কবিতার কালিমাটি ১০৯ |
গণতন্ত্র এরম’ও হতে পারে?
(১)
স্পর্ধা কোনোদিনই
ছিল না স্বপ্নগুলো ছোঁয়ার
নভেম্বর শিখিয়েছে,
স্পর্ধা ছিল
না হাতগুলোর
একসাথে মুঠো
হওয়ার
ফিদেল শিখিয়েছে,
স্পর্ধা ছিল
না তবু
ছেলেটি পড়ে
নিয়েছিল চারুবাবুর এইট-মনোগ্রাফ,
দোষ ছিল খালি
পেট
আর বাবার বুলেট
ভর্তি বুক ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা।
স্পর্ধা ছিল
না যার রক্ত দেখার
সে আজ রাইফেল
তুলে নিয়েছে,
এখন স্পর্ধা
শুধু প্রতিজ্ঞা রাখার
খিদে পেটে বিপ্লব
ভরে
আবার নকশালবাড়ি
ফিরিয়ে দেওয়ার।
(২)
প্রকৃতির বুকে
অগোছালো কিছু জরা জীর্ণতা
রোজ সান্নিধ্যের
টানে বুকে পুরে নেয় ফসফরাস,
পড়ন্ত বিকেল
থেকে খসে যাওয়া একটা সন্ধ্যে
মনে করায় -
অবলার অবহেলা।
ধেয়ে যাওয়া
কড়িকাঠ,
চরৈবেতি মন্ত্রমুগ্ধ
সমাজ
সব মিশে যায়
পচে যাওয়া জরায়ুতে
নাভিশ্বাস শোনা
যায়, শুধু নরখাদকদের।
দিন গুজরানের
সীমিত প্রহর
না খেতে পাওয়াদের
জন্য তৈরি মারণকুপ
ব্রাত্য ওরা,
ক্ষুদার্ত আরো
ওরা অবহেলা
আর ওদের গণতন্ত্র
অবলা।
(৩)
শব্দপাষাণ বুকের
ভেতর
আতুর মাখে রক্তবারুদ
জোৎস্না আদায়
করের ভারে
গণতন্ত্র কেবল
মিথ্যে হোক।
বিরোধী শূন্য
মহাভারত
আর নৈরাজ্যবাদীর
সাম্রাজ্য শোক
শত রক্তের আড়ালে
থেকেও
গণতন্ত্র কেবল
মিথ্যে হোক।
মিথ্যা স্তুতি,
মিথ্যা আদর্শ
মিথ্যাডানার
পাখির সুখ
শ্বাস কেড়ে
শাসক তুমি
গণতন্ত্র আজ
চুপ থাকুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন