সমকালীন ছোটগল্প |
তথাগত বাড়িতে নেই
সব কাজ শেষ করে, সবেমাত্র একটু বিশ্রাম করে ল্যাপটপ নিয়ে বসবে ভাবছিল নয়না, অনেক নেট ঘাঁটতে হবে, প্রচুর লেখা। এমন সময় কলিংবেলের আওয়াজ। নয়না একটু ইতস্তত হয়ে দরজা খুলল, কারণ তাকে বারবার বহু কথার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই মফস্বল শহরে এবং এটাই স্বাভাবিক। দরজার ওপাশে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর বয়স পঞ্চাশও হতে পারে, পঁয়তাল্লিশও হতে পারে। সম্ভ্রান্ত চেহারা। পরিপাটি করে শাড়ি পরা। লম্বা বিনুনি। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। কাঁধে ছোট একটি লেদারের ব্যাগ। নয়না জিজ্ঞাসু মুখে বলল, আপনি?
ভেতরে ঢুকতে বলবে না?
না মানে, আসুন। তিনি এলেন, বললেন বাহ্ নতুন করে ঘর সাজালে বুঝি!
সুন্দর সাজিয়েছো তো!
কিন্তু আপনাকে তো আমি চিনতে পারছি না ঠিক।
তুমি আমাকে ভালো করে চেনো, নয়না। আমি তথাগতর প্রাক্তন স্ত্রী,
অনন্যা। বর্তমানে আমাদের মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় থাকি। কিছুদিন হলো এসেছি। আবার চলে যাবো।
যাবার আগে ভাবলাম দেখে যাই তোমার আর তথাগতর নতুন সংসার। তা বাষট্টি বছরের একজন বয়স্ক
লোককে কেন বিয়ে করলে তুমি? তোমাকে তো দেখতে ভালোই। ইনফরমেশন পেয়েছি তুমি এম এ পাশ করেছো।
তোমার বয়স তো মনে হচ্ছে চল্লিশও পেরোয়নি। তুমি কী জন্য ওর কাছে সঁপে দিলে নিজেকে? কিসের
লোভে? কী চাও?
একজন সুবেশী, রুচিশীল মহিলার কাছ থেকে হঠাৎ এতগুলো মারমুখী প্রশ্ন
পেয়ে নয়না খুব থতমত খেয়ে গেলো।
তথাগতবাবুর বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বহুদিন আগেই। ওনার স্ত্রী, ওদের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে, বিচ্ছেদজনিত যাবতীয় লেনদেন সম্পূর্ণ করে, কলকাতায় বাবার বাড়িতে থাকেন। ফেসবুকে নয়না এবং তথাগতবাবুর আলাপ। দুই তিনবছরের পরিচয় গড়াতে গড়াতে শেষপর্যন্ত ভালোবাসায় পৌঁছছে। সবকিছুই নয়নাকে খোলাখুলিভাবে বলেছিলেন তিনি। অবসর নিয়েছেন চাকরি থেকে। বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই, মাও মারা গেছেন তিন চার বছর আগে। তারপর থেকে তথাগতবাবু একাই থাকেন। ভাই বোন আছে যে যার সংসার নিয়ে, তিনি কোথাও যেতে চান না।
ওনার একজন পুরনো চাকর আছে, সেই রান্নাবান্না এবং অন্যান্য কাজ
করে দিত এতোদিন ধরে। তিনি ভালো পেনশন পান, কয়েকদিন পর পর ঘুরতে বেরোন।
এইভাবেই চলছিল, নয়নার সঙ্গে বিয়ের আগের জীবন। তারপর এই বিয়ে।
নয়না এখন আবার পড়াশোনা শুরু করেছে, গবেষণার বাকি কাজ, মূলত তথাগতবাবুর উৎসাহেই। পি এইচ ডি করছিল, মাঝপথে বাবার মৃত্যুর কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ভাইয়েরা এদিক ওদিক বিয়ের চেষ্টা শুরু করে। কারণ এখন ঘাড় থেকে নামাতে হবে, বাবা চলে গেছেন। ততদিনে নয়না এবং তথাগতবাবুর মধ্যে একটি গভীর নির্ভরতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যত জায়গা থেকেই সম্বন্ধ আসে, নয়নার কেন যেন এই ভদ্রলোকটির কথা খুব মনে হতো। ওনার সঙ্গে সব কথা শেয়ার করতে করতে ভীষণ বন্ধু হয়ে গিয়েছিল তারা। নয়নার বিয়ের কথাবার্তা শুনলে তিনি খুব মজা করতেন। কিন্তু কোথাও যেন ছিল চাপা বিষণ্ণতা। এরমধ্যে তিনি একদিন দেখা করতে চাইলেন। নয়না না করতে পারলো না। সাদামাটা সাজগোজ করল নয়না। একটি কফি শপে গিয়ে দেখা করল দুজনে। সেদিন বিশেষ কিছু কথা হলো না। তাদের মধ্যে ছিল এক অলিখিত নীরবতা। এর চাইতে ফোনে কিংবা মেসেজে অনেক কথা হতো। নয়না ওনার মধ্যে একই সঙ্গে কেন জানি বাবা এবং প্রেমিক দুজনের ছায়াই খুঁজে পেতো। কতদিন খুব মন খারাপের দিনে মনে হয়েছে, ওনার বুকে মুখ গুঁজে থাকতে। তিনি মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে হয়তো সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে। তখনই মেসেজ করে কত কথা বলতো, তিনিও যথাসাধ্য উত্তর দিতেন। কেমন করে, ঠিক কোন মুহূর্তে একজন মানুষের সঙ্গে আর একজন মানুষের বন্ধন তৈরি হয়, তা কী কেউ বলতে পারে। নয়না আজ এই সত্য মেনে নিয়েছে। তথাগতবাবু কোনদিন ওকে অন্যভাবে পেতে চাননি। কিন্তু ভেতরে একটা দীর্ঘতম শ্বাসের আনাগোনা নয়নাকে খুব মথিত করত। কিছুতেই কোন ডিসিশন নিতে পারছিল না। এদিকে ভাইরা বিভিন্ন সম্বন্ধ, ছেলেপক্ষদের দেনা পাওনা নিয়ে সবসময় চড়া মেজাজে। অসুস্থ অসহায় মার মুখের দিকে তাকানো যায় না। এইরকম টালমাটাল মানসিক পরিস্থিতিতে তথাগতবাবুই বললেন, আমার বয়স একটু কম হলে, তোমাকে চাইতাম আমার জীবনে। সেদিন সারারাত চিন্তা করতে করতে নয়না ডিসিশন নিলো ও তথাগতকেই বিয়ে করবে, হোক তাদের বয়সের পার্থক্য পঁচিশ ছাব্বিশ বছর। আর তথাগতবাবুকে দেখলে ততটা বয়স্ক মনেও হয় না। কিন্তু এতো সহজে হয়নি। তিনি তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে মেয়ে মত দিয়েছে। তার বেশি কিছু তিনি নয়নাকে বলতে চাননি। নয়নার ভাইরা বেঁচেছে। কোন পণ দিতে হবে না। শুধু মা খুব কেঁদেছে। প্রায় তোর বাবার বয়সী। তুই কী সুখ পাবি। যদি হঠাৎ ওনার কিছু হয়, তোর কী হবে!
এতো ভাবতে পারব না মা। আমি এ মুহূর্তে ওনাকে নিয়ে বাঁচতে চাই।
তুমি আর বাধা দিও না। কোন আত্মীয়স্বজন ছাড়া দুই তিনজন স্বাক্ষী নিয়ে ওদের কোর্ট ম্যারেজ হয়েছিল। কিন্তু তথাগতবাবু মানুষের অনেক হাসাহাসি,
বিদ্রুপকে উপেক্ষা করে একটি পার্টি দিয়েছিলেন শহরের নামকরা হোটেলে। সবার সাথে পরিচয়
করিয়ে দিয়েছিলেন নয়নাকে। নয়না সেদিন নববধূর মতোই সেজেছিল, তথাগত সেনগুপ্তকেও খুব সুন্দর
লাগছিল। নয়নার বাড়ির সবাইকে সসম্মানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন উনি সেদিন। কিন্তু সেইসঙ্গে
পরবর্তীতে নয়নাকে সাবধানও করে দিয়েছিলেন, সে যেন তার ভাইদের কাছ থেকে দূরেই থাকে। কারণ
তাদের এই অসম বৈবাহিক জীবনে এরা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। নয়নাও শুধু ওর মা ছাড়া তাই
আর কারো সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ রাখে না। বিয়ের পরই তাকে আবার পি এইচ ডি শুরু করতে
হয়েছে, যে করে হোক নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। এইরকম নানাদিক সামলে তথাগতর খালি সংসারটিকে
যত্ন দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে নয়না।
দুজনে ঘুরে ঘুরে বেতের সোফা, বিছানার চাদর, জানলার পর্দা, ডিনার
সেট, ডোকরার পুতুল, কাশ্মীরী কার্পেট কিনেছে। ওর ছেলেমানুষিতে তথাগত একটুও রাগ করেননি।
নয়না হঠাৎ যেন বুঝতে পেরেছিল এই মানুষটির জন্যই তার পৃথিবী। তার ভালোবাসা সমর্পিত হয়েছিল
ওনার প্রতি। নয়না খুব সংবেদনশীল মেয়ে, সে বরাবরই সচেতন থেকেছে তথাগত যেন কখনোও না মনে
করে নয়না ওনার
একাকীত্বকে করুণা করেছে, বা তার মনে রয়ে গেছে অনেক আফসোস ইত্যাদি। সে চায় খুব স্বাভাবিক আর সুন্দর হোক ওদের দাম্পত্য।
পারস্পরিক সম্মানবোধ অক্ষুণ্ণ থাকুক বাকি দিনগুলোতে।
তথাগতও কোন রকম হতাশা আনতে চাননি সম্পর্কটিতে। এখন দুজনের নানা খুনসুটিতে আনন্দ উপচে পড়ছে তাদের জীবনে। এই সময়ে হঠাৎ অনন্যার আসা, নয়নাকে খুব অস্বস্তিতে ফেলল। রাগ উঠছে চড়চড় করে।
এতদিন খোঁজও নেয়নি বোধহয়। এখন উনি নতুন করে সবকিছু শুরু করায় হিংসে
হয়েছে খুব।
নয়নার মনে হচ্ছিল এখনই চিৎকার করে বলে ‘বেরিয়ে যান’। কিন্তু সে
শান্ত থাকতে চাইল। বলল, আমরা ভালোবাসি একজন
আর একজনকে।
শোনো মেয়ে আমাকে ভালোবাসা শেখাতে এসো না। কিসে কিসে ভালোবাসা হয়
আমি জানি। আজ আমার মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে কত কষ্ট হবে, একথা তথাগত ভাবেনি একবারও। আমি
তো বিয়ে করিনি। করতে পারতাম। প্রলোভন এসেছিল কত। সেই ফাঁদে পা দিইনি। মেয়েকে বড় করেছি।
অথচ সে কিনা এই বয়সে ঢাক ঢোল বাজিয়ে বিয়ে করে
আবার পঁচিশ বছরের যুবকের মতো সংসার পেতেছে। হিসহিস করছে অনন্যা।
নয়না কিছু বলতে গিয়েও সামলে নিল। এই নিঃসঙ্গ মহিলাকে কোন কথা বলে লাভ নেই। তিনি আসলে সংসার কিংবা তথাগত কাউকেই মন থেকে বিদায় জানাতে পারেননি। তাই কাগুজে বিচ্ছেদ ভুলে এখন নিজের অধিকার ফলাতে এসেছেন।
নয়না তাকে কিছু না বলে চা করতে গেলো। অনন্যা ঘুরছে ঘরময়। রান্নাঘরের
দরজাটিতে দাঁড়িয়ে বলল, ওর তো ধূপকাঠির স্মেলে এলার্জি হয়। কিন্তু পুজোর ঘরে তুমি সুগন্ধি
ধূপ জ্বালিয়েছ।
নয়না বলল, উনি এখন বাড়িতে নেই। একটু পরে আর কোন গন্ধ থাকবে না। তাছাড়া
আমি এটা জানতাম না দিদি। বলে ভালো করলেন, আর ধূপকাঠি পোড়াবো না।
তথাগত খুব সন্দেহ পরায়ণ, তুমি জানো না বোধহয়। অল্পবয়সে ওর এই সন্দেহের
জন্য আমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। ভালো গাইতে পারতাম, নাচ জানতাম। বাইরের জগতটি আমাকে
ক্লোজ করে দিতে হয়েছিল। দমবন্ধ হয়ে আসত আমার। এজন্য দিনের পর দিন ঝগড়া হয়েছে। আমিই
বিচ্ছেদ চেয়েছি। এখন এইসব অনুতাপ ঢাকবার জন্য তোমাকে পড়াশোনা করার সুযোগ দিয়েছে। তুমি কী আর এই বুড়োর সঙ্গে বেশিদিন থাকবে? কদিন পরই তো প্রেমে পড়বে অন্য কারো সঙ্গে।
তোমাকে নিয়েও ও সন্দেহ করবে। তোমার লাইফ হেল করে দেবে, দেখো।
নয়না চুপচাপ শুনছিল। চা মিষ্টি ট্রেতে করে সাজিয়ে নিয়ে বসার ঘরে
সেন্টার টেবিলে রাখল।
এবার মিষ্টি করে হেসে বলল, অনন্যাদি, সে যা হবে দেখা যাবে। আপনি
আমার মনে বিষ ঢেলে দেবেন না। আমরা দুজনে ভালো আছি। চা খান আপনি।
অনন্যা হঠাৎ উঠে দাঁড়ালো। ছুটে গেলো ওদের শোবার ঘরের দিকে।
কেমন যেন ডুবে যাওয়া স্বর নিয়ে বলল, এ বাড়ির সব আমার চেনা। পর্দা
সরিয়ে ঘরটির দিকে তাকাল, আমাদের একটি ছবি ছিল, নেই না?
ঐ তো তোমাদের ছবি টাঙানো । আর আমাদের মেয়ের ছবি, তাও সরিয়ে ফেলেছো?
কোন সাহসে?
নয়না বলল, না তো, আপনার চোখে পড়েনি বোধহয়, এই যে বসার ঘরে দেখুন।
আপনাদের মেয়ের ছবি। আর আপনাদের তিনজনের একটি ছবি সযত্নে রাখা আছে।
কিন্তু এগুলো শোবার ঘরে ছিল।
হ্যাঁ ছিল।
তাহলে সরালে কেন?
অস্বস্তি হয় আমার।
তাই বলো, তোমাদের তো এখন নতুন বিয়ে, সব হয় তাই না? ভীষণ সুখ দিচ্ছ
তথাগতকে। অনেকদিনের না পাওয়া আদর, সোহাগ, চুমু, মিলন!
নয়না মুখ নীচু করে রইল।
খুব চালাক মেয়ে তুমি। কেমন করে কেড়ে নিলে আমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুও।
আপনি খুব ভুল করছেন অনন্যাদি। আপনাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে প্রায়
কুড়ি বছর। উনি টাকাপয়সা দিয়েছেন। আপনার বাবা খুব বড়লোক ছিলেন শুনেছি। তাই একমাত্র মেয়ে
ও নাতিনের জন্য কোন অভাব রাখেননি। ডিভোর্সের
আগে আপনাকে ফেরাতেও চেয়েছিলেন অনেকবার, আপনি আসেননি। আমার সঙ্গে ওনার পরিচয় সম্প্রতি। সব মিলিয়ে
এখনো তিনবছর হয়নি পুরো। আমি স্বইচ্ছায় ওনাকে বিয়ে করতে চেয়েছি। ভালোবেসে।
অনন্যা হঠাৎ কেঁদে ফেলল হাউ হাউ করে। নয়না কী করবে বুঝতে পারছিল
না। সে একগ্লাস জল ওনার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, দিদি শান্ত হোন।
এমন সময় দরজার বাইরে গাড়ির হর্নের শব্দ শুনে নয়না চমকে গিয়ে দরজায়
দাঁড়াল। কুড়ি একুশ বছরের একটি মেয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসছে ঘরের দিকে। সালোয়ার কামিজ পরা,
লম্বা, সুন্দর দেখতে।
নয়না বুঝল, তথাগতর মেয়ে তিতলি। দরজার সামনে নয়নাকে দেখে ও বাইরে
জুতোর দিকে একবার তাকিয়ে বলল, মা এখানে এসেছে তাই না? কতবার না করলাম। তিতলি ঘরে ঢুকে মাকে আঁকড়ে ধরে
বলল, চলো প্লিজ। শপিং মল থেকে এভাবে বেরিয়ে গেলে, আমি খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে গেলাম।
কতবার ফোন করেছি, তুললে না।
আশ্চর্য শান্তভাবে অনন্যা বলল, আমার ফোনে চার্জ নেই রে তিতলি।
বড়ো ভুল ঠিকানায় এসে গেছি। তিতলি ওদের তিনজনের ছবিটার দিকে একবার তাকিয়ে, নয়নাকে বলল,
কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম। মা একটু এরকমই। আর আসবেন না তিনি আপনাদের জীবনে। আমি কথা
দিলাম।
তিতলি তার মাকে নিয়ে বেরিয়ে গেল।
নয়না এখনো বারান্দায়। দুপুর মরে আসছে। গাছের পাতায় পাতায় সোনালি
রোদ। নয়নার খুব মন খারাপ হতে লাগল। সে কী কোন অন্যায় করলো? অনন্যাকে কেমন অসহায়, রিক্ত লাগছিল। তথাগতকে কি বলবে সবকিছু?
তারপর ভাবল, নাহ্ পৃথিবীতে কিছু কিছু গল্প শুধু ভালোবাসার হয়,
এটা এরকমই একটি গল্প। অন্যকিছু বরং উড়ে যাক, ঝরে যাক শুকনো পাতার মতো।
গল্পের বুনন, গঠন চমৎকার। ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনখুউব ভালো। এত ঝরঝরে লেখা! বিষয়টি ও চমৎকার!
উত্তরমুছুনখুউব ভালো। এত ঝরঝরে লেখা! বিষয়টি ও চমৎকার!
উত্তরমুছুন