রাখে অনশন

 

প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক, হাততালি দেয়

সমরাঙ্গন, আমরণ রৌদ্রস্নানে নীলাঞ্জন

রহস্য তবু ঘ্নিভুত,কেন মৃত পথে তিলকাঞ্চন, 

কোন চুক্তিতে পিশাচ ঘর ভিজিয়ে দেয়

 

গৌরাঙ্গ ফসল... অদূরে বসতবাড়ির চৌকাঠ

আরো অনেক কিছু... কিন্তু, এখন ওসব নয়

বাতাস ভারী হতে পারে, হাত খোলা বন্দনায়

দেখো, জল সাঁতরে ঘরের কাছে পোড়া চিতাকাঠ

 

সৌজন্য অপরাজেয় কিন্তু নিশ্চিত আমি সহিংস

আরোগ্য কামনায় নয়, মৃতের আরো মৃত্যু হোক নৃশংস। 

 

মৈত্রীর সহাবস্থানের কাছে        

 

মৈত্রীর সহাবস্থানের কাছে

আমার কৌণিক বিন্দুর ঘনত্ব

আর তার বিষাদসিন্ধু

বয়ে যায় বালুঘড়ির অহংকার

আর তাবৎ ঘন উন্নয়নে

দৃষ্ট নয় সুচেতনা

নিরহংকার কাঠ

থেমে যায়

শোধনের বাজনা

আর আর নেই

বিরহজনিত ক্লেদ

দ্রষ্টব্য জানতে

বার করি রুমাল

ভূ-পর্যটকের। 

 

ঝড়ের প্রথম কথায়

 

তুমিই  থেকো প্রথম

ঝড়ের প্রথম কথায়

মৈত্রীও থাকবে,

সহচরীর আগুন হাতে

 

কঙ্কাল পাওয়া গেছে জনগণনায়

এ যাত্রাতেও বোধ হয় সফল হবে না ঝড়

নির্লিপ্ত সাক্ষাৎ

কবেকার দণ্ডী কেটে পথ আগলে আছে ফসিল

 

তবু, আরো একটা ঝড়

কিম্বা ঝড়ের প্রথম ভাগ

হৃদয় পাততেই পারি এই আশায়

কি বলো-

আর যদি হয়,

তবে,

ঝড়ের প্রথম কথায়

তুমিই না থেকো

মৈত্রীও থাকবে

সহচরীর স্বপ্ন হাতে। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন