কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
কিঞ্চিত ফাঁকতাল ও উপপাদ্য
(১)
না কোন ফাঁকতাল নেই, আজন্ম জটিলতার
ঝুড়ি নামে, মেঘ রূপ
বট গাছ, ডানা ঘেরা
নদীর বাসর, গ্রাম শুকায়, ঘরের ভিতর কেঁদে
মরে ভাতের হাঁড়ি। এমনি যদি কোন এক সিদ্ধান্ত
থেকে আবার প্রকল্পের জন্ম হত, দশ মাস জরায়ুর
সমকোণে পিথাগোরাসের পিকাসো এঁটে দখল হত
একের পিঠে এক গ্রাম তাহলে হাতে খড়ি বা রেল মাঠ
সব এক ভোর বেলা।ঐ যে উঠে
যাওয়া
কঙ্কাল, মাথায় টিনের ছাদ লোকের শ্বাসে রঙ
লেগে ঘুম নেশা পেটের অস্থিরতায়।
সেখান থেকেই সব জন্ম বোধ ও রোধের ঢেঁকিতেই মিছিল।
এবার যত জন্মাবে সবাইকে চিরকুট দিয়ে হাড় মজ্জা গোনা হবে,
সব সমীকরণের জাত ধর্ম নেই।
(২)
সিঁড়ি নেমে গেছে যতদূর নেমে গেলে মাঝ মাঠে
বখরার দাবা খেলে, যতদূর মৌমাছি
ঝোপ
ও কার্নিস ভুলে উপত্যকার ভ্রুণ গাঁথে,
এখানে কোন সন্দেহ নেই শুধু পথের সালোকসংশ্লেষ।
একটু পরেই মুখোমুখি স্থান বদলের পালক খুলবে,
বাঁধা ভেবে আস্তে আস্তে একটু উঠলেই সেই চেয়ার ও জল
সেই রুমাল ও কঙ্কাল।একটু মোছা
ও কড়িখেলা একটু সমর্থক
ও গনতন্ত্র একটা পাকা রাস্তা ও পাকা বাড়ি
অন্তত আগামী কয়েকটা পুরুষ বসে বসে
চুল দাড়ি গুনে দিব্যির শাসন যাত্রা।
এখন একটু পাকাপাকি ঘুম ও দর কষাকষি।
(৩)
এড়িয়ে যাওয়া সহজ অন্তত যেভাবে একটা
ডিম্বানুর ভেতর নতুন সাম্রাজ্য, একটা লহরার
শরীর ছোঁয় পাল্টা ও বিস্তার।প্রতিদিন ডানা খসে,
প্রতিদিন ধুনোর পরেই একটা উদ্বোধন থমকে থাকে,
মঞ্চের বাঁ’দিকে বকাবকি
ও ডানদিকে দশমীর চাঁদ।
না হয় এদেরকেই একটা নতুন নাম দেওয়া হল,
একটা ভাঙা পাঁচিলের ওপাশে লুকোচুরি
এপাশে ধাপ্পা, রঙিন জলের
বিষে গুটিয়ে যাওয়া
কেন্নোর মত ছত্রভঙ্গ হাওয়া বাতাস, ভালো থাকা
ডাল পালায় ইতিহাস বইয়ের পাতার শরীর।
ঐ দূরে সাম্রাজ্য বিস্তার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন